আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Let us love our daughter Let us take best care of her

আিম খুব পিজিটভ মানুষ। খারাপ যা িকছু বদেল িদেত চাই ভালবাসা িদেয়, পারতপেক্ষ লড়াই কের নয়। ভরা জোছনার অপূর্ব সব রাত্রিতে ঘর-বারান্দা আলোর বন্যায় ভাসিয়ে দিয়ে আকাশ থেকে আমাদের উঠোনে নেমে এসেছে একে একে সাত সাতটি পরী। আহা কী যে মায়াময় সব মুখ! দেখে ভালবাসায় ভরে যায় বুক। সন্তান তো ঈশ্বর এর মহিমাময় ভান্ডার থেকে লৌকিক মানুষদের জন্য সবচেয়ে বড় উপহার।

সে ছেলেই হোক আর মেয়েই হোক। ছেলে সন্তান হলে চারিদিকে ঢোল-নহবত বেজে উঠে, যেন আকাশে জ্বলে উঠে হাজার সূর্য। কিন্তু মেয়ে সন্তান হলে! মাদেরকেও বলছি, বিশেষ করে বাবাদের বলছি-যারা মনে মনে ছেলে সন্তানের অপেক্ষায় আছেন অথচ মেয়ে সন্তান হয়, হল-দয়া করে একদম মন খারাপ করবেন না। বরং খুশী হোন, হাজার প্রদীপ জ্বেলে লোকেদের জানান দিন, আনন্দ করুন। Because you are extremely gifted. ঈশ্বর নিজ হাতে অপার এক ভালবাসার ভান্ডার আপনার হাতে তুলে দিয়েছেন, প্রবাহিত করেছেন করুনার এক মোহময় ঝর্ণাধারা।

ভালোবাসার এক অনাঘ্রাত ভুবন আপনাকে দারুন এক সৌরভে আচ্ছন্ন করে রাখবে। যতই দিন যাবে- প্রকৃতিগত কারনেই মেয়ে সন্তান জন্মের পরমুহুর্ত থেকেই বাবার সাথে জড়িয়ে যায় “না লেখা” এক প্রেমে। অপার, অলৌকিক এক প্রেম! আপনার কন্যাকে যখন কোলে নিবেন, দেখবেন-তার গাঢ় ভালোবাসার চোখ কিভাব চুম্বকের মতো আপনাকে টানে, তার মিষ্টি কচি হাত কিভাবে আপনাকে আঁকড়ে ধরে রাখে। আর কিছুদিন পর লক্ষ্য করবেন-জগতের গল্পের ঝাপি যেন সে খুলে বসেছে আপনারই সাথে। আধো আধো বোলে সে কত যে কথা বলছে আপনার সাথে, যত বড় হবে গল্প বাড়তেই থাকবে......।

আপনার মনোযোগ আকর্ষণের কত যে চেষ্টা! মেয়ের সকল কথা যেন আপনারই সাথে। আরো একটু বড় হলে সেতো আপনার বুকে ঘুমাতেই সবচেয়ে সাচ্ছন্দ বোধ করবে। তারপর যখন সে হাঁটতে শিখবে, দেখবেন-আপনার কাছেই ছুটে আসছে সবার আগে, গলা জড়িয়ে ধরে আপনার কাছেই সব আবদার করছে। তারও কিছুদিন পর দেখবেন- আপনি অফিস থেকে এসে ডোরবেল বাজালেন-বাসার আর কেউ না শুনলেও আপনার মেয়ে শুনতে পাবে ঠিকই। দরজা খুলতে পারুক আর না পারুক, ছোট ছোট পায়ে সবার আগে সেই ছুটে যাবে দরজার কাছে।

কারন, আর কেউ না থাকলেও সে তো আপনারই অপেক্ষায় ছিলো। দেখবেন- মেয়ে আপনার বাসার চটিজুতা এগিয়ে দিচ্ছে; লুঙ্গি-তোয়ালে খুঁজে আনছে ব্যস্ত হয়ে; গ্লাস ধরতে পারছেনা ঠিকমতো তবুও সে আপনার জন্য পানি/শরবতের গ্লাসটি নিয়ে আসছে। দেখেন, ঈশ্বর নতুন রূপে যেন আপনার মাকেই আবার আপনার ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ক-দিন পর যখন সে রান্না-বাটি খেলা শিখে যাবে, সে প্রথমেই আসবে তার প্রতিভা দেখাতে, আপনি মিছিমিছি “চুক-চুক” করে খেয়ে কি বলবেন, সেটা আপনার কন্যার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার দেয়া complement টাই সে নেবে সোৎসাহে।

