শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরুটা হয়েছিল ইনিংসের প্রথম বলেই। সাজঘরের পথ ধরেছিলেন ওপেনার কুশাল পেরেরা। এরপর ধুঁকতে ধুঁকতে লঙ্কান ইনিংস শেষ হয়েছে মাত্র ১৩৮ রানে। শ্রীলঙ্কার শেষ ব্যাটসম্যান লাসিথ মালিঙ্গা যখন আউট হন তখনও খেলার বাকি ছিল ১২ ওভার। ৬৮ রানের ইনিংস খেলে শ্রীলঙ্কাকে আরও বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে দারুণ বোলিং করে চারটি উইকেট শিকার করেছেন মিচেল ম্যাকক্লেনগান।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই কিউই পেসার কাইল মিলস ও মিচেল ম্যাকক্লেনগানের তোপের মুখে পড়েন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। প্রথম বলেই মিলসের শিকার হন পেরেরা। আরেক ওপেনার তিলকরত্নে দিলশান স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে শুরু করেছিলেন ঝোড়ো গতিতেই। কিন্তু ১৮ বলে ২০ রান করে তিনিও সাজঘরমুখী হন ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে।
শ্রীলঙ্কান শিবিরে হতাশা ছড়িয়ে প্রথম আট ওভারের মধ্যে আউট হন দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মাহেলা জয়াবর্ধনে ও দিনেশ চান্ডিমালও। সেসময় শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল মাত্র ৩৪ রান। পঞ্চম উইকেটে ৩১ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও সাঙ্গাকারা। কিন্তু ২১তম ওভারে ম্যাথুস মাত্র ৯ রান করে সাজঘরে ফিরলে চাপের মুখে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লঙ্কানরা।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের মধ্যে দিয়ে লঙ্কান ইনিংস শেষ হয় ১৩৮ রানে। একে একে ফিরে যান লাহিরু থিরিমানে (৯), থিসারা পেরেরা (১৫), সাঙ্গাকারা (৬৮), সামিন্দা ইরাঙ্গা (০) ও লাসিথ মালিঙ্গা (২)। ৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন রঙ্গনা হেরাথ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।