ঃ কবীর শেখ ঃ www.banglatolet.com ডিজিটাল দুনিয়া
হাই জাম্প, লং জাম্প, বানজি জাম্প- কত রকম জাম্পই না আছে দুনিয়ায়। তবে এটা হলো স্পেস জাম্প, মানে মহাশূন্য থেকে লাফ দিয়ে পৃথিবীর বুকে ফেরত আসা। আর তা করতে গিয়ে শব্দের গতিকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন ফেলিঙ্ বাউমগার্টনার।
বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ রুদ্ধশ্বাসে তাকিয়ে ছিল তাদের কম্পিউটারের মনিটর আর টিভি পর্দার দিকে। বেলুনের ক্যাপসুল থেকে লাফ দেওয়ার পর ঠিক চার মিনিট ২০ সেকেন্ডের মাথায় লাল-সাদা প্যারাশুটটিসহ মাটির বুকে আবারও পা রাখেন বাউমগার্টনার।
ভূপৃষ্ঠ থেকে এক লাখ ২৮ হাজার ৯৭ ফুট, মানে ৩৯ হাজার ৪৪ মিটার উপর থেকে লাফ দেন এই অস্ট্রিয়ান। মহাশূন্যের সেই অসীম বুক থেকে লাফ দিয়ে ভূপৃষ্ঠের দিকে প্রচণ্ড গতিতে পতিত হচ্ছিলেন তিনি। সেই গতি বাড়তে বাড়তে উঠে যান ঘণ্টায় ৮৩৩.৯ মাইল বা ১,৩৪২ কিলোমিটার। মানে শব্দের চেয়ে প্রায় সোয়াগুণ গতি বেশি নিয়ে ধরণি পৃষ্ঠে পড়ছিলেন দুঃসাহসী বাউমগার্টনার।
জানা গেছে, একসঙ্গে তিনটি রেকর্ড গড়েছেন এই স্কাইডাইভার।
সবচেয়ে উঁচু থেকে লাফ, সবচেয়ে দ্রুতগতিতে পতন এবং সবচেয়ে উঁচুতে বেলুন নিয়ে যাওয়া। এ সাফল্য অর্জনের পর প্রথম সাক্ষাৎকারে বাউমগার্টেন বলেন, 'মনে হচ্ছে কাঁধ থেকে ২০ টন ওজন কমে গেল। গত সাত বছর ধরে আমি এ জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
যখন প্রচণ্ড গতিতে পড়ছিলেন বাউমগার্টনার, তখন মনে হচ্ছিল তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন। সে সময় কেমন মনে হচ্ছিল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'লাফটা ঠিকমতোই হয়েছিল।
এরপর আমি ডিগবাজি খেতে শুরু করলাম। প্রথমে মনে হয়েছিল নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারব, কিন্তু এরপর ভয়াবহ গতিতে আমি পড়তে শুরু করলাম। এত প্রচণ্ড গতি যে, আমার মনে হচ্ছিল আমি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলব। ভাগ্য ভালো শেষ পর্যন্ত আমি সংজ্ঞা হারাইনি। তবে যা মনে হয়েছিল তার চেয়ে কঠিন ছিল এটি।
শব্দের গতির চেয়েও বেশি গতিতে নামার সময় অবশ্য তিনি টের পাননি। 'সনিক বুম'টি আমি টের পাইনি, সম্ভবত এটা আমার পেছনে ঘটেছে', বলেন, বাউমগার্টেন। নির্ধারিত উচ্চতায় যাওয়ার জন্য হিলিয়াম ভর্তি বেলুনটির সময় লাগে দুই ঘণ্টা। বেলুনটিও ছিল বিশাল আকারের, ৬০০ ফুট উঁচু অথচ পলিথিনের মতো পাতলা। এক লাখ ২০ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে লাফ দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও বাউমগার্টনার আরও আট হাজার ফুট বেশি উঁচুতে নিয়ে যান বেলুনটিকে।
সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে বাউমগার্টনার বলেন, 'এত উঁচুতে ওঠার পর মনে হয় আমরা আসলেই কত ছোট। উল্লেখ্য, বাউমগার্টনারের এই স্কাই ডাইভ টেলিভিশন ছাড়াও ইউটিউবে লাইভ সম্প্রচার করা হয়। ৮০ লাখেরও বেশি কম্পিউটারে ইউটিউবে দেখা হয় এটি। এর আগে ১৯৬০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জো কিটিঙ্গার এক লাখ দুই হাজার ৮০০ ফুট উপর থেকে লাফ দিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন। হাই জাম্প, লং জাম্প, বানজি জাম্প- কত রকম জাম্পই না আছে দুনিয়ায়।
