আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাঁদলেন-কাঁদালেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

কাঁদলেন-কাঁদালেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার মাহমুদুল আলম : ‘একটানা আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা নির্যাতনের পর আমাদের চারজনকে উলঙ্গ করে ফেলে। তখন আমাদের পরনে শুধু জাঙ্গিয়া ছিল। ’ ‘এরপর পাকিস্তানি সুবেদার আমাদের হত্যার নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক পাশের মসজিদ থেকে একজন ইমাম ডেকে নিয়ে আমাদের গরম পানিতে গোসল করিয়ে সুরা পড়ানো হয়। এরপর কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে দিলেও আমি দেখতে পাচ্ছিলাম, দুজন পাকিস্তানি সেনা মেশিনগান বা ওই জাতীয় কিছু তাক করেছিল।

সে মুহূর্তেও আমি বিচলিত না হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলাম। ’ ‘হুঁশ হওয়ার পর দেখি আমি রমনা থানায়। টর্চারের ফলে আমার পিঠে এবং পায়ের পেছনে কোনো চামড়া ছিল না। ’ মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের আসামি গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে এসে এভাবেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের অত্যাচার-নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন দেশবরেণ্য গীতিকার ও সুরকার মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে তিনি রাষ্ট্রপক্ষের ১৪তম সাক্ষী।

সাক্ষ্যদানকালে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় তাকেসহ কয়েকজনকে আটক, কয়েকজনকে হত্যা এবং তার নিজের ওপর লোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ণনা দেন। বৃহস্পতিবার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল সাক্ষ্য দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। তার পরে সাক্ষ্য দেন ১৫তম সাক্ষী ফরিদ আলম (৬০)। সাক্ষ্য দিতে গিয়ে সাক্ষী বুলবুল আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এমনকি ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি ও সাক্ষ্যদানে সহায়তাকারী প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুমের গলাও ভারী হয়ে ওঠে।

সাক্ষী ও সকলের নীরব কান্নায় বেদনাবিধূর হয়ে পড়ে ট্রাইব্যুনালের পরিবেশ। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রাষ্ট্রপক্ষের ১৪তম সাক্ষী আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে জেরা করেন আসামি গোলাম আযমের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। তবে ১৫তম সাক্ষী ফরিদ আলমকে জেরা করবেন না বলে জানান আসামিপক্ষ। আগামী রোববার ৭ অক্টোবর গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ১৬তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১। বর্তমানে ৫৭ বছর বয়সী আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের একাত্তরে বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর।

সে সময় ঢাকার আজিমপুরে ওয়েস্টএন্ড হাইস্কুলে পড়ালেখা করতেন তিনি। তার পিতা মৃত ওয়াফিজ আহমেদ ও মাতা ইফাদ আরা নাজিমুন নেসা। স্নাতক ডিগ্রিধারী বুলবুল দেশের স্বনামধন্য গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ও স্কুলছাত্র থাকাকালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন বুলবুল। প্রথমে বন্ধু সজিবের নেতৃত্বে বিহারিদের অস্ত্র ছিনতাই করে একটি ছোট মুক্তিযোদ্ধা দল গঠন করেন তারা।

রাজধানীর জিঞ্জিরায় প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ঘাঁটি তৈরি করে তারা পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে বেশ কিছু প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেন। পরে বুলবুল তার বড় ভাই ক্র্যাক প্লাটুনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ টুলটুলের সঙ্গে ঢাকায় বেশ কিছু গেরিলা অপারেশনে অংশ নেন। সব শেষে তিনি ভারতে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়ে ফের বন্ধু সজিবের গ্র“পের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সশস্ত্র যুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেন। ওয়াই বা ইয়াং প্লাটুনের বীর এ যোদ্ধা কয়েকবার পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের হাতে আটক হয়ে পাশবিক ও রোমহর্ষক নির্যাতনের শিকার হন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় বুলবুল শহীদ সিরু মিয়া দারোগা ও তার সন্তান শহীদ কামাল আনোয়ার ও শহীদ নজরুলসহ ৩৮ জনকে ঈদের দিন রাতে কারাগার থেকে বের আনার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী।

ওই ৩৮ জনকে পরে হত্যা করে গণকবর দেয় পাকিস্তানি সেনা ও এদেশীয় রাজাকাররা, যে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন গোলাম আযমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ১১তম সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন আহমেদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈরতলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের সোনা মিয়া। ১৪তম সাক্ষী হিসেবে নির্মম সে গণহত্যার আরও বিস্তারিত বর্ণনাও করেন বুলবুল। মুক্তিযুদ্ধে নিজের অংশগ্রহণ সম্পর্কে বুলবুল ট্রাইব্যুনালে বলেন, ‘ছোট বেলায় আমি দূরন্ত নির্ভীক ছিলাম। ’৭১ সালের ২৫ ও ২৬ মার্চ যারা অবলোকন করেছেন, শুধু তারাই আমার বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবেন। ’ স্মৃতিচারণ করে বুলবুল বলেন, ‘আমার মনে পড়ে, ২৭ মার্চ কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল।

