আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিনা-বিলাওয়াল প্রেমগুজব ও সংবাদমাধ্যম

সাম্প্রতিক সময়ে যে বিষয়টি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল তা হলো হিনা-বিলাওয়ালের প্রেমকাহিনী। কোন কোন সংবাদপত্র 'পরকীয়া প্রেমে মত্ত পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা, বিলাওয়াল ভুট্টোর সাথে' এরকম হেড লাইনের নিউজ ছাপাতেও দ্বিধা করেনি। বিদেশি পত্রিকাগুলো বাংলাদেশি ইংরেজি সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েড ‘ব্লিটজ’-এ প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে সংবাদ পরিবেশন করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, হিনা ও বিলাওয়ালের মধ্যে প্রেমের বিষয়টি নিয়ে ভুট্টো পরিবারে শীতল যুদ্ধ চলছে। বাবা আসিফ আলী জারদারি (পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট) চান না বিলাওয়াল তাঁর চেয়ে ১১ বছরে বড় এবং দুই মেয়ের মা হিনাকে বিয়ে করেন।

অথচ বিলাওয়াল নাছোড়বান্দা। প্রয়োজনে তিনি পিপিপি ছাড়বেন, রাজনীতি ছাড়বেন, কিন্তু হিনাকে বিয়ে করে পাড়ি দেবেন সুইজারল্যান্ডে। হিনার পরিবারেরও সমস্যা চলছে। গত বছর স্বামীর পরকীয়ার সূত্র ধরে কোটিপতি স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিনা খুব দ্রুত বিয়ে ভেঙে দিতে চান।

আর এরপর হয়তো থেকে যাবেন বিলাওয়ালের সঙ্গে। বাবা আসিফ আলী জারদারি ছেলেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের ভেতরে হিনার সঙ্গে বিলাওয়ালকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলার পর থেকে ক্ষুব্ধ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ নিয়ে হিনার সঙ্গে তাঁর বচসাও হয়েছে। ফলাফলে হিনাকে ক্ষমতা ছাড়তেও হতে পারে। তবে এ বচসা আরও বেশি ক্ষুব্ধ করে তুলেছে বিলাওয়ালকে।

এ বিষয়ে একটা হেস্তনেস্ত তিনি হয়তো করেই ফেলবেন। এর পরিপেক্ষিতে‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্ভি নামের এক ব্লগার লিখেছেন, ‘এ খবর মিথ্যা। এটা এত অসত্য যে কখনোই সত্যি হতে পারে না। ’ সুরেশ নামের আরেকজন ব্লগারকে নিজেকে বিলাওয়ালের পারিবারিক বন্ধু দাবি করে লিখেছেন, ‘বিলাওয়াল এক “অতৃপ্ত আত্মা” যে এখনো নিজেকে খুঁজে ফিরছে। তাই এমন অবস্থায় তাঁর পক্ষে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো অসম্ভব।

’ তানজীন জাভেদ নামের এক পাকিস্তানিও একই কথা বলেছেন। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেকের ধারণা ‘যা রটে, তার কিছু তো বটে’। সংবাদ প্রকাশের আগে সংবাদের সত্যতা গ্রহন যোগ্যতা যাচাই করা উচিৎ। মন গরা সংবাদ দেশ জাতি উভয়ের জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।