আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

~~~ স্বামী - স্ত্রী বিষয়ক অর্ধশত কৌতুক ~~~

কলম চালাই ,এইগুলো লেখার পর্যায়ে পরে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে :) ব্লগের বয়স বছরের উপরে দেখালেও নিয়মিত লিখছি ১৭ আগস্ট ২০১২ থেকে :) ১) স্ত্রী কাঁদছে, কাঁদুক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গেছেন শাকিল। গিয়ে দেখেন বন্ধুর স্ত্রী কাঁদছেন। শাকিল: কিরে, তোর বউ কাঁদছে কেন? বন্ধু: জানি না। জিজ্ঞেস করিনি। শাকিল: ওমা! জিজ্ঞেস করিসনি কেন? বন্ধু: আগে যতবার জিজ্ঞেস করিছি, প্রতিবারই আমাকে ফতুর হতে হয়েছে! ২) উপহার : খোয়াবনামা নতুন বছরের প্রথম দিনে ঘুম ভাঙতেই মিসেস মৌলী ছুটে গেলেন তাঁর স্বামী শরিফের কাছে।

গদগদ স্বরে বললেন, ‘ও গো, শুনছ, কাল রাতে আমি দারুণ একটা স্বপ্ন দেখেছি!’ শরিফ: ‘কী স্বপ্ন দেখেছ?’ মৌলী: ‘দেখলাম, নতুন বছরের প্রথম দিন উপলক্ষে তুমি আমাকে সুন্দর একটা হীরার আংটি উপহার দিয়েছ! এই স্বপ্নের অর্থ কী, বলো তো?’ রহস্যময় হাসি হেসে বললেন শরিফ, ‘তুমি কোনো চিন্তা কোরো না, প্রিয়তমা। আজ রাতেই এর অর্থ জানতে পারবে!’ রাতে শরিফ ঘরে ফিরলেন সুন্দর একটা উপহারের প্যাকেট নিয়ে। চটজলদি প্যাকেট খুললেন মৌলী। প্যাকেটের ভেতর থেকে বের হলো একটি বই, নাম ‘খোয়াবনামা’! ৩) পুরুষের পিছনে নারীর হাত গদা: এই যে আজ আমার এত টাকা-পয়সা, বলতো আমার পিছনে কার হাত সবচেয়ে বেশি? পদা: কার? গদা: তোর ভাবীর। পদা: কিভাবে? গদা: মানিব্যাগটা তো পিছনের পকেটেই থাকে।

৪) আই অ্যাম ডায়িং এক লোক এসএমএস করেছে তার বউকে, ‘কী করছ সোনা?’ ‘আই অ্যাম ডায়িং। ’ লোকটি আনন্দে নেচে উঠে আবার লিখল, ‘সুইট হার্ট, আমি কী করে বাঁচব তোমাকে ছাড়া?’ ‘দূর বোকা, আমি আমার চুল ডাই করছিলাম!’ ৫) কবুল বলিস না স্বামী টিভি দেখছিল। হঠাত চিৎকার করে উঠল: কবুল বলিস না! কবুল বলিস না!! কবুল বলিস না!!! রান্নাঘর থেকে স্ত্রী জিজ্ঞেস করলো: টিভিতে কি দেখছ? স্বামী: আমাদের বিয়ের ভিডিও। ৬) বিপরীতে হিত সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে জ্যাক দেখল, বিছানার সাইড টেবিলে একটা চিরকুট। তার বউ রেখে গেছে।

সেখানে লেখা—প্রিয়তম, রান্নাঘরে তোমার জন্য নাশতা তৈরি আছে। তুমি উঠে নাশতা সেরে নিয়ো। আমি বাজার থেকে ফিরে দুপুরের জন্য রান্না করব। দুপুরে আমরা আজ একটু ভালো-মন্দ খাব। জ্যাক ভালো করে চোখ কচলে গতকাল থেকে কী কী ঘটেছে তা মনে করার চেষ্টা করল।

