আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জি এস পি সুবিধা বাতিলে বি এন পি’র প্রচারনা

আমি একজন ছাএ বাংলাদেশের পোশাক খাতের রপ্তানী সুবিধা বাতিল করতে বিরোধী দল যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। উদ্দেশ্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এই খাত ব্যর্থ হলে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যাবে। এই সুযোগে বিরোধীদল ক্ষমতার মসনদে বসতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা হারালে বাংলাদেশের কি ধরনের সম্ভাব্য সমস্যা হতে পারে তা আমরা একটু দেখে নিতে পারি। রপ্তানী বাণিজ্য বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করবে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আর বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্বে খারাপ ইঙ্গিত বহন করবে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী পণ্যের জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্স বা জিএসপি সুবিধা থাকবে কি না সে সিদ্ধান্ত হবে এ মাসেই। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কমিটিতে জিএসপি শুনানি শেষে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সিনেট কমটির চেয়ারম্যান ডেমোক্র্যাট দলের সিনেটর রবার্ট মেনদেজ বাংলাদেশী পণ্যের জিএসপি সুবিধা বাতিলের জন্য তার যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি মনে করেন, এ ব্যবস্থা নেওয়া হলে তা হবে বাংলাদেশের জন্য একটি সিগন্যাল।

তখন শ্রমিক অধিকার সুরক্ষা হবে এবং কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিবে। চলতি মাসের শেষদিকে জানা যাবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্ত। শুনানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদির উপস্থিত ছিলেন। এর আগে আরও চারদফা শুনানি হয়েছে। তখন তারা চেয়েছিল প্রচলিত জিএসপি সুবিধা বহাল রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন তৈরি পোশাকেও জিএসপি সুবিধা পায়।

এপ্রিলে রানা প্লাজা ধসে পাঁচটি পোশাক কারখানায় এক হাজারের বেশি শ্রমিক নিহত হওয়ায় পরিস্থিতি পাল্টে যায়। তাই সর্বশেষ শুনানিতে ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রমিক অধিকার, শ্রমিক নিরাপত্তা গুরুত্ব পেয়েছে। ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পেয়ে আসছে। বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ পন্য এই সুবিধা পেলেও তৈরি পোশাকে এই সুবিধা নেই। যুক্তরাষ্ট্র থেকে রপ্তানী আয়ের মাত্র শতকরা ০.৫৪ ভাগ আসে জিএসপি সুবিধা থেকে যার পরিমান গত বছরে ছিল ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আর মোট রপ্তানী আয় ছিল ৪.৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই অবস্থা অনুকূলে আনতে শেষ দিন পর্যন্ত সরকারকে সচেষ্ট থাকতে হবে। তবেই রক্ষা পাবে আমাদের বাণিজ্য, অর্থনীতি। দেশ এগিয়ে যাবে ভিশন ২১ এর দিকে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।