যখনই কারফিউ শিথিল করা হয়েছে আমি তখন বাইসাইকেল নিয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, পরে পলাশি ফায়ার সার্ভিস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ, রোকেয়া হল, ব্রিটিশ কাউন্সিলের চতুর্দিক ঘুরেছি এবং লাশের পর লাশ দেখেছি। যা কি না আপনারা ছবির মাধ্যমে দেখেছেন। ’ তিনি আরও বলেন, ‘তারপর আমি এই জঘণ্যতম গণহত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। আমি ২৭ মার্চ বিকাল বেলায় একজন বিহারির বাসায় জোরপূর্বক ঢুকে তাদের বন্দুক ছিনতাই করি। এবং একটি ক্ষুদ্র দল গঠন করি।

দলকে শেখাই, আমাদের আরও অস্ত্রের প্রয়োজন। ’ বুলবুল আরও বলেন, ‘এর মধ্যে সজিব নামের এক বন্ধুকে প্রধান করে আমরা বেশ কয়েকজন বিহারির বাসা থেকে অস্ত্র ছিনতাই করি। এবং জিঞ্জিরায় প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ঘাঁটি তৈরি করি। ’ সাক্ষী আরও বলেন, ‘আপনারা হয়তো শুনে থাকবেন, জিঞ্জিরায় পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণ করেছিল সেটা আমাদের কারণেই। আমরা সে আক্রমণের মুখে টিকে থাকতে না পেরে জায়গা পরিবর্তন করে জিঞ্জিরার কৈটা নামক স্থানে চলে যাই।

সেখান থেকে আমরা সব অস্ত্র বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দিয়ে ঢাকায় চলে আসি। তারপর সেখান থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিই, আমাদের অনেক ভারী অস্ত্র প্রয়োজন। তা না হলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করা যাবে না। এর পর আমরা বিভিন্ন জায়গায় বেশ কদিন পালিয়ে বেড়িয়েছি। ’ সাক্ষ্যে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আরও বলেন, ‘বাসায় ফিরে মায়ের কাছে জানতে পারলাম, আমার বড় ভাই ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ টুলটুল (বর্তমানে মৃত) ২৭ মার্চ রাতে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।

সেই থেকে আমার মনে স্বপ্ন ছিল, আমার ভাই ফিরে এলে অস্ত্র শিক্ষা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করব। ভাইয়ের সঙ্গে আমার দেখা হয় মে মাসে। তার সঙ্গে আমাকে রাখার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাই। আমার ভাই ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য ছিলেন। তাদের কমান্ডার ছিলেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম।

’ বুলবুল বলেন, ‘আমার বড় ভাই ও আমি মিলে একটি অপারেশনে যোগ দিই। সেটিই ছিল আমার প্রথম অপারেশন। আমরা আজিমপুর গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার অফিস পুড়িয়ে দিতে চেয়েছিলাম। সে মোতাবেক আমি নিজেই ডিনামাইট বসিয়েছিলাম। কিন্তু ওই মুহূর্তে কিছু সাধারণ ছাত্রী এসে যাওয়ায় ডিনামাইটটি চার্জ করতে পারিনি।

’ বুলবুল জানান, ‘পরবর্তীতে আমি ভাইয়ের কাছে অনুরোধ করি, কিছু গ্রেনেড দেওয়ার জন্য। ভাই আমাকে, মাহবুবকে এবং সারোয়ারকে এক সঙ্গে তিনটি করে গ্রেনেড দেন। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সেই গ্রেনেডগুলোর মধ্যে মাত্র দুটি নিয়ে আমি এবং সারোয়ার নিউ মার্কেটের ১ নম্বর গেটের সামনে পাকিস্তানি তিনটি লড়ির ওপর হামলা চালাই। হতাহতের সংখ্যা কত ছিল বলতে পারব না। এরপর আমরা পলাতক ছিলাম।

’ তিনি ট্রাইব্যুনালে আরও বলেন, ‘পরে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে আমরা ভারতে চলে যাই। সেখানে আগরতলা হয়ে মেঘালয়ে ট্রেনিং নিয়ে দেশে ফিরে সজিব বাহিনীতে যোগ দিই। আমাদের ওয়াই বা ইয়াং প্লাটুন বলা হত। ’ তিনি আরও বলেন, ‘এরপর ২৯ অক্টোবর আবারও ভারতে যাওয়ার পথে আমি, মানিক, মাহবুব ও সারোয়ার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও রাজাকারদের হাতে বন্দি হয়ে যাই। ’ ‘কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাঝামাঝি তন্তর চেকপোস্টে আটক হই।

