আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সম শক্তি মানুষদের মধ্যেই শুধু সহমর্মিতা বা সমযোতা হয় অন্যধায় তা কল্পনা করাও পাপ । মেরুদন্ডহীন মানুষগুলোর মেরুদন্ডহীন সিদ্ধান্ত । যারা সিংহের মত মরতে জানে বাচার অধিকার তাদেরই আছে ।

আর কত বলির পাঠা হবে এই মেরুদন্ডহীন মানুষগুলো । যারা সিংহের মত মরতে জানে বাচার অধিকার তাদেরই আছে । ০ ০ ০ ০ ০ ০ ০ ০ কক্সবাজারের বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে এ বছর প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস না ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা কেমন হল: দূর্বলতার প্রতিমুর্তি । যদি পারো ভালো অনুষ্ঠান কর, কেউ বাধা দিতে আসলে প্রভুর নামে তাকে বলি দিয়ে দাও ।

ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা পালন করার অধিকার সবার আছে । ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজের সংবাদ সম্মেলনে বৌদ্ধ সমাজের সভাপতি অজিত রঞ্জন বড়ুয়া বলেন, “বৌদ্ধবিহার ও বসতিতে নারকীয় হামলা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বাংলাদেশের সব বৌদ্ধ বিহারে এবার প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস উত্তোলন থেকে বিরত থাকা হবে। ” পাশাপাশি কঠিন চিবর দান অনুষ্ঠান হবে অনাড়ম্বর। অনুষ্ঠানে সব ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও বর্জন করবেন এ সম্প্র্রদায়ের লোকজন। লিখিত বক্তব্যে অজিত রঞ্জন বড়ুয়া বলেন, “যথাসময়ে ঘটনা প্রতিহত করতে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই রামুর শতাব্দী প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতির নির্দশন ধ্বংস হয়ে গেছে।

প্রাচীন বিহার ও বুদ্ধ মূর্তি ধ্বংস করে দুস্কৃতকারীরা প্রশাসনের নাকের ডগায় উল্লাস করতে করতে চলে যায়। ” ফেইসবুকে কোরআন অবমাননার অভিযোগে ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ মন্দির ও ঘরবাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর চালায় র্র্ধমীয় উগ্রপন্থীরা। রাতভর হামলায় সাতটি বৌদ্ধ মন্দির, অন্তত ৩০টি বাড়ি ও দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়। হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয় আরো শতাধিক বাড়ি ও দোকানে। পরদিন চট্টগ্রামের পটিয়া এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফেও হামলার ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশের বৌদ্ধরা ভীতি ও আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে সরকারের কাছে আট দফা দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বৌদ্ধদের আতঙ্ক দূর না হওয়া পর্যন্ত দেশের সব বৌদ্ধবিহারে পুলিশ-র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন এবং ধংসপ্রাপ্ত বিহারের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া। রামু থানার তৎকালীন ওসিকে আইনের আওতায় এনে তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ থাকলে শাস্তির দাবি জানান তারা। রামু থানার তৎকালীন ওসিকে প্রত্যাহার করে বর্তমানে যে ওসিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তিনিও বিতর্কিত উল্লেখ করে তাকেও প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। এদিকে, দুস্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনা এবং বৌদ্ধ ও মুসলমানদের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থার সংকট দূর করতে রামুতে সর্বদলীয় শান্তি সম্মেলনের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান তারা।

এদিকে, কারা কি উদ্দেশ্যে এ আক্রমন করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়–য়া বলেন, “এ আক্রমন হয়েছে শুধু বৌদ্ধ বিহারে। কোন বৌদ্ধ ভিক্ষু বা ব্যক্তির ওপর নয়। ” হামলা পরিকল্পিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা অনেককে চেনে কিন্তু কারো নাম বলে সমস্যায় পড়তে চাইছে না। বিরোধী দল বিএনপির তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটা রাজনৈতিক ব্যাপার। আমরা এর ঊর্দ্ধে থাকতে চাই।

” সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বৌদ্ধ সমাজ নেতা আদর্শ কুমার বড়ুয়া, অনিল কুমার বড়ুয়া, অমলেন্দু বিকাশ বড়ুয়া, অধ্যাপক মৃণাল কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ। Click Here ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।