তবে এটা হলো স্পেস জাম্প, মানে মহাশূন্য থেকে লাফ দিয়ে পৃথিবীর বুকে ফেরত আসা। আর তা করতে গিয়ে শব্দের গতিকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন ফেলিঙ্ বাউমগার্টনার।
বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ রুদ্ধশ্বাসে তাকিয়ে ছিল তাদের কম্পিউটারের মনিটর আর টিভি পর্দার দিকে। বেলুনের ক্যাপসুল থেকে লাফ দেওয়ার পর ঠিক চার মিনিট ২০ সেকেন্ডের মাথায় লাল-সাদা প্যারাশুটটিসহ মাটির বুকে আবারও পা রাখেন বাউমগার্টনার। ভূপৃষ্ঠ থেকে এক লাখ ২৮ হাজার ৯৭ ফুট, মানে ৩৯ হাজার ৪৪ মিটার উপর থেকে লাফ দেন এই অস্ট্রিয়ান।
মহাশূন্যের সেই অসীম বুক থেকে লাফ দিয়ে ভূপৃষ্ঠের দিকে প্রচণ্ড গতিতে পতিত হচ্ছিলেন তিনি। সেই গতি বাড়তে বাড়তে উঠে যান ঘণ্টায় ৮৩৩.৯ মাইল বা ১,৩৪২ কিলোমিটার। মানে শব্দের চেয়ে প্রায় সোয়াগুণ গতি বেশি নিয়ে ধরণি পৃষ্ঠে পড়ছিলেন দুঃসাহসী বাউমগার্টনার।
জানা গেছে, একসঙ্গে তিনটি রেকর্ড গড়েছেন এই স্কাইডাইভার। সবচেয়ে উঁচু থেকে লাফ, সবচেয়ে দ্রুতগতিতে পতন এবং সবচেয়ে উঁচুতে বেলুন নিয়ে যাওয়া।
এ সাফল্য অর্জনের পর প্রথম সাক্ষাৎকারে বাউমগার্টেন বলেন, 'মনে হচ্ছে কাঁধ থেকে ২০ টন ওজন কমে গেল। গত সাত বছর ধরে আমি এ জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
যখন প্রচণ্ড গতিতে পড়ছিলেন বাউমগার্টনার, তখন মনে হচ্ছিল তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন। সে সময় কেমন মনে হচ্ছিল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'লাফটা ঠিকমতোই হয়েছিল। এরপর আমি ডিগবাজি খেতে শুরু করলাম।
প্রথমে মনে হয়েছিল নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারব, কিন্তু এরপর ভয়াবহ গতিতে আমি পড়তে শুরু করলাম। এত প্রচণ্ড গতি যে, আমার মনে হচ্ছিল আমি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলব। ভাগ্য ভালো শেষ পর্যন্ত আমি সংজ্ঞা হারাইনি। তবে যা মনে হয়েছিল তার চেয়ে কঠিন ছিল এটি। শব্দের গতির চেয়েও বেশি গতিতে নামার সময় অবশ্য তিনি টের পাননি।
'সনিক বুম'টি আমি টের পাইনি, সম্ভবত এটা আমার পেছনে ঘটেছে', বলেন, বাউমগার্টেন। নির্ধারিত উচ্চতায় যাওয়ার জন্য হিলিয়াম ভর্তি বেলুনটির সময় লাগে দুই ঘণ্টা। বেলুনটিও ছিল বিশাল আকারের, ৬০০ ফুট উঁচু অথচ পলিথিনের মতো পাতলা। এক লাখ ২০ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে লাফ দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও বাউমগার্টনার আরও আট হাজার ফুট বেশি উঁচুতে নিয়ে যান বেলুনটিকে। সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে বাউমগার্টনার বলেন, 'এত উঁচুতে ওঠার পর মনে হয় আমরা আসলেই কত ছোট।
উল্লেখ্য, বাউমগার্টনারের এই স্কাই ডাইভ টেলিভিশন ছাড়াও ইউটিউবে লাইভ সম্প্রচার করা হয়। ৮০ লাখেরও বেশি কম্পিউটারে ইউটিউবে দেখা হয় এটি। এর আগে ১৯৬০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জো কিটিঙ্গার এক লাখ দুই হাজার ৮০০ ফুট উপর থেকে লাফ দিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন। সরসঃ বিডিপ্রতিদিন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।