আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি : স্নাতক ডিগ্রি ছাড়াই ৮ বছর চাকরি এক শিক্ষকের নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি : স্নাতক ডিগ্রি ছাড়াই ৮ বছর চাকরি এক শিক্ষকের

ডাইরেক্ট কপি মারলাম..... নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) বিবিএ প্রোগ্রামের পরিচালকের ভুয়া সনদ চিহ্নিত হওয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ভুয়া সনদধারী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শীঘ্রই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) আবেদন করছেন শিক্ষার্থীরা। দেশের শীর্ষস্থানীয় এই বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আরও কয়েকজন ভুয়া সনদধারী শিক্ষক আছে বলেও শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বরাবরই ভুয়া সনদধারী শিক্ষকদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অভিযোগপত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এনএসইউ'র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ 'বিবিএ' প্রোগ্রামের ডিরেক্টর পদে স্কুল অফ বিজনেস অনুষদের শিক্ষক ড. জসিম উদ্দিন আহমেদকে দায়িত্ব নিয়োগ দেয়া হয়।

যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার জন্য একজন প্রার্থীর স্নাতক ডিগ্রি আবশ্যক। পাশাপাশি এসএসসি থেকে মাস্টার্স/পিএইচডি পর্যন্ত প্রত্যেকটি ডিগ্রিতে কমপক্ষে প্রথম বিভাগ (জিপিএ-৩.৫) থাকা আবশ্যক। অথচ ড. জসিম উদ্দিন আহমেদের কোন স্নাতক ডিগ্রিই নেই। তবে তিনি নিজের জীবনবৃত্তান্তে উল্লেখ করেছেন ১৯৮৮-১৯৯০ শিক্ষাবর্ষে তিনি 'সিটি কলেজে বিকম'-এ ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ওই কোর্স শেষ করেছেন কী না তা উল্লেখ নেই।

তিনি পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে যুক্তরাজ্যের নর্থ আম্ব্রিয়া নামক একটি প্রতিষ্ঠান থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া তার জীবনবৃত্তান্তে বলা হয়েছে, তিনি ২০০৩ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানচেস্টার থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। অথচ তার সরবরাহকৃত কাগজপত্রে দেখা গেছে, তিনি পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন ২০০৩ সালের ৯ ডিসেম্বর ওই দেশের ইউমিস্ট (্ইউএমআইএসটি) নামক একটি প্রতিষ্ঠান থেকে, পরবর্তীতে নানা বিতর্কের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি এনএসইউ কর্তৃপক্ষও এখন জানতে পেরেছে ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানচেস্টারের অ্যালামনাই লিস্টে ড. জসিমের নাম নেই। এ বিষয় জানতে চাইলে এনএসইউ'র বিবিএ পরিচালক ড. জসিম উদ্দিন আহমেদ 'সংবাদ'কে বলেছেন, 'আমাকে বিবিএ'র পরিচালক করার পর থেকেই নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

কারণ আট বছর চাকরি করার পর এখন হঠাৎ কেন সনদ নিয়ে প্রশ্ন আসল?' পিএইচডি ডিগ্রির বিষয়ে তিনি বলেন, ''আমি ২০০৩ সালে লন্ডনের ইউমিস্ট থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করি। পরবর্তীতে ওই ইউমিস্ট'র নাম পরিবর্তন হয়ে 'দি ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানচেস্টার' হয়ে যায়''। স্নাতক ডিগ্রি না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমি ২০০০ সালে লন্ডনের 'দি ইউনিভার্সিটি অফ লিংকন' থেকে 'পিজি ডিপ্লোমা ইন ট্রাটেজিক মার্কেটিং' অর্জন করি। ওই সনদ বাংলাদেশের স্নাতকের সমমানের'। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসি'র সদস্য প্রফেসর ড. আতফুল হাই শিবলী 'সংবাদ'কে বলেছেন, 'পিজি ডিপ্লোমা কোন ডিগ্রিই নয়।

এটা স্নাতকের সমমানের হতেই পারে না'। ড. জসিমের সনদ তদন্ত করা হবে কী না সে বিষয়ে তিনি বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসলে অবশ্যই তা খতিয়ে দেখা হবে। কারণ এটি গুরুতর অপরাধ'। জানা গেছে, ২০০৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি ছাড়াই জসিম উদ্দিন আহমেদকে খ-কালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তখন নিয়োগ কমিটির সভাপতি ছিলেন এনএসইউ'র তৎকালীন ডিন ড. মেশকাত উদ্দিন আহমেদ।

কিন্তু সম্প্রতি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন ড. জসিমের কোন স্নাতক ডিগ্রি নেই। এরপরই তারা ওই শিক্ষকের যাবতীয় সনদ ও একাডেমিক কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে এনএসইউ'র ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুস সাত্তারের কাছে আবেদন করেছেন। এরপর থেকেই এনএসইউ বর্তমানে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এমএ হাসেম ও সদস্য মো. শাহজাহান ড. জসিম উদ্দিন আহমেদকে রক্ষায় মরিয়া চেষ্টা করছেন বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনএসইউ'র ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুস সাত্তার 'সংবাদ'কে বলেছেন, 'ড. জসিমের নিয়োগ হয়েছিল অনেক আগে। তাই তার সনদপত্রের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

তবে জাল সনদের অভিযোগ আসলে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে' সুত্র ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।