দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক
এমন একটি হীরে, যা কোহিনূরের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এই নভেম্বরে সেই হীরের নিলাম হবে ক্রিস্টিজে। দাম উঠবে দেড় কোটি ডলারের ওপরে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আর্চডিউক জোসেফ নামের ৭৬ ক্যারেটের হীরেটির মতো এত বড় আর এত চমত্কার কোনো গোলকোণ্ডা হীরে এ যাবত্ নিলামে বিক্রি হয়নি বলে দাবি করছে ক্রিস্টিজ। যেমন তার রং, তেমন তা নিখুঁত।
আমেরিকা এবং সুইজারল্যান্ডে ক্রিস্টিজের অলঙ্কার নিলামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাহুল কