আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জজ মিয়ারা বললেন, ‘মাননীয় আদালত, আমরা সাগর-রুনিকে চিনি না’

জোট সরকারের আমলে একজন জজ মিয়া তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ বরাবরই বিএনপি জামায়াতের চেয়ে এগিয়ে। তাই এবার জজ মিয়া বানানো হয়েছে সাত জনকে। ওই সাতজনের মধ্যে চারজনকে আজ আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তাদের বক্তব্য এসেছে বিভিন্ন পত্রিকায়।

মানবজমিন থেকে কিছু অংশ তুলে ধরছি। - ‘মাননীয় আদালত, আমরা সাগর-রুনিকে চিনি না। আমরা কেউই ওই সাংবাদিকদের খুন করি নাই। আমরা নির্দোষ। ’ এ কথা বলেই আদালতের এজলাসে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন আসামি কামরুল হাসান।

সকালে মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরীর আদালতে কামরুল হাসানসহ চার আসামিকে হাজির করা হলে সবাই নিজের নির্দোষ দাবি করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে বিচারক বলেন, আপনারা কান্না থামান, শুনানি শুরু হলে আপনাদের কথা শোনা হবে। পরে দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরা হচ্ছে- কামরুল হাসান ওরফে অরুণ, রফিক, বকুল, সাঈদ ও মিন্টু পেয়াদা। তারা সবাই চিকিৎসক নেতা ডা. নারায়ণ চন্দ্র দত্ত ওরফে নিতাই হত্যা মামলার আসামি।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে র‌্যাব তাদের রিমান্ডে নিয়েছে। রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্বাস উদ্দিন মাতুব্বর বলেন, আমরাও সাগর-রুনির হত্যাকারীদের বিচার চাই। তবে কেন প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার না করে এই আসামিদের মিথ্যা আসামি করা হয়েছে? আসামিদের ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য আমেরিকায় পাঠানো হয়েছে জানিয়ে আব্বাস বলেন, আগে ওই পরীক্ষার রিপোর্ট আসুক, তারপর রিমান্ডে নেয়া হোক। বাংলাদেশে রিমান্ডের নামে আসামিদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয় বলেও তিনি আদালতে অভিযোগ করেন। শুনানি শুরুর আগে আদালতে দাঁড়িয়ে আসামি কামরুল বলেন, আমরা নির্দোষ।

সাগর-রুনির নামও কোনদিন জানতাম না। আমরা কেউ ওই সাংবাদিকদের খুন করি নাই। আমাদের কেন আসামি করা হলো? এ কথা বলেই কাঁদতে শুরু করে কামরুল। অন্য আসামি বকুল বলে, বিনা অপরাধে আমাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন রিমান্ডে নিয়ে আমাদের মেরে ফেলা হবে।

তাদের কান্নার শব্দে বিচারক বলেন, আপনার কান্না থামান। কেঁদে কোন লাভ নেই। শুনানি শুরু হলে আপনাদের কথা শোনা হবে। এ সময় আদালত কক্ষের বাইরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আহাজারি করছিলেন সাঈদের স্ত্রী তৃপ্তি বেগম। তিনি বলেন, আমার স্বামীর কোন দোষ নেই।

সে খুনিও না, চোরও না। সে সাংবাদিকদের খুন করে নাই। রিমান্ডে নিয়ে আমার স্বামীরে মেরে ফেলা হবে। সাংবাদিক ভাইয়েরা, আমার স্বামীকে বাঁচান। স্বজনরা দাবি করেন, বকুল পিয়াজের ও রফিকুল কাঁচামালের ব্যবসা করে।

আর সাঈদ রাস্তায় রাস্তায় পপকর্ন বিক্রি করে। গত ৯ই অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে বহুল আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন ৮ জনকে শনাক্তের দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। এর আগে গত ১০ই অক্টোবর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সাগর-রুনির বাসভবনের সিকিউরিটি গার্ড পলাশ ওরফে রুদ্র ও সাগর-রুনির কথিত পারিবারিক বন্ধু তানভীরকে রিমান্ডে নেয় র‌্যাব। হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে সাগর-রুনির বাড়ির আরেক সিকিউরিটি গার্ড হুমায়ুন ওরফে এনামুলকেও শনাক্ত করা গেছে জানিয়ে তাকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অথচ এই এনামুলকে পুলিশ ও র‍্যাব দুইবার জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছে।

নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাতজন জজ মিয়া সৃষ্টি করে যে চমক দেখিয়েছেন তাতে সাহারা খাতুনও ফেল। জাতি সাহারা খাতুনের চেয়ে বেশিদিন স্মরণ রাখবে জজ মিয়াদের স্রষ্টা মখা আলমগীরকে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।