দিন যতই যাবে, এই ভালবাসা, এই টান কখনোই কমবে না, চক্রাকারে বাড়তেই থাকবে। আর আপনিও জড়িয়ে যেতে থাকবেন ভালবাসার এই মোহময় জালে। মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করালেন, পড়াশুনায় ভাল করতে থাকলো, মেয়ে কোন স্কলারশীপ পেলো-দেখবেন, সেই স্কলারশীপের টাকায় মেয়ে সবচেয়ে প্রথমে যে উপহার কিনবে তা হবে-আপনার জন্য আর তার মায়ের জন্য। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে মেয়ে দূরে গেলো-দেখবেন, আপনি যেমন মেয়েকে দিনে ৩/৪ বের ফোন করছেন, মেয়েও তেমনি ৪/৫ বার ফোন করে আপনার আর বাসার খোঁজ নিচ্ছে। আপনার ঔষধ-পথ্যের ব্যপার আছে হয়ত, মেয়ে আপনাকে দূর থেকেও শাসন করবে, নিয়মে ভুল হলে ধমকাবে আর তখন হয়তো আপনার চোখদুটো ভিজে উঠবে পাগলী মেয়ের মায়ায়......।

বড় হলো, মেয়েকে বিয়ে দিলেন। লোকে বলে-বিয়ে দিলেই মেয়ে পর হয়ে যায়। আসলে পর হয়ে যায় কী? আমি মনে করি তখন সে আরো বেশী আপন হয়, বাবার ভালবাসা, বাবার বাড়ীর আদর সে তখন আরও গভীর ভাবে অনুভব করতে শিখে। বাস্তবতার নিরিখে-চাকুরী, সংসার, সন্তান সামলিয়ে যেভাবেই হোক মেয়ে কিন্তু রুটিন করে বাবা-মার খোঁজ খবর ঠিকই নেয়। মেয়ে ভাল কিছু কিনলে সাথে সাথে মায়ের কথা মনে পরে যায়; ভাল কিছু খেতে বসলে বাবার কথা মনে পরে যায়।

মেয়ের নিজের সংসার হয়, হয়তো থাকে বাবার থেকে দূরে ভিন্ন এক সংসারে কিন্তু তার মন পরে থাকে বাবার সংসারে। নিজের সংসারে যত যাই করুক, একটি মেয়ের বুকের ভেতরে সারাক্ষন কিন্তু খুব গোপনে ভালবাসার এক তিরতিরে নদী বইতে থাকে বাবার সংসারের দিকে। মেয়েটি খুব গোপনে বুকের ভেতর লুকিয়ে রাখে নিজের শৈশব, কৈশোর আর প্রথম যৌবনের স্মৃতিমাখা বাবা-মার সংসার। বাবা-মা, ভাই-বোনের কিছু হলে নিজের অনেক কিছু তুচ্ছ করে সবার আগে মেয়েই ছুটে যায় বাবা-মার কাছে। তো এত এত ভালবাসার আঁধার যে মেয়েটি- সেই মেয়ে, সে কন্যাটিকে আমরা ভালবাসবো না? যত্ন করবো না? কেন করবো না? বোঝা হবে মনে করে কন্যা ভ্রূণকে হত্যা করবো? কেন করবো? Let us love our daughter, Let us take best care f her. আসুন বুক উজাড় করে ভালবাসি আমাদের কন্যাকে, শুধু একটু যত্ন করি- বোঝা নয়, সময়ে সেই হবে আমার-আপনার সবচেয়ে বড় সম্পদ।

আপনার কন্যা আপনাকে শুধু ভালবাসার ঐশ্বর্যই দেবে না, আপনার অনাগত দুঃসময়ে আপনাকে নিরাপত্তাও দিবে। With due respect and regards Prof. Dr. Fatema Hoque Shikha Department of Fisheries Technology Bangladesh Agricultural University Mymensingh-2202 e-mail: (লেখাটি এ বছরের কন্যাশিশু দিবসে লিখা) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।