কিন্তু কিছুতেই তার কিছু মনে পড়ল না। শুধু এইটুকু মনে আছে, গতকাল একটা ক্লাবে পার্টি ছিল। সে তার বন্ধুদের সঙ্গে পার্টিতে প্রচুর আনন্দ করেছে। ড্রিংক করেছে। এরপর আর কিছুই মনে নেই তার।

হ্যাংওভার হয়েছিল! তখন সে বাসার কাজের ছেলেটাকে ডাকল। ‘এই বল তো, গতকাল রাতে কী হয়েছিল?’ ‘আপনি তো পার্টি থেকে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে বাসায় ফেরেন। আপনার তখন কোনো হুঁশ-জ্ঞান ছিল না। ভাবি আপনাকে টেনে গোসল করানোর জন্য বাথরুমে নিয়ে যান। ভাবি যখন আপনার শার্টের বোতাম খুলছিলেন তখন আপনি ধমকের সুরে বলছিলেন, এই দেখো ভালো হবে না কিন্তু।

আমি বিবাহিত। বাসায় আমার বিবাহিত স্ত্রী আছে। এরপর আমার গায়ে কেউ হাত দিলে ওই হাত আমি কেটে ফেলব। ’ তারপর? তারপর আর কী! এরপর থেকে দেখি ভাবি মহাখুশি! ৭) অজুহাত বাজার করতে গিয়ে এক লোক বন্ধুদের খপ্পরে পড়ে গেল। পাঁচ-ছয় ঘণ্টা আড্ডা দেওয়ার পর বাজার করে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলো।

হাঁটতে হাঁটতে বউয়ের কথা মনে পড়তেই তার শরীর কাঁপতে লাগল। কারণ, সে যে পরিমাণ দেরি করেছে, তাতে বউ তাকে আস্ত রাখবে না। কিন্তু বউয়ের হাতে মার খেলে যেহেতু মানসম্মান থাকবে না, তাই সে বাঁচার জন্য একটা পথ খুঁজতে লাগল। খুঁজে খুঁজে পেয়েও গেল। তার ব্যাগে ছিল চিংড়ি মাছ।

চিংড়িগুলো তখনো জীবিত ছিল। সে সিদ্ধান্ত নিল, চিংড়িগুলোকেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে। করলও তা-ই। বাড়িতে পৌঁছেই সে উঠানে ছেড়ে দিল চিংড়িগুলো। বউ তার সামনে এসে দাঁড়াতেই সে চিংড়িগুলোর দিকে তাকিয়ে বলল, এই হাঁট হাঁট।

জোরে হাঁট। এত আস্তে আস্তে হাঁটছিস বলেই তো তোদের নিয়ে বাড়ি ফিরতে এত দেরি হয়ে গেল। ৮) সেই জুয়েলারির দোকানের ঠিক পাশে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফোনে কথা হচ্ছে। স্ত্রী: (ধমকের স্বরে) কোথায় তুমি? স্বামী: প্রিয়তমা, তোমার কি সেই জুয়েলারির দোকানটার কথা মনে আছে, যে দোকানের একটা গয়নার সেট তুমি পছন্দ করেছিলে এবং বলছিলে, ‘ইশ্! যদি এটা কিনতে পারতাম?’ স্ত্রী: (গদগদ স্বরে) হ্যাঁ প্রিয়তম, মনে আছে! স্বামী: আমি সেই জুয়েলারির দোকানের ঠিক পাশের দোকানে বসে চা খাচ্ছি। ৯) এত আনন্দ স্ত্রী: কখনো ভেবে দেখেছ, আমি একদিন মরে যাব।

স্বামী: না না! তুমি মরে গেলে আমিও যে মারা যাব! স্ত্রী: কিন্তু কেন? স্বামী: কারণ এত আনন্দ আমি সহ্য করতে পারব না! ১০) স্ত্রী কিছুতেই মাশরুমটা খেতে চাচ্ছিল না শফিক: হ্যালো, হ্যালো! হাসপাতাল? এক্ষুনি আমার একটা অ্যাম্বুলেন্স দরকার। আমার স্ত্রী একটা বিষাক্ত মাশরুম খেয়ে ফেলেছে। হাসপাতাল থেকে লোকজন ছুটে গেল শফিকের বাসায়। হাসপাতালের কর্মী: একি! আপনার কপাল অমন ফোলা কেন? ঠোঁটও দেখছি কেটে গেছে। ঘরটাই বা এমন লন্ডভন্ড কেন? শফিক: কারণ, আমার স্ত্রী কিছুতেই মাশরুমটা খেতে চাচ্ছিল না! ১১) অপরিচিত নারী মার্কেটে কেনাকাটার সময় এক ভদ্রমহিলাকে বলছেন এক লোক, ‘এই যে শুনুন।

