নর ও নারি /জগতের গড়ি
আর যত স জানোয়ার
জ্ঞানে ও মননে / গভীর সঞ্চালনে
মিলে মিশে আঁকা বিশ্ব সংসার ।
স্বর্গের দুত জগতের রূপ দর্শন করিয়া অতিশয় আশ্চর্য বোধ করিল । বিশাল মরুর বুকে লু হাওয়া , উত্তপ্ত বালুকনায় দিগন্তের জলন্ত
উত্তাপ । জনপ্রাণীর চিহ্ন মাত্র নাই । হটাত দেখিল মরা খেজুরের
ডালে একটা প্রজাপতি ধুকধুক প্রানে জীবনের ক্ষিন সাদ মেখে
এখনও টিকে রয় ।
দিল তারে দুত স্বর্গের জল কিঞ্চিত । নব শক্তিতে রেশমি কোমল
সুন্দর চিত্রালি ডানা মেলে উড়ল সে মনের সুখে ।
দুত নদী দেখে কৌতূহল জাগে তার মনে , স্বর্গীয় পাখা মেলে দিল
সাতার । উত্তাল ঢেউ আর কল্লোলিত জলরাশি দিল সুখ তারে অবগাহনে । আরে একি বিষয় এ কিসের ছায়া , খুনসুটি ফেলে
তুলে লয় ক্ষিন প্রান এক মাছ ।
কিসের অভাব ফুসফুসে বিগ্নতা দেখে তারে দেয় স্বর্গীয় বাতাস
নব সজীবতায় সোনালি পাখা নেড়ে ছুটে সে আপন বলয়ে দিগুন
তেজে ।
পাহাড়ে ছড়ে আরও অবাক , যেখানে রয় ঘন অরন্য আর সবুজের
হাতছানি । ঝর্নার দ্বারে বসে ক্লান্ত দেহে হিসাব মেলায় । আজব এক ফুল দেখে যেই প্রসারিত করে হাত , ওমনি ছুটির ঘণ্টা গেল
বেজে । স্বর্গ দুত ছুটে স্বর্গের বাহনে জগত হতে তার আপন টিকানায় ।
খোদা কৈফিয়ত তলব করে হে দুত কি দেখে এলে । দুত আরশিতে
সবিস্তারে যা যা ঘটে সবি দেখায় তার প্রভুকে নতশিরে । এবার সুধায় হে দুত ঐ যে প্রজাপতি যারে দিলে স্বর্গের জল খাইয়ে ,
তার জগতের জলে আর তৃষ্ণা মিটবেনা, যে ফুল ছুতে পারনাই
সেথা পিয়ে নিবে মধু জল বিনিময়ে ফুল বৃক্ষে সাজাবে রসাল ফল
আর মাছ ফুসফুস থেকে ছাড়বে বুদ বুদ আকারে স্বর্গীয় বাতাস ।
রুদ্র তাপে মিশে বিন্দু বিন্দু জল সিঞ্জনে হবে মেঘ মালা ভাসবে
আকাশ জুড়ে ক্ষনে বা পাহাড়ে খাবে ধাক্কা হবে বৃষ্টি ।
সকল বৃক্ষ লতায় আসবে নব সজীবতা ফুলে ফলে হাসবে , প্রজাপতি উড়বে ।
এবার দেব দুতের বিস্ময় জাগে হে প্রভু তাতে
আপনার কি লাভ । আর আমরা তো আপনার গোলামী করতে
বেহেস্ত থেকে কোথাও যেতে হয়না ।
বিধাতা জিজ্ঞাসে আর যদি অন্য কারো উদ্দেশ্য তা বানিয়ে থাকি ।
এবার দেবদূত মাথা নিচু করে হে প্রভু আপনিই আপনার উদ্দেশ্য
ভাল জানেন সাধ্য কি মোদের যদি নাহি দেন পথ বাতলে ।
প্রভু কহে দুত বানাব আদম জাত একদিন সেথা দেব ছেড়ে ।
দুত সে আবার কি
প্রভু কহে শ্রেষ্ঠ মানব জাতি ।
দুত আমরাই তো যথেষ্ট , সৃষ্টি করলে ভিন্ন জাতী করবে ফ্যাসাদ
কাটাকাটি ।
প্রভু কহে আমি যা জানি তোমরা কি তাজান ।
আবারও নিজ অজ্ঞতার নিকট দুত করে নতি শিকার ।
বানায় আদম ছবি ও হাওয়া
রাখে বেহেস্তে , শয়তান ধুকা দিয়ে দিল খোদার নাফরমানি বানায়ে
আর খোদা পূর্ব প্রতিশ্রুতি পুরনে আদম হাওয়া কে নামিয়ে দিলেন
জগতে ।
দেবদূত হে খোদা আদেশ কি হয় ।
খোদা কহে দেখ পরখ করে আবার আনিব তুলে বেহেস্তে আদম ও
হাওয়া কে / আদম হাওয়া কি করে কি শেখে কাকে ডাকে । তার
অন্তরে মাঝে কার নাম বাজে আর অবাধ্য শয়তানের হয় কি
পরিনয় ।
সেই থেকে স্বর্গ দুত আদমের /মানুসের ডান বাম কাধে লিপিবদ্ধ
রাখে প্রভুর দেওয়া আদেশ ।
নাহি নিস্তার দিতে হবে হিসাব অনুপরমানু যা জীবনে ঘটমান
প্রভুর বিশ্বাস অন্তরে পাকা যার সেই তবে রাখে সত্যর সন্ধান ।
স্বর্গ দুত জিবরাঈল আ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।