বিশ্বটাকে সুন্দর করে সাজানোর জন্যই এত কথা বলি.. । কি আনন্দ। ঈদ। কুরবানির গরু। শিশু কাল-শৈশব কাল-যুবক কাল- মধ্য বয়স-বুড়ো কাল।
এক বন্ধু বলছিলো, দোস্ত দিন তো চলে যাচ্ছে।
হে, দিন তো যাবেই, সকাল, দুপুর, রাত। তুই এই তিন সময়ে কি করে, কিভাবে যাচ্ছিস সেটাই বিষয়। দিনের কথা বলে লাভ নেই্।
অনুভুতি, আনন্দ, উচ্ছাস, প্রয়াস।
জীবনের একেকটা কালে একেক রকম। কুরবানির গরু নিয়ে চলুন দেখি আমাদের কালের বিবর্তন গুলো-
১. শিশুকাল-
হই হই হই গরু কিনছেরে গরু আসছেরে। হই হই। আমাদের গরু সবার চেয়ে বড়। হুররে
২. শৈশবকাল-
মা, ছুরিটা দাও, ধার দিয়ে রাখি।
হে হে আমাদের গরু এইবার জব্বর হইছে। দেখ দেখ সুমন, কামাল আমাদের গরুর গজটা দেখ। কত্ত বড় দেখছিস।
৩. যৌবন কাল-
গরু আনছে, এত নাচার কি আছে। ওই চুপ কর পোলাপাইন।
যা ভাগ। নতুন পান্জাবিটা পরে আর ঘুরতে পারবো না। সারাদিন যাইব এইটা কাটঁতে। ভাবছিলাম মলিরে নিয়া বোটানিক্যালে একটা চক্কর দিমু।
ধুর।
৪. মধ্য কাল-
দেখ বাবা, আমাদের গলু। ওলে ওলে বাবা তুমি গরুর গজ খাবে। সবাই কে মাংস দিবে?
কই গো, ছেলেটাকে নেও। গরুটারে এক বালতি পানি দিয়ে আসি।
৫. বুড়ো কাল-
গরুটা কিনে ঠকলাম নাকি? যায় হোক কুরবানির গরুই তো! আল্লাহ মালুম।
যা দাম এবার।
ওই তোরা দেখে রাখিস। ছুটে গেল আবার বিপদ।
আমি নামাজটা পরে আসি।
তবে যে যায় বলুন না কেন, শিশুকালের ঈদ সত্যিকার অর্থেই মিস করি।
তারপরেও প্রতি কালে আনন্দের সংজ্ঞা পরিবর্তন হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।