’ ভদ্রমহিলা: বলুন লোক: এখানে এসে আমি আমার স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি কি আপনার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলতে পারি? ভদ্রমহিলা: স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলেছেন তো আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন কেন? লোক: না মানে…আমি লক্ষ করেছি, যখনই আমি কোনো অপরিচিত নারীর সঙ্গে কথা বলতে নিই, তখনই কোথা থেকে যেন আমার স্ত্রী এসে হাজির হয়! ১২) রিমোট কন্ট্রোল এক ভদ্রমহিলা কেনাকাটা শেষে টাকা দেওয়ার সময় বিক্রেতা লক্ষ করলেন, ভদ্রমহিলার ব্যাগের ভেতরে একটা টিভি রিমোট কন্ট্রোল। বিক্রেতা: কিছু মনে করবেন না, ম্যাডাম, আপনি কি সব সময় ব্যাগে রিমোট কন্ট্রোল রাখেন? ভদ্রমহিলা: না। শুধু যেদিন আমার স্বামী আমার সঙ্গে মার্কেটে আসতে রাজি হয় না, সেদিন! ১৩) যদি টাকা-পয়সা না থাকত থাইল্যান্ডে হানিমুনে গেছে এক দম্পতি— স্বামী: আজ যদি আমার এত টাকা-পয়সা না থাকত, হয়তো আমরা এই বিলাসবহুল হোটেলে থাকতে পারতাম না। স্ত্রী: হ্যাঁ।

হয়তো আমাদের থাইল্যান্ডেও আসা হতো না। তার চেয়ে বড় কথা, এসব কথা বলার জন্য আমাকেও পাশে পেতে না! ১৪) স্বপ্নের গাড়ি স্বামী-স্ত্রীতে কথা হচ্ছে— স্বামী: ওগো শুনছো, সেই ১৯৭৯ সাল থেকে টাকা জমানো শুরু করার পর অবশেষে আজ স্বপ্নের গাড়িটা কেনার মতো টাকা আমার হয়েছে। স্ত্রী: সত্যি?! কী গাড়ি? ২০১০ মডেলের টয়োটা? স্বামী: না! একটা ১৯৭৯ মডেলের মিতসুবিশি! ১৫) মূল্য পৃথিবীতে সবকিছুই আপেক্ষিক। যে ৫০০ রুবলের কথা আমার স্ত্রী জানে না, সেটার মূল্য আমার কাছে সেই দুই হাজার রুবলের চেয়ে বেশি, যার কথা আমার স্ত্রী জানে। ১৬) অশ্লীল গান দুই বান্ধবীর কথোপকথন।

—স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করেছ কেন? —ও একগাদা অশ্লীল গান জানে! —তোমাকে গেয়ে শুনিয়েছে? —না, শিস বাজায় সারাক্ষণ। ১৭) কিসের গন্ধ থাকবে স্বামী দেরি করে বাসায় ফিরলে জেরা শুরু করল স্ত্রী: —কোথায় ছিলে এতক্ষণ? —বন্ধুর বাসায়। —কী করছিলে? —দাবা খেলছিলাম। —তাহলে তোমার শরীরে ভোদকার গন্ধ কেন? —তবে কিসের গন্ধ থাকবে, দাবার? ১৮) মোটামুটি কম খারাপ ভীষণ সেজেগুজে স্বামীর সামনে গিয়ে দাঁড়াল স্ত্রী। স্ত্রী: দেখো তো, আমাকে কেমন দেখাচ্ছে? স্বামী: মোটামুটি কম খারাপ না! ১৯) সুখী জীবনযাপন দুই বন্ধুতে কথা হচ্ছে— প্রথম বন্ধু: আমি আর আমার স্ত্রী জীবনের ২০টি বছর সুখী জীবনযাপন করেছি।

