আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার ধরা খাওয়া-১

আমি লিখি মানুষের কথা,মানুষ পড়ে না। আমার ধরা খাওয়া-১ জীবন আমাকে তার প্রতিটি বাঁকে চমক দেখায়। সেই চমকের কিছু গল্প ‘জীবনের প্রতি বাঁকে আশ্চর্য চমক’ শিরোনামে লিখছি। এই সিরিজে আমি বলব আমার ধরা খাওয়ার গল্পগুলি। নতুন বাড়ির ইলেকট্রিক ওয়ারিং করতে হবে।

গেলাম বিখ্যাত একটা দোকানে। বললাম,একটা ভাল ওয়ারিং মিস্ত্রির খোঁজ দিতে পারেন। দোকানদার বলল: একটা কেন একশটার খোঁজ দিতে পারি। আমি বললাম:একশটা নিয়ে আমি কি করব,আমার দরকার একজন দক্ষ ও সৎ মিস্ত্রি। ---পাবেন,এখানেই পাবেন।

একটু বসুন। দোকানদার মোবাইল কল করল। আমি বসলাম। এক ঘন্টা হয়ে গেল তবু মিস্ত্রি আসে না। বললাম: আপনার মিস্ত্রি কি দুবাইয়ে থাকে।

---আরে না,না,সে এই পাশের বাড়িতে ওয়ারিং করছে,বিশ্বস্ত কিনা,তাই হাতের কাজ ছেড়ে আসতে পারছে না। আরো একঘন্টা পরে মিস্ত্রি এল। বললাম,একটা ষোল বাই চৌদ্দ ঘর ওয়ারিং করতে কি-কি মাল লাগবে লিস্ট তৈরী করুন। মিস্ত্রি বলে আর দোকানদার লেখে। বিশাল ফর্দ তৈরী হল।

আমি একশ টাকা অ্যাডভান্স দিয়ে বললাম,কাল এসে মাল সব নিয়ে যাব। পরদিন বিকেলে এমন বৃষ্টি এল,ঘর থেকে বের হতে পারলাম না। পরদিন সকালে গিয়ে দেখি দোকানে শাটার ফেলা। দোকান বন্ধ। মিস্ত্রিকে ফোন করলাম।

মিস্ত্রি এল। বলল,ওর ছেলে অসুখ,ডাক্তার দেখাতে গেছে। চলুন অন্য দোকানে যাই। ---কিন্তু আমার অ্যাডভান্সের টাকা? ---ওটা দিয়ে পরে অন্য কোন মাল নিয়ে নেবেন। অন্য দোকানে মালপত্র কেনা হল।

ওয়ারিংও হয়ে গেছে। মিস্ত্রির কাছেও ধরা খেয়েছি,সে গল্প আগামী পর্বে বলব। সে প্রায় দুমাস আগের কথা,এখনও সেই দোকানদারের দোকান বন্ধ। ছেলের চিকিৎসা করাতে বোধহয় দক্ষিণ ভারত গেছে। কবে ফিরবে কে জানে।

আমার অ্যাডভান্সের কথা তার মনে থাকবে কিনা কে জানে। এখন যখন আমি ওই রাস্তায় যাই বন্ধ থাকা দোকানটিকে একবার দেখি। মনে ভাবি,আমার বয়সী লোকরা তো এখন যে-যেদিকে পারছে টাকা ইনকাম করছে। টাকাই নাকি তাদের হাতে ধরা দিচ্ছে! আর আমি কিনা এই বয়সে নগদ ১০০ টাকা ধরা খেলাম!!!!!!!!!!!! ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।