সেখানে ঘণ্টাখানেক জিজ্ঞাসাবাদের পর যখন আমরা বারবার বলছিলাম, আমরা মুক্তিযোদ্ধা নই, তখন পাশবিক নির্যাতন শুরু করে। ’ একটানা আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা নির্যাতনের পর আমাদের চারজনকে উলঙ্গ করে ফেলে। তখন আমাদের পরনে শুধু জাঙ্গিয়া ছিল। ’ ‘এরপর পাকিস্তানি সুবেদার আমাদের হত্যার নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক পাশের মসজিদ থেকে একজন ইমাম ডেকে নিয়ে আমাদের গরম পনিতে গোসল করিয়ে সুরা পড়ানো হয়।

এরপর কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে দিলেও আমি দেখতে পাচ্ছিলাম, দুজন পাকিস্তানি সেনা মেশিনগান বা ওই জাতীয় কিছু তাক করেছিল। সে মুহূর্তেও আমি বিচলিত না হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলাম। ’ ‘হঠাৎ করে নিস্তব্ধতার ভেতরে একটি ওয়ারলেস বেজে ওঠার শব্দ শুনতে পাই। শুনতে পেলাম, ‘মুক্তিকো হেডকোয়ার্টার মে লে আও’। এরপর আমাদের গুলি না করে উলঙ্গ অবস্থায় প্রায় ৫ ঘণ্টা বাসের মধ্যে নিচে বসিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাকার হেডকোয়ার্টারে আমাকেসহ বাকি তিনজনকে নিয়ে যায়।

’ ‘সেখানে নিয়ে আমাদের চারজনকে আলাদা করে ফেলা হয়। আমাকে একটি ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হলে আমি দেখতে পাই, চেয়ারে ক্যাপ্টেন আলী রেজা বসে আছেন। তার মাথায় চুল ও সামনের দাঁত ছিল না। প্রথমেই তিনি আমাকে অভদ্র ভাষায় গালি দেন। এরপর আমার নাম জিজ্ঞাসা করলে বলি, ‘মাই নেম ইজ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল’।

এরপর আমি পড়ালেখা করি কি না জিজ্ঞেস করলে আমি তাকে ‘পড়ালেখা করি’ বলে জানাই। তিনি আমাকে বললেন, ‘শিক্ষিত ছেলে হয়ে তুমি কীভাবে ভাবলে পাকিস্তানের এত বড় সৈন্য বাহিনীর সঙ্গে তোমরা যুদ্ধে জিতবে? আমি জবাব দিলাম, ‘স্যার আপনারা এখন কোনো র‌্যাংকিংয়ে নেই। আমরা যে র‌্যাংকিং দেব, তাই আপনাদের র‌্যাংকিং। ’ এরপর তিনি আমার মৃত্যুভয় আছে কি না জিজ্ঞেস করেন। জবাবে আমি তাকে একটি গালি দিলে তিনিও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এবং কাল দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন। ’ আসামি গোলাম আযমের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত আরও ৬ সাক্ষী ও ৭ জন জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ মোট ১৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। ঘটনার সাক্ষীরা হলেনÑ বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও গবেষক ড. মুনতাসীর মামুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবউদ্দিন আহম্মদ বীরবিক্রম, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, মানবাধিকার কর্মী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈরতলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের সোনা মিয়া এবং শহীদ পরিবারের একজন নারী সাক্ষী (ক্যামেরা ট্রায়াল)। জব্দ তালিকার সাক্ষীরা হলেনÑ বাংলা একাডেমীর সহগ্রন্থাগারিক মো. এজাব উদ্দিন মিয়া, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) রাজনৈতিক শাখার উচ্চমান সহকারী সেলিনা আফরোজ, কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের উচ্চমান সহকারী কাজী আইয়ুব হোসেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার কামালের বোন ডা. মুনিয়া ইসলাম চৌধুরী, জাতীয় জাদুঘরের কিপার ড. স্বপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে কর্মরত সাঁট মুদ্রাক্ষরিক জামিনুর শেখ। মানবতাবিরোধী ৫ ধরনের অপরাধের ৬১টি অভিযোগে অভিযুক্ত করে গত ১৩ মে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।

১০ জুন তার বিরুদ্ধে ওপেনিং স্টেটমেন্ট উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ। গোলাম আযমের বিরুদ্ধে পাঁচ ধরনের অভিযোগ হলোÑ মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র, উস্কানি, পাকিস্তানি সেনাদের সাহায্য করা এবং হত্যা-নির্যাতনে বাধা না দেওয়া। অভিযোগগুলোর মধ্যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহায়তা ও তাদের সঙ্গে চক্রান্ত করার জন্য ছয়টি, তাদের সঙ্গে পরিকল্পনার তিনটি এবং উস্কানি দেওয়ার জন্য ২৮টি এবং তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার জন্য ২৪টি অভিযোগ রয়েছে। দৈনিক আমাদের সময় / ৫ অক্টোবর ২০১২ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।