তাশফী মাহমুদ
টেনিস ছেড়েছেন বছর পাঁচেক হয়ে গেল। ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ফ্যাশন শো, টিভি রিয়েলিটি শো, চ্যারিটি শো, মডেলিং, অভিনয়, রোমান্স, বেড়ানো, শপিং এসব নিয়ে। যখন টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন তখন জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। খেলোয়াড়ী জীবন শেষ হয়ে গেলে তখন খেলোয়াড়দের জনপ্রিয়তায় নাকি ভাটার টান লাগে, এ ধারণাকে ভুল প্রতিপন্ন করেছেন রুশ নন্দিনী আনা কুর্নিকোভা।
৩১ বছর বয়সী আবেদনময়ী ও অনিন্দ্য সুন্দরীর এখন যে বয়স, সে বয়সে খেলে যাচ্ছেন তাঁর সমসাময়িক অনেক সতীর্থই।
কিন্তু আনার অকালেই টেনিস র্যাকেট তুলে রাখার কারণ একটিই হতচ্ছাড়া ইনজুরির আগ্রাসনের কাছে আত্মসমপর্ণ করা। ক্যারিয়ারে কোন সাফল্য না পেয়েও যে জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়, কুর্নিকোভাই তার সবচেয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
সম্প্রতি ‘এস মোডা ম্যাগাজিন’-এ একটি হট ফটোশূট করেন। স্থির আলোকচিত্রীর তোলা ছবিগুলোতে তাঁকে আগের মতোই সেক্সি, সুন্দরী ও আকর্ষণীয় দেখায়। বাজারে আসামাত্রই যে ম্যাগাজিনের কপিগুলো হটকেকের মতো লুফে নেয় ক্রেতারা।
মোটেও দৃশ্যপটের অন্তরালে চলে যাননি তিনি, বরং এখনও আগের মতোই উজ্জ্বল স্বমহিমায়। সব মিলিয়ে ৩১ বছর বয়সী কুর্নিকোভা এখনও তাঁর ফ্যানদের অন্তরে আসন গেড়ে আছেন ‘হৃদয়ের রাণী’ হিসেবেই! গুগল ওয়েবে এখনও বিশ্ব ক্রীড়াবিদদের সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয় কুর্নিকোভাকেই।
টেনিস ক্যারিয়ারে তেমন কোন সাফল্য নেই আনার। কোন সুখস্মৃতিও কি নেই? ‘অবশ্যই আছে। আমি একবার জার্মানির কিংবদন্তি খেলোয়াড় স্টেফি গ্রাফকে একটি প্রতিযোগিতামূলক টেনিস আসরে হারিয়েছিলাম।
হারানোর পর অসম্ভব খুশি হয়েছিলাম। তখন আমার বয়স মাত্র ১৬।
আমার কাছে সেটাই আমার টেনিস ক্যারিয়ারে সবচেয়ে সুখের স্মৃতি। ’ কুর্নিকোভার ভাষ্য। ‘টেনিসকে এখনও দারুণ মিস করি।
প্রতিযোগিতামূলক আসরে না খেললেও এখনও প্রতিদিনই আমি টেনিস অনুশীলন করি। কিন্তু পায়ের ইনজুরির কারণে পেশাদার টেনিসে ফেরা আর সম্ভব নয়। এজন্য ভীষণ কষ্ট লাগে মাঝে মাঝে । ’
‘এস মোডা ম্যাগাজিন’ হট ফটোশূট ভিডিও ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।