এক লোক চুল কাটতে গেলো সেলুনে।
সেলুনে চুল কাটার সময় সাধারনত
যেমনটি হয়, তেমনি নরসুন্দরের
সাথে লোকটির গল্প জমে গেলো। এ গল্প
থেকে সে গল্প, এমন করে স্রষ্টা আছেন
কি নাই এমন আলোচনায়
চলে গেলো তারা।
হটাত করে নরসুন্দর বলে উঠলো,
"আমি বিশ্বাস করি স্রষ্টা বলে কেউ
নেই"।
লোকটি তখন অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো,
"তুমি এমনটি বললে কেন??"
...
নরসুন্দর লোকটি বললো, "তুমি অন্ধ
নাকি?? শুধু এখান থেকে রাস্তায়
গিয়ে দেখো, দেখবে স্রষ্টা বলে কেউ
নেই।
যদি এমন কেউ থাকতোই
তবে এতো মানুষ অনাহারে কষ্ট
পেতো না। আমাকে বল,
স্রষ্টা বলে যদি আসলেই কেউ
থাকতো তবে কি এতো মানুষ অসুখে কষ্ট
পেতো??এমনকি দুধের শিশুরাও বাদ যায়
না। যদি স্রষ্টা বলে আসলেই কেউ
থাকতো , তবে কেউ কষ্টে থাকতো না।
কষ্ট পেতো না। আমি বুঝি না, যদি কেউ
স্রষ্টা বলে কেউ থাকতোই তবে নিজের
সৃষ্টিকে এমন কষ্ট কেউ
দিতে পারে কি করে??"
চুল কাটাতে আসা লোকটি একটু
ভাবলো এবং চুপ করে থাকলো।
সে কোন
যুক্তি তর্কে যেতে চাইলো না। চুল
কাটা শেষ হলে লোকটি দোকানের
বাহিরে আসলো।
বাহিরে আসার পর উস্কোখুস্কো লম্বা জট
পাকানো ময়লা চুলের - দাড়ির এক
লোককে দেখতে পেলো রাস্তায় দাড়িয়ে।
দোকানে ফিরে লোকটি নরসুন্দরকে বললো,
"তুমি জানো কি এ এলাকায় কোন নরসুন্দর
নেই"।
নরসুন্দর অবাক হয়ে বললো, "কি সব
বাজে বকছো?? এ এলাকায় নরসুন্দর
থাকবে না কেন?? এই মাত্রই
তো আমি তোমার চুল কেটে দিয়েছি"।
এবার লোকটি বাহিরের লম্বা জট
পাকানো লোকটিকে দেখিয়ে বললো,
"তাহলে নরসুন্দর থাকার পরও
কিভাবে এমন নোংরা লম্বা জট
পাকানো চুল নিয়ে এ এলাকায় কেউ
থাকে??"
নরসুন্দর লোকটি জবাব দিলো,
"তাকে তো আমার কাছে আসতে হবে চুল
কাটতে। । নাকি??"
"হুম । । সেটাই"- লোকটি জবাব দিলো।
"এটাই আসল পয়েন্ট। স্রষ্টাও আছেন,
কিন্তু তার কি দোষ মানুষ যদি তার
কাছে না যায়?? যদি তার
কাছে না চায়?? মানুষের নিজের জন্যই
তো তার কাছে যেতে হবে, চাইতে হবে,
নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
নাকি??"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।