আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন তুঙ্গে। বৃটিশ রাজকীয় নৌ ও বিমানবাহিনী কৃতিত্বের সাথে দেশকে রক্ষা তথা একের পর এক জার্মান আগ্রাসন ঠেকিয়ে দিচ্ছিল। কিন্তু মূল ইউরোপ ভূখন্ডে জার্মানির আধিপত্যতে তেমন বিঘ্নিত করতে পারেনি। এই বিষয়েই Sir Barnes Neville যিনি একাধারে একজন প্রকৌশলী ও বৈজ্ঞানিক তিনি একটি উপায় নিয়ে ভাবেন। তার উদ্দেশ্য ছিল উত্তর-পশ্চিম জার্মানীর নর্ডরাইনভেষ্টফালেন প্রদেশের ভারী শিল্প যেখানে সামরিক ট্যাঙ্ক, কামান, বিমান সহ বিভিন্ন সামরিক যানবাহন ও অস্ত্র তৈরি হয় তার একটা বড় অংশকে ক্ষতিগ্রস্থ করার।
তিনি মনে করতেন এক ঝাক বা বহু বোমারু বিমান পাঠিয়ে জার্মানদের যে ক্ষতি করা না যাবে তার চেয়ে অনেকটা সংক্ষিপ্ত বিমান আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতি করা গেলে যুদ্ধে অনেকটা প্রভাব ফেলবে। স্যার বার্নেসের লক্ষ্য ছিল জার্মান Ruhr valley তথা North Rhine উত্তর রাইন নদীর অববাহিকার তিনটি বাধ ধ্বংস করা গেলে প্লাবনে সংশ্লিষ্ট এলাকার সকল ভারী শিল্পের কারখানা গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এই সকল বাধের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে শিল্প কারখানা গুলোতে সরবারাহ করা হয়। এক ঢিলে একাধিক পাখী মারা। নিম্নের চিত্রে বুঝা যাবে ৩টি স্থানের বাধ গুলোকে টার্গেট করা হয়েছিল;
Möhne(মোয়েনে), Sorpe(জোরপে) এবং Eder(এডার) এই তিনটি বাধের মাধ্যমে শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন নয় পানির উচ্চতাও নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
স্যার বার্নেস জানতেন একটন ষ্টীল বানাতে জার্মানদের ১০০ টন পানির প্রয়োজন পরে। উক্ত তিনটি বাধে প্রায় ৪০ কোটি টন পানির ধারণ ক্ষমতা আছে। প্রতিটি বাধের গোড়ার পুরুত্ব প্রায় ১২০ ফিট;
৩০ টন ওজন কেন ১০ টন ওজনেরও বোমাও এই বাধের উপর ফেললে তাতে ফাটল ধরাতে পারবে না। আর ১০ টন ওজনের বোমাও বোম্বার জেটের জন্য ভারী হয়ে যায়। স্যার বার্নেসের তত্ত্ব ছিল প্রথমে ৫ টনের RDX বোমা বাধের নিকটের পানির তলদেশে ফেলা।
তাতে বাধের কিছু না হলেও পুরো জলাধারে এক বিশাল শকওয়েভ সৃষ্টি হবে। তার রেশ খানিকটা হলেও বাধের কাঠামোতে কম্পন ঘটাবে তখন ঠিক সেই মুহুর্তে আড়াই টনের বোমাও যদি ফেলা হয় তখন দুই শক্তির ধাক্কা বাধে ফাটল সৃষ্টি করবে। তখন বিশাল জলরাশি বাধে আরো বড় গর্ত তৈরি করবে। তখনই পুরো অববাহিকায় প্লাবন ঘটাবে। তার এই ফর্মূলা ঠিক থাকলেও সমস্যা হল যে বাধের কাছে দুই দুইটি সলিড ষ্টীলের জাল রয়েছে যা সাবমেরিন কেন টর্পেডোকেও প্রতিরোধ করতে পারে।
তখনই তিনি বিশেষ কাঠামোর বোমা উদ্ভাবনের কথা বলেন। যার নাম বাউন্সিং বোম। এটা ঠিক ইটের চারার মত যাকে পুকুর, খাল, জলাশয় অথবা নদীতে ছুড়ে মারলে পানিতে পড়েই যতক্ষণ তারা ঘূর্ণণ শক্তি থাকে ততক্ষণ সে যেমন ব্যাঙের মত লাফাতে লাফাতে শেষে ডুবে যায়। এটা অনেকটা পিংপং ও টেনিস বলের মতই;
http://en.wikipedia.org/wiki/Bouncing_bomb
এই ধরণের বোমা বিমান হতে নির্দিষ্ট দূর থেকে ফেলা হলে উক্ত ষ্টীলের প্রতিরোধক দেওয়াল টপকে বাধের নিকট পৌছে যাবে। লন্ডনের মিডেলসেক্সের হারমন্ডসওর্থে একটি নমুনা ছোট বাধে দুই বোমা যা এক পুরো ও অর্ধেক দ্বারা প্রাথমিক ভাবে তার তত্ত্ব প্রমাণ করলেন বৃটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে।
তখনও তিনি সেই কমিটিকে বলেননি যে কিভাবে বোমা গুলো বাধের কাছে পৌছুবে। তখন স্যার বার্নেস বললেন এর জন্য একটি বিশাল পরীক্ষাগারে হাউজের ট্যাঙ্ক প্রয়োজন। তিনি বললেন সূনির্দিষ্ট সময়ের আগে বোমা ছুড়লে তা পৌছুবে না আবার দেড়ী করে ছাড়লেও তা বাধের উপর টপকে আমাদের বিমান গুলোকে্ ক্ষতিগ্রস্থ করবে। তারপর বোমার ওজন, কত উচ্চতা ও কতদূর হতে বোমা গুলো ফেলা হবে সেটা মাসাধিককাল গবেষণার পর একটা বড় আকৃতির(কয়েক টন ওজনের) বোমা তৈরি করা হল। পরে একটি বিমান হতে পরীক্ষামূলক ভাবে ড্রপ করে বেঝা গেল সত্যিকার অর্থেই বাউন্সিং বোমা কাজ করে তথা পানিতে লাফিয়ে লাফিয়ে চলে।
এখন এই সাফল্য হলেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ একে বাস্তব রুপ দেওয়ার জন্য অনুমোদন দিচ্ছিল না। তারা স্যার বার্নেসের এই প্রাথমিক সাফল্যে আস্থা রাখতে পারছিল না। এরই মধ্যে স্যার বার্নেস বিমানবাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে তার প্রজেক্টের ভিডিও দেখালেও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মুখে বলে দিল আপনার প্রজেক্ট বাস্তব রুপ পাবে না তথা এর পরিসমাপ্তি। যখন বাসায় এসে এই কথা গুলো তার স্ত্রীকে শোনাচ্ছিলেন তখন স্ত্রী বলল তুমি আসার আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হতে ফোন এসেছিল তোমাকে কালকে সকালে জরুরী ভিত্তিতে যেতে বলেছে। সে ভাবল হয়ত তাকে চিঠির মাধ্যমে প্রজেক্টের সমাপ্তির কথা জানাবে।
কিন্তু যেই পরের দিন সেখানে গেলে মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা তাকে বললেন যে তার জানামতে প্রজেক্টের শেষ বা বাতিল হয়েছে বলে তিনি অবগত নন। কারণ আজকে একটু আগেই এখন এই প্রজেক্ট সরকারী ভাবে স্বীকৃত হয়েছে। মানে এটা এখন অফিসিয়াল যা সরাসরি ডাউনিং ষ্ট্রীট হতে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী স্যার উইনষ্টন চার্চিল এই বিষয়ে দারুণ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি ব্যাক্তিগত ভাবে এই প্রজেক্ট এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই ভাবে বাধ ধ্বংস করতে হলে মে মাসের মাঝামাঝি রাত্রিতে করতে হবে। কারণ ঐ সময়ই জোয়ারে পূর্ণ মাত্রায় পানি থাকবে বাধ এলাকায়। সময়কাল ১৯৪৩ এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে বিমানবাহিনীর বিশেষ ধরণের ফ্লাইট টেষ্ট করতে হবে। এর জন্য অভিজ্ঞ পাইলট লাগবে। আর সেটা হল দেড়শ ফুট উপর দিয়ে উড়ার প্র্যাকটিস।
কারণ এই ওজনের বোমা ফেলতে হলে এই উচ্চতায় ২৪০ মাইল/ঘন্টা গতিতে উড়তে হবে এবং ৬০০ গজ দূর হতে তা ছুড়তে হবে। প্রথমে পাইলটদের জানানো হল না কেন এই বিশেষ স্কোয়াড্রন ও অভিজ্ঞ পাইলট। এটা ছিল ল্যাঙ্কাষ্টার বোম্বার বিমান সমূহ ৬১৭ স্কোয়াড্রন। যার পরিচালনার দায়িত্ব উইং কমান্ডার গাই গিবসনের। তাদেরকে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন লেকের উপর এই টেষ্ট ফ্লাইট করতে হল।
কিন্তু তখনও পূর্ণ মাত্রার ৫টন ওজনের আসল বোমার মডেল পরীক্ষা করা হয়নি। তারপর যখন আসল মডেল পরীক্ষা করতে গেল দেখা গেল প্রথম বা দ্বিতীয় ড্রপেই বোমা ভেঙে যায়। তখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তারা হতাশা প্রকাশ করলেন। তাকে জানানো হল বেশী সময় নেই এর পরের পরীক্ষায় এটা সফল না হলে এই প্রজেক্ট বাতিল হবে। তখন স্যার বার্নেস বললেন আমাকে এক সপ্তাহ সময় দাও।
তিনি গিবসনকে ডেকে বললেন যে এটা বোমার ওজন, সাইজ বা গঠন কাঠামোর দোষ নয়। এটা আসলে বেশী উচ্চতা হতে ফেলার কারণে বেশী হিট হয়। তাই তিনি গিবসনকে প্রস্তাব দিলেন তোমরা কি ১৫০ ফিটের বদলে ৬০ ফিটে উড়ে এই বোমা নিক্ষেপ করতে পারবে? তখন গিবসন বলল কয়েকদিন টেষ্ট করে পারব। অবশেষে এক সপ্তাহ পর ৬০ ফিটের উচ্চতায় মডেল বোমার ড্রপ পরীক্ষা সফল হল। তখন নির্ধারিত হল এই ভাবেই ৬১৭ স্কোয়াড্রনের ল্যাঙ্কাষ্টার বোম্বার গুলো রুয়ার নদী অববাহিকার উক্ত তিনটি বাধে চূড়ান্ত হামলা করবে।
এখানে মজার বিষয় হল এত কম উচ্চতায় সেই আমলের যন্ত্রপাতিতে বোঝার উপায় ছিল না যে ৬০ ফিট উপরে বিমান উড়ছে। তাই দুটি টর্চকে বিমানের দুই অংশে এমন কৌণিক অবস্থানে যূক্ত করা হল যাদের নিক্ষিপ্ত আলোর বৃত্ত সমূহ বিমান ৬০ ফিট উপরে আসলেই মিলে এক বৃত্ত হয়ে যাবে। ঠিক অনেকটা নিম্নের চিত্রের মত;
আর ৬০০ গজ দূরত্ব বোঝার জন্য একটি V (ভি) আকিৃতির সমান্তরাল লৌহ দন্ড দেওয়া হল। যার দুটি শীর্ষ কাটা বাধের দুই টাওয়ারের সাথে সরাসরি কৌণিক অবস্থানে আসা মাত্র ৬০০ গজ দূরত্ব নিশ্চিত হবে;
এই মিশনের নাম হল Operation Chastise। এখানে বৃটিশ রাজকীয় বিমানবাহিনীর সাথে অষ্ট্রেলিয়ান, নিউজিল্যান্ড ও ক্যানেইডিয়ান বিমানবাহিনীর চৌকষ পাইলটরাও ছিল।
৬১৭ স্কোয়াড্রনে মোট ১৯ বোম্বার বিমান তিন স্তরে হামলায় অংশ নিবে। মোট ১৩৩ জন বিমানবাহিনীর সদস্য। বাধ গুলো রুয়ার নদী অববাহিকার পূর্ব দিকে অবস্থিত। প্রথম স্তরে ৯টি বিমান মোয়েনে ও এডার বাধে হামলা চালাবে। দ্বিতীয় স্তরে ৫টি বিমানের টার্গেট জোরপে বাধ এবং শত্রু বিমান সমূহের জন্য ডাইভার্সন সৃষ্টি করে তাদের আলাদা রাখবে।
তৃতীয় স্তরেও ৫টি বিমান থাকবে মোবাইল রিজার্ভ হিসেবে যাদের কাজ হবে কোন গ্যাপ সৃষ্টি হলে তা পূর্ণ করা। এরা সবাই ইংল্যান্ডের লিংকনশায়ারের RAF Scampton(Scampton গ্রামের নিকট) ঘাটি হতে উড়বে। প্রথম ও তৃতীয় স্তর বা ভাগ দুটি নেদারল্যান্ডসের পশ্চিমে ও বেলজিয়াম সীমান্তের নিকট দিয়ে উড়ে যাবে। আর দ্বিতীয় ভাগ আরো উত্তর-পূর্ব দিক হতে নেদারল্যান্ডসের মধ্যভাগ দিয়ে ঢুকবে(পোষ্টের দ্বিতীয় ছবি)। অভিযান শুরু হয়েছিল ১৯৪৩ সালের ১৬ই মে রাতে।
আর শেষ হয় ১৭ই মের প্রথম প্রহরে।
এই ঘটনাটিকে বই আকারে লিখেছেন Paul Brickhill। এটা উইং কমান্ডার গাই গিবসনের একাউন্ট Enemy Coast Ahead এর উপর ভিত্তি করে। ছবিটির পরিচালক Michael Anderson
http://www.imdb.com/title/tt0046889
মূভিতে গাই গিবসনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন Richard Todd
আর উইং কমান্ডার Guy Penrose Gibson
স্যার বার্নেসের চরিত্রে অভিনয় করছেন Michael Redgrave
আর ইনি হলের স্যার Sir Barnes Neville Wallis
স্যার বার্নেস ও তার চরিত্রে অভিনেতা মাইকেল রেডগ্রেভ এক সাথে
এই মিশন তথা Operation Chastise এর ফলে মোয়েনে ও এডার বাধ সমূহ বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আর জোরপে অল্প ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
ক্ষতিগ্রস্থ মোয়েনে বাধ;
ক্ষতিগ্রস্থ এডার বাধ;
এই অভিযানে ১৯ বোম্বারের মধ্যে ১০টি বোম্বার হারাতে হয়। ১৩৩ জনের মধ্যে ৫৩ জন এই অভিযানে নিহত হয়। বাকী ৯টি বিমান ১৭ই মের প্রথম প্রহর রাত ৩টা ১১ মিনিট হতে ৪টা ১৫মিনিটে লিংকনশায়ারের স্ক্যাম্পটনে ফিরে আসে।
হামলার ফলাফলঃ
মোয়েনে বাধ ভেঙ্গে গেলে প্রায় ৩৩ কোটি টন পানি ৩২ ফুট জলচ্ছাস রুপ নিয়ে ঘন্টায় প্রায় ১৫ মাইল বেগে ৫০ মাইলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করে। এতে প্রায় বিভিন্ন খনিজ উত্তোলন স্থান, ১১ টি ছোট কারখানা সহ ৯২ বাড়ী ধ্বংস হয়।
আর ১১৪টি কারখান সহ ৯৭২টি বাড়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ২৫টি সড়ক, রেল লাইন সহ অনেক সেতুকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ১৫ই মে ১৯৪৩ যেখানে ১০ লক্ষ টন পানির ব্যাবহার হত হামলার পর তা ২.৫ লক্ষে নেমে আসে। মোয়েনে ও এডার বাধ হতে ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করত। তাতে প্রায় সেখানে ২ সপ্তাহর জন্য শিল্প কারখানা ও বাসবাড়ী সমূহে বিদ্যুৎ সরবারাহ করা যায়নি।
তবে জার্মানদের বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা ছিল। এই আক্রমণে প্রায় ১৬৫০ জন মারা যায়। দুঃখজনক বিষয় হল যে ১০২৬ জন ছিল বিদেশী মূলত সোভিয়েত ইউনিয়নের বন্দীগণ।
কৌশলগত দিক পর্যালোচনায় মে ১৯৪৩ এর এই সকল বাধে হামলার কারণে জার্মান বিমানবাহিনী লুফটভাভে ও বিমান বিধ্বংসী আর্টিলারীকে সোভিয়েত ফ্রন্ট হতে অনেকটাই সরিয়ে নিজ দেশের এই বাধ সহ বিভিন্ন স্থাপনা পাহার জন্য বাধ্য করা হয়েছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নের ষ্ট্যালিনও জার্মান নাৎসীদের বিরুদ্ধে তার পাল্টা হামরা জোরদার করেন।
বৃটিশরা তখন পশ্চিম ইউরোপকে থার্ড রাইখ হতে মূক্ত করার ব্যাপারে আরো উৎসাহী হয়। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় জুলাই ১৯৪৩এ হামবূর্গে বৃটিশ বিমানবাহিনী ব্যাপক হামলা চালায়;
Click This Link
এটা ষ্ট্যালিনকে আরো ব্যাপক যুদ্ধে উৎসাহিত করলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টকে তেমন আগ্রহী করতে পারেনি।
এই ঘটনার সাফল্যে বৃটিশ রাজ ষষ্ঠ জর্জ ২৭শে মে ১৯৪৩ লিংকনশায়ারের RAF Scampton ঘাটিতে যেয়ে উইং কমান্ডার গাই গিবসন ও বেচে যাওয়া বিমানসেনাদের সাথে দেখা করতে যান;
এই মূভিটির ডাউনলোডের জন্য টরেন্ট লিংক;
Click This Link
ইউটিবের লিংক;
http://www.youtube.com/watch?v=-miLoWZ68Dk
**************
আজকে সামুতে আমার ব্লগিং এর ৪র্থ বর্ষ পূর্ণ হল। যদিও আমি ২০০০ সাল হতেই লেখালেখি করি তবে নেটে শুরু করি ২০০৩ সাল হতে। গানস অব নাভারুনের পর এই মূভিটাকেই সব বিবেচনায় র্দূদান্ত মনে হয়েছে।
যদিও সত্য ঘটনার সাথে কিছুটা পার্থক্য আছে তবুও দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের উপর অনন্য সাধারণ কাহিনী। ইচ্ছা আছে আরো বেশ কিছু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মূভি নিয়ে পোষ্ট দিব। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।