দ্বিতীয় বন্ধু: তারপর? প্রথম বন্ধু: তারপর একদিন….আমাদের দুজনের দেখা হলো! ২০) বিয়ে করার কথা স্বামী: ও গো শুনছ, একটু পর আমার একজন বন্ধু আসবে। স্ত্রী: গাধা, বোকার হদ্দ কোথাকার, করেছ কী? দেখো না ঘরের কী অবস্থা? ভাঙা ফুলদানি, কাচের প্লেট, ঝাড়ু ঘরজুড়ে সব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। স্বামী: এই জন্যই তো ওকে আসতে বলেছি। গর্দভটা বিয়ে করার কথা ভাবছে! ২১) ঘুষ দেওয়ার লোভ ক্রিকেটপাগল স্বামী প্রতি ছুটির দিনেই ক্রিকেট খেলতে মাঠে ছোটেন। স্ত্রী: আমার মনে হয়, যে ছুটির দিনে তুমি বাসায় থাকবে, সেদিন আমি খুশিতে মারাই যাব।

স্বামী: আমাকে ঘুষ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে লাভ হবে না! ২২) সুখী দাম্পত্যের জন্য পুরুষের করণীয় সুখী দাম্পত্যের জন্য পুরুষের করণীয় দুটো: ১. যখনই কোনো ভুল করবেন, সঙ্গে সঙ্গে স্বীকার করতে ভুলবেন না। ২. যদি আপনার কথাই ঠিক হয়, তাহলে মনের ভুলেও সেটা বলতে যাবেন না। ২৩) স্ত্রীর স্মৃতিশক্তি : আমার স্ত্রীর স্মৃতিশক্তি সবচেয়ে জঘন্য। : সব ভুলে যায়? : সব মনে রাখে। ২৪) ধোঁকা বড় কর্তার সেক্রেটারির সঙ্গে বড় কর্তার স্ত্রীর কথা হচ্ছে— সেক্রেটারি: ম্যাডাম, কয়েক দিন ধরে আপনাকে বেশ উদাস দেখা যাচ্ছে।

কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি! বড় কর্তার স্ত্রী: আর বোলো না। শুনেছি তোমার বস অফিসের এক নতুন কর্মচারীর প্রেমে পড়েছে। সেক্রেটারি: বলেন কী! এটা কিছুতেই হতে পারে না। স্যার কিছুতেই আমাকে ধোঁকা দিতে পারেন না। ২৫) আমি কি কখনো হাঁড়ি চাই প্রোগ্রামার স্বামী ল্যাপটপ নিয়ে কাজে মগ্ন।

স্ত্রী এসে বলল, দাও না গো, একটু খেলি? মনিটর থেকে চোখ না সরিয়ে উত্তর দিল প্রোগ্রামার, তুমি যখন রান্না করো, আমি কখনো হাঁড়ি চাই তোমার কাছে? ২৬) জানালাটা খুলে দিয়ে যান মকবুল হোটেল ম্যানেজারের সঙ্গে ফোনে কথা বলছে— মকবুল: দয়া করে তাড়াতাড়ি ৫০৬ নম্বর কক্ষে চলে আসুন। হোটেল ম্যানেজার: কেন, সমস্যা কী? মকবুল: আমার স্ত্রী জানালা দিয়ে লাফ মেরে আত্মহত্যা করতে চাচ্ছে। হোটেল ম্যানেজার: আপনি স্বামী হয়ে কিছু করছেন না। আর আমি হোটেল ম্যানেজার হয়ে কী করতে পারি, বলুন? মকবুল: আরে ভাই, এখন কথা বলার সময় নয়। তাড়াতাড়ি চলে আসুন।

কারণ, আমার স্ত্রী কিছুতেই জানালা খুলতে পারছে না। জানালাটা খুলে দিয়ে যান। ২৭) চাঁদটা কী সুন্দর রাতের বেলা কেনাকাটা সেরে রিকশায় বাড়ি ফিরছে নতুন দম্পতি। হঠাৎ স্ত্রী বলল, দেখো দেখো, চাঁদটা কী সুন্দর! স্বামী গোমড়া মুখে বলল, রিকশা ভাড়া বাদে আমার কাছে আর একটা টাকাও নেই। ২৮) বিবাহবার্ষিকী ভুলে গেলে স্ত্রী বলছে স্বামীকে, বেসিক ইনস্টিংকট ছবিতে শ্যারন স্টোনের ওই বিশেষ দৃশ্যটির কথা তোমার মনে আছে? —ওই দৃশ্য কখনো ভোলা যায়! —ওই দৃশ্যের কথা মনে রেখেছ অথচ আজ আমাদের বিবাহবার্ষিকী, সেটা ভুলে গেলে কীভাবে? ২৯) উঁচুগলায় কথা স্ত্রী বলছে স্বামীকে, ‘কাল মা আসবে বেড়াতে।

’ নীরবতা। —মাত্র দুই সপ্তার জন্য। নীরবতা। —তুমি শুনছ, কী বললাম? নীরবতা। —আমি ঠিকই জানতাম, তুমি রেগে যাবে।

দীর্ঘশ্বাস! —খবরদার, উঁচুগলায় কথা বলবে না আমার সঙ্গে! ৩০) নিষেধ করছো না কেন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে— স্ত্রী: শোনো, তোমার বন্ধু যে মেয়েটিকে বিয়ে করতে যাচ্ছে ওই মেয়ে কিন্তু অতোটা ভালো নয়। স্বামী: এতে আমার সমস্যাটা কী? স্ত্রী: আরে, জেনেশুনে তোমার বন্ধু খারাপ মেয়েকে বিয়ে করবে! তুমি তাকে নিষেধ করছো না কেন? স্বামী: আমি কেন তাকে নিষেধ করবো! আমি যখন বিয়ে করি তখন তো সে আমাকে নিষেধ করে নি। ৩১) সাধু হতে যাচ্ছি ঘরের ভেতর হাবলু ও তার স্ত্রী কথা বলছে। স্ত্রী ধীরে ধীরে বলল, ‘অ্যাই শোনো, আমাদের তো কোনো ছেলেপুলে নেই। তাই ভাবছি আমার নামে যত সম্পত্তি আছে সবগুলো কোনো সাধু বাবাকে দান করে দেব।

’ কথাটা শুনেই হাবলু ঘর থেকে বের হয়ে এক ছুট। স্ত্রী খপ করে হাবলুর হাত ধরে বলল, ‘তুমি যাচ্ছ কোথায়? আমার চিন্তাটা সম্পর্কে কিছু একটা বলে যাও। ’ ‘ভাবছি ঘরের সম্পত্তি ঘরেই রাখবো। তাই সাধু হতে যাচ্ছি। ’—হাবলুর জবাব।

৩২) স্ত্রী নিখোঁজ মোতালেব পুলিশের সঙ্গে ফোনে কথা বলছে— মোতালেব: স্যার, আমার স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে গেছে। দয়া করে তাকে একটু খুঁজে দিন না। পুলিশ: কবে থেকে নিখোঁজ হয়েছেন তিনি? মোতালেব: মাসখানেক তো হবেই। পুলিশ: বলেন কী! তা এতোদিন আমাদের জানান নি কেন? মোতালেব: আমার যে স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে এই বিষয়টিই মনে ছিল না, স্যার। পুলিশ: আজ কী করে মনে হল? মোতালেব: স্যার, সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার পড়ার মতো পরিস্কার কোনো কাপড়-চোপড় না দেখেই মনে হল, আসলেই আমার স্ত্রী নিখোঁজ! ৩৩) খুশিতে… বাবলুর বউ কাউকে কিছু না বলে দুই দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে।

দুই দিন পর বাবলুর বউ ফিরে না আসায় বাবলু এক দৌড়ে পোস্টঅফিসে গিয়ে পোস্টমাস্টারকে বলল, ‘ভাই, আমার স্ত্রী দুই দিন আগে বাড়ি থেকে চলে গেছে। ’ পোস্টমাস্টার বললেন, ‘আরে ভাই এটাতো পোস্টঅফিস। আপনি থানায় গিয়ে অভিযোগ না করে এখানে এসেছেন কেন?’ ‘কী করবো স্যার, খুশিতে আজকে কোনো কিছুই মাথায় আসছে না যে!’—বাবলুর জবাব। ৩৪) কাজগুলো আগেই সেরে ফেলেছিলাম হাবলু অফিস থেকে বাসায় ফিরেই টেলিভিশনটা ছেড়ে দিয়ে স্ত্রীকে বলল, ‘কিছু শুরু হওয়ার আগে আমাকে এক গ্লাস পানি দাও তো?’ হাবলুর স্ত্রী পানি এনে দিল। ঠিক পনের মিনিট পর হাবলু আবারো তার স্ত্রীকে বলল, ‘কিছু শুরু হওয়ার আগে আমাকে গরম গরম এক কাপ চা দাও তো?’ হাবলুর স্ত্রী একটু রেগে গিয়ে রান্নাঘর থেকে এক কাপ চা এনে দিল।

চা শেষ করার কিছুক্ষণ পরেই হাবলু আবার তার স্ত্রীকে বলল, ‘শুরু হওয়ার আগে তুমি তাড়াতাড়ি আমার জন্য এক বালতি গরম পানি এনে দাও তো। কারণ, যে কোনো মুহুর্তে সেটা শুরু হয়ে যেতে পারে। ’ এবারে হাবলুর স্ত্রী রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে চিৎকার করে বলল, ‘হচ্ছেটা কী শুনি? তুমি এমন করছো কেন আমার সঙ্গে? আজই আমি বাবার বাড়ি চলে যাবো। থাকো তুমি একা। ’ ‘বলছিলাম না যে কোনো মুহুর্তে শুরু হয়ে যাবে।

এই বার সেটা শুরু হয়ে গেল। যাক বাবা, কাজগুলো আগেই সেরে ফেলেছিলাম। ’—হাবলুর জবাব। ৩৫) খুব চেনা চেনা ঠেকছে স্ত্রী: কী ব্যাপার, আয়নার সামনে অতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে কী দেখছ? ভুলোমনা স্বামী: এই ভদ্রলোককে খুব চেনা চেনা ঠেকছে, কিন্তু কোথায় দেখেছি কিছুতেই মনে করতে পারছি না। ৩৬) বউ কাঁদছে রিয়াজ: তোর বউ কি কাঁদছে নাকি? সাইফ: হ্যাঁ।

রিয়াজ: কেন? সাইফ: জানতে চাইনি, চাচ্ছিও না। রিয়াজ: সেকি! কেন? সাইফ: কারণ এর আগে যতবার জানতে চেয়েছি প্রতিবার আমাকে দেনায় ডুবতে হয়েছে। ৩৭) মুখ বন্ধ ডাক্তার: এই থার্মোমিটারটা আপনার স্ত্রীর মুখের নিচে দিয়ে আধমিনিট মুখ বন্ধ করে রাখতে বলবেন। তাহলেই জ্বর কত সেটা টের পাওয়া যাবে। স্বামী: ডাক্তার সাহেব, সারা দিন রাখতে হয় এমন কোনো থার্মোমিটার নেই? ৩৮) মাখনের বদলে স্যাভলন ক্রিম বিয়ের পরদিন সকালের নাশতায় রুটিতে কামড় দিয়ে স্বামী বলল, ‘একি! রুটিতে এটা কী লাগিয়েছ?’ নতুন বউ জবাব দেয়, ‘রুটি পুড়ে গেছিল তো, তাই মাখনের বদলে স্যাভলন ক্রিম মাখিয়ে দিলাম।

ভালো হয়নি খেতে?’ ৩৯) শুরুতে… পোষা কুকুরকে পেছনের দুই পায়ে দাঁড়াতে শেখানোর প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে স্ত্রী। দেখে স্বামী মন্তব্য করল, ‘কাজ হবে না। ’ —চুপ করো! শুরুতে তুমিও কথা শুনতে না! ৪০) দুই জন থেকে তিন জন বিল্টু গ্রামে তার মায়ের কাছে ফোন করেছে— বিল্টু: মা, একটা সুখবর আছে। মা: বলিস কি! তাড়াতাড়ি বলে ফেল। বিল্টু: এখন থেকে আমরা দুই জন থেকে তিন জন হয়ে গেছি, মা।

বিল্টু: এই সুখবরটা এত দেরিতে বললি কেন? তা ছেলে না মেয়ে হয়েছে রে? বিল্টু: ওসব কিছু না। আমার বউ আরেকটি বিয়ে করে ফেলেছে, মা! ৪১) বউর সাথে ঝগড়া সাইফ: তুই তোর বউর সাথে ঝগড়া করিস? রিয়াজ: হ্যাঁ, করি। তবে প্রতিবার ঝগড়ার শেষে ও এসে হাঁটু গেড়ে আমার সামনে বসে পড়ে। সাইফ: বলিস কী! তারপর? রিয়াজ: তারপর মাথা ঝুঁকিয়ে বলে, ‘খাটের তলা থেকে বেরিয়ে আসো। আর মারব না।

’ ৪২) পৃথিবীটা আসলেই ছোট —ওগো, শুনছ, পৃথিবীটা আসলেই ছোট! এইমাত্র খবর পেলাম, তোমার তৃতীয় স্ত্রী আর আমার দ্বিতীয় স্বামী তাদের হানিমুন উদ্যাপন করছে তোমার দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম স্বামীর কটেজে! ৪৩) আক্কেল স্ত্রী: এ্যাই, খেলার চ্যানেল পাল্টাও, আমি এখন রেসিপির অনুষ্ঠান দেখব। স্বামী: রেসিপির অনুষ্ঠান দেখে কি লাভ, তুমি কোনো দিন ওসব রান্না করবে নাকি? স্ত্রী: এই বুড়ো বয়সে তুমিই বা ক্রিকেট খেলা দেখ কোন আক্কেলে? ৪৪) মেয়েলি যুক্তি ‘তুমি আমাকে সত্যিই ভালোবাসো?’ একদিন সে জিজ্ঞেস করল স্বামীকে। ‘এ ধরনের প্রশ্ন করে তুমি কিন্তু আমাকে অপমান করছ। ’ আহত স্বরে বলল স্বামী, ‘এত দিন একসঙ্গে ঘর করার পর…। ’ ‘তাহলে তুমি কথায় নয়, কাজে প্রমাণ করে দেখাও।

… না, চুমু খাওয়া শুরু করতে হবে না। পুরুষেরা এ কাজ খুব পারে। তারচেয়ে বলো, আমার মনমেজাজ সব সময় ভালো থাক, তা কি তুমি চাও?’ ‘অবশ্যই চাই। ’ ‘মুখের চামড়ার সুন্দর রং?’ ‘নিশ্চয়ই। ’ ‘কাজ থেকে ফিরে এসে যেন ক্লান্ত হয়ে না পড়ি?’ ‘অবশ্যই।

’ ‘তুমি কি চাও, আমার পরনে সব সময় লেটেস্ট ফ্যাশনের পোশাক থাক?’ ‘চাই। ’ ‘আমার স্বামীর কারণে আমাকে যেন লজ্জা পেতে না হয়, বরং তাকে নিয়ে যেন গর্ব করতে পারি?’ ‘খু-উ-ব চাই। ’ ‘যেন সে আমাকে নিজের মার্সিডিজে চড়িয়ে থিয়েটারে নিয়ে যায়?’ ‘চাই, কিন্তু শুধু আমার ভালোবাসা দিয়ে কি এত কিছু সম্ভব হবে?’ ‘আমি কিন্তু তোমার কাছে অসম্ভব কিছু দাবি করছি না। তবে এই শুভকামনাগুলো তোমার যদি আমার জন্য সত্যিই থেকে থাকে এবং তুমি যে রকম বলছ, যদি সে রকম আমাকে ভালোবাসো…। ’ ‘অবশ্যই বাসি।

’ ‘তাহলে এক্ষুনি আমাকে ডিভোর্স দাও। ’ ৪৫) ন্যাচারাল একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার আগে ৪০ মিনিট ধরে আইব্রো পেনসিল, আই শ্যাডো, আই লাইনার, মাশকারা, টোনার, ব্লাশ ও লিপস্টিকের যথাযথ সদ্ব্যবহার করে নিয়ে স্ত্রী স্বামীর দিকে ঘুরে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, দেখো তো, আমাকে ন্যাচারাল দেখাচ্ছে কি না! ৪৬) সূর্যের গরমে তেষ্টা পাবে অভিযোগের সুরে স্ত্রী স্বামীকে বলল, বিয়ের আগে তুমি বলতে, আমি নাকি তোমার ‘সূর্য’ তাহলে এখন প্রতিদিন বারে গিয়ে বিয়ার খাও কেন? —কী আশ্চর্য! সূর্যের গরমে তেষ্টা পাবে, সেটাই স্বাভাবিক না? ৪৭) শুরু করার আগে অফিস থেকে বাড়ি ফিরে স্বামী বলল, ‘শুরু করার আগে ভাতটা দাও, খেয়ে নিই। ’ স্ত্রী ভাত বেড়ে দিল। ভাত খেয়ে স্বামী ড্রয়িংরুমের সোফায় বসতে বসতে বলল, ‘শুরু করার আগে এক গ্লাস পানি দাও…বড্ড তেষ্টা পেয়েছে। ’ স্ত্রী পানি দিয়ে গেল।

পানি খেতে খেতে স্বামী বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। তারপর বলল, ‘শুরু করার আগে এক কাপ চা দাও না আমাকে। ’ এইবার স্ত্রী গেল খেপে, ‘অ্যাই, পেয়েছ কী তুমি আমাকে, আমি তোমার চাকর? অফিস থেকে ফিরে একটার পর একটা খালি অর্ডার মেরেই যাচ্ছ…নির্লজ্জ, অসভ্য, ছোটলোক, স্বার্থপর…’ স্বামী কানে তুলা গুঁজতে গুঁজতে বলে, ‘এই যে…শুরু হয়ে গেল। ’ ৪৮) জলদি ঝাঁপ দাও সমুদ্রতীরে মাছ ধরছে এক দম্পতি। স্বামীর বড়শিতে টোপ গিলল এক বিশাল স্যামন মাছ।

কিন্তু হুইল গুটিয়ে সেটাকে তীরে আনার আগেই সুতো-মাছ সব জড়িয়ে গেল সমুদ্র শৈবালের স্তূপে। স্বামী চিত্কার করে স্ত্রীকে বললেন, ‘ওগো, জলদি করো! ঝাঁপ দাও! সাঁতরে চলে যাও ওই শ্যাওলাগুলোর কাছে! ডুব দিয়ে সুতোটা ছাড়াও। নইলে হাঙরগুলো মাছটাকে টুকরো টুকরো করে ফেলবে!’ ৪৯) এমন স্ত্রী পাওয়া কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার স্বামী তাঁর স্ত্রীকে তালাক দিতে আদালতে গেছেন— স্বামী: আমি আমার স্ত্রীকে আজই তালাক দিতে চাই। আপনি একটু ব্যবস্থা করুন। আইনজীবী: কেন, সমস্যা কী আপনাদের? স্বামী: আমার স্ত্রী প্রায় ছয় মাস ধরে আমার সঙ্গে কথা বলে না।

আইনজীবী: আরেকবার ভেবে দেখুন। এমন স্ত্রী পাওয়া কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার। ৫০) পাগল তো সবকিছুই করতে পারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে— স্ত্রী: আচ্ছা, যদি আমি মরে যাই তাহলে তুমি কী করবে? স্বামী: আমি পাগল হয়ে যাব। স্ত্রী: তুমি কি পরে আবার বিয়ে করবে? স্বামী: পাগল তো সবকিছুই করতে পারে, তাই না? সুত্রঃ ইন্টারনেট । সাম্প্রতিক পোস্টগুলিঃ গল্পঃ বৃষ্টিভেজা রাতের মেয়ে রম্যঃ এরিয়া ৬৯ - আমাদের কলোনি কবিতাঃ আজও .....................  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।