আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের নলকাটা গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার জাকির হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তি তাঁর দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। এ সময় জাকির তাঁর স্ত্রী ও আরেক ছেলেকেও কুপিয়ে জখম করেন।
খবর পেয়ে জাকিরের ভাই আবুল হোসেন তাঁদের বাড়িতে গেলে তিনি তাঁকেও কুপিয়ে জখম করেন। পরে নিজের মাথা ফাটিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাঁকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
এলাকাবাসীর কেউ কেউ জানান, জাকির বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নেন।
তিনি ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। সম্প্রতি তিনি বাড়িতে ফিরে আসার পর ওই সংস্থাগুলো ও ব্যক্তিরা টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেন। এ কারণে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। দুপুরে জাকির তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের খাবার খেতে দেখে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি দা দিয়ে মেয়ে সুলতানা আক্তার (৪), ছেলে এমরান হোসেন (৮) ও সোহাগ হোসেন (১০) এবং স্ত্রী লিপি আক্তারকে (৩০) কুপিয়ে জখম করেন।
এতে ঘটনাস্থলেই সুলতানা ও এমরান মারা যায়। এ সময় জাকিরের ভাই আবুল তাঁদের বাড়িতে গেলে তিনি তাঁকেও কুপিয়ে জখম করেন। গুরুতর আহত সোহাগ, লিপি ও আবুলকে প্রথমে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘জাকির মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।
তাঁকে ধরে আমরা পুলিশে সোপর্দ করেছি। ’
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, ‘জাকির কী কারণে তাঁর সন্তানদের কুপিয়ে হত্যা করেছেন, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। তবে যতটুকু জানতে পেরেছি, জাকির ঋণগ্রস্ত ছিলেন। ’
Click This Link
*************************
দিন যত যাচ্ছে শেখ হাসিনার ডিজিটাল শাসনের সুচিত্র ভেসে উঠছে। কয়েকদিন আগে আমার এক আত্নীয়র কাছে প্রতিবেশী এক যুবক হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলনে! কি ব্যাপার? আংকেল আমার বিদ্যুৎ বিল ৯০০ টাকার বেশী হওয়ার কথা নয় সেখানে আমার সেপ্টম্বরের বিল ৩৭০০ টাকা! ভদ্রলোক বেতন পায় ১২ হাজার টাকা।
ছোট দুই রুম নিয়ে ভাড়া দেয় ৫ হাজার টাকা। তার লাভ এটুকুই বাসা হতে এক মাইলের মধ্যে গার্মেন্টস তাই যাতায়াত ভাড়া লাগে না। ৩ বছরের এক ছেলে নিয়ে কোনমতে চলে। এখন বিদ্যুৎ বিল দিতে গেলে সারা মাসের বাজার ও অন্যান্য খরচ কুলাতে পারবে না। এটাতো গেল ঢাকা শহড়ের চিত্র।
গ্রামের অবস্থাও কঠিন। বেশীর ভাগ দিন মজুর ও গৃহহীন মানুষ। এই খবরে একজন মন্তব্যকারী বলছেন;
F Haque ২০১২.১০.১০ ০৭:০২
সরকার কৃষককে ন্যায্য মূল্য না তাদেরকে তাদেরকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। তারই ফলে নিজ সন্তানকে মেরে ফেলতেও অপরাধ বোধ হচ্ছে না। ২০০৬ সালে যেখনে ৩০০ টাকায় ৫০ কেজি ইউরিয়া সার পাওয়া যেত এখন সেখানে ১০০০ টাকা লাগে।
কৃষকের প্রধান অর্থকরি ফসল ধান, এই ধানেরই নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে । যাতে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে চলতেই হিমশিম কাচ্ছে, করতে হচ্ছে অতিরিক্ত ঋন, ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে আজ মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।
তাই বলে কি নিজের সন্তানকে খুন, এটা মেনে নেয়া যায় না।
এটাতো শুধুই সারের হিসাব। এর সাথে বীজ, সেচ সহ আনুষাঙ্গিক খরচ আছে।
তার উপর কৃষকের বউ, সন্তান নিয়ে প্রতিদিনের খাওয়ার খরচ! সহজ অর্থেই নুন আনতে পান্তা ফুড়ায়। মজুরী বাড়লেও খরচ বেড়েছে আরো বেশী। তাই মানুষ আজকে দেউলিয়া হওয়ার অবস্থা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।