নীল পাগলের দেশ থেকে
যারা গত পর্বের লেখাটা পড়েছেন, শুধুমাত্র তাদের জন্যই ।
Click This Link
গত পর্বের লিংক
মুলত এই সিগনালটি আসে মহাকাশের constellation Sagittarius এলাকা থেকে, যার ফ্রেকোয়েন্সী নির্ণয় করা হয়, 1420.456 MHz । এখানে উল্লেখ্য বিষয় হল সিগনালটি মুলত দুটি ডিটেকটরের মাধ্যমে ধরা পড়ে । কিন্তু দ্বিতীয় ডিটেকটর মাত্র ৩ মিনিট পড়ে আর কিছুই খুজে পায় না । যার কারণ বিঙানীরা মনে করছেন, উৎস হয়তো তার স্হান পরিবর্তন করেছে, অথবা বন্ধ হয়ে গেছে, কিংবা পৃথিবীর ঘুর্ননের কারণে তাকে আর খুজে পাওয়া যায়নি ।
তাই পরবর্তিতে বিঙানীরা পুরো মাস জুড়ে সিগন্যালটি খুজে বের করার চেষ্টা করেন । এবং একসময় তারা সিগন্যালের কোন কুলকিনারা করতে না পেরে পুরো বছর জুড়ে পৃথিবীর বিভিন্ন স্হান হতে ডেপথ সার্চ করে, যা কিনা একসময় পুরো ২০ বছর মেয়াদি এক পরিকল্পনায় দাড়ায়, কিন্তু তথাপিও সেই রহস্যময় সিগন্যালটি পুরোপুরি রহস্যই থেকে যায় ।
বিশ্বের কিছু কিছু বিঙানীগণ এটাকে " নক্ষত্রমণ্ডলগত স্ফুলিঙ্গায়ন " বা interstellar scintillation বলে আখ্যায়িত করেছেন । মহাকাশের সবসময়ই কিছু না কিছু দুর্বল এবং ডিসটোরটেড সিগনাল আসে যার প্রতিটিরই ব্যখ্যা আছে, কোনটা ধুমকেতুর কারণে কোনটা হয়তো গ্রহানু বা ব্লাক হোলের আব হাওয়া গত চাপ বা তাপের কারণে কিন্তু Wow! signal এর মতো এতো নিখুত সিগন্যাল আর কোনদিনও পাওয়া যায়নি ।
এবার আসি বৈঙানিক ভাবে Wow! signal এর রহস্যের কিছু কারণ সম্পর্কে, Wow! signal এর ছবিতে আমরা দেখতে পেয়েছি যে এই রহস্যময় সিগন্যালটি ভারটিক্যালি 6EQUJ5 কোডটি নির্দেশ করে ।
যার পরবর্তিতে বিঙানীগণ সিগন্যালের তীক্ষনতা নিয়ে একটি সমীকরণ তৈরি করেন ।
6---> the range 6.0 - 6.999...
E --> the range 14.0 - 14.999...
Q --> the range 26.0 - 26.999...
U --> the range 30.0 - 30.999...
J --> the range 19.0 - 19.999...
5 --> the range 5.0 - 5.999...
যেখানে "U" এর মান 30.0 - 30.999 যা মহাকাশে এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে বেশি হাই ফ্রেকোয়েন্সির শব্দ । যা বর্তমানের আবিস্কৃত Arecibo radio এর মতো অত্যাধুনিক এন্টেনাও ধরতে পারে নাই ।
লেখাটা হয়তো একটি বেশি বিঙানভিত্তিক হয়ে গেছে, কিন্তু কিছু করার নেই কারণ মহাকাশের কোন কিছুর ব্যখ্যা দিতে গেলে এরকমই হয় । নিচে মহাকাশের যে এলাকা থেকে Wow! signal পাওয়া গেছে তার একটি ছবি দিলাম ।
যেখানে লাল দাগ দুটিই সেই রহস্যময় উৎস ।
ভালো লাগলে জানাবেন ।
তথ্যসুত্রঃ উইকিপিডিয়া, ন্যাশনাল জিওগ্রাফী ও রেডিও ওবজারভেটরি থেকে সংগৃহিত । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।