Only I know what is my goal, My heart is my temple. ঘুষ সঙ্গীত
কাজী সায়েমুজ্জামান
ঘুষের কথা লিখতে গিয়ে পড়ছে মনে খুব,
জড় হলেও ঘুষ খেতো যে একটি নলকুপ।
চাপাচাপি হোকনা যতই বের হতোনা পানি-
কাজের আগে ঘুষ খেতো সে জল একটুখানি।
অথচ এক মেয়ের জন্য লিখছি কত কবিতা,
সুযোগ পেলেই গড়গড়িয়ে শুনিয়েছি সবই তা।
জন্মদিনে গিফট দিয়েছি, দেখা হলেই হাসি,
ইনিয়ে বিনিয়ে বলছি কত তোমায় ভালবাসি।
বাড়ির পাশের সেই মেয়েটি এত্তবড় সেয়ানা
এতপ্রকার ঘুষ খেয়েও হয়নি একটু দেওয়ানা।
সব মিলিয়ে এই ব্যাপারটা বুঝে গেছি আজ,
ঘুষ খেয়ে কেউ হজম করে কেউবা করে কাজ।
ঘুষের আছে বহু প্রকার নানান রকম মাজেজা,
জায়গা মতো দিতে হয় যখন লাগে কাজে যা।
ঘুষের জন্য ফাইল ঠেকানো বহু পুরান রীতি
ঘুষই এখন কাজের কাজী; বাড়ায় সম্প্রীতি।
ঘুষ হিসাবে তেল ব্যবহার অনেকটা টেকসই,
সকল ঘুষ বিফল হলেও ‘তেল’ নিয়ে হইচই।
এখন সকল বাঙালিদের পকেট খুঁজতে গেলে
একটি করেই বোতল মিলবে পরিপূর্ণ তেলে।
তেল মালিশে ঘষাঘষি দুই বুড়ো আঙ্গুলে
তুষ্ট হয়ে কর্তা যাতে অগ্র পশ্চাদ যান ভুলে।
বাজার থেকে ইলিশ কিনে নিয়ে বলে, হুজুর
এই মাছেই পূর্ণ এখন আমার বাড়ির পুকুর।
ঘুষ দিতে হয় গিন্নী যখন ফুসতে থাকে রাগে,
অফিস থেকে বাসায় ফিরুন একটু আগেভাগে।
বলতে হবে মন পুড়ে যায়, শ্বশুড় বাড়ির জন্য
বউয়ের জন্য এই ঘুষটাই কাজ করে অনন্য।
গুছিয়ে একটু বলতে পারলে যত মিথ্যা আছে
এটাই ঘুষের কাজ করবে প্রেমিকাদের কাছে।
ঘুষ এতটাই সার্বজনীন নীতি হারায় সম্বীত,
এই সুযোগে ঘুষখোরেরা গাইছে ঘুষ সঙ্গীত।
(রচনাকাল : সম্ভবত ১৯৯৬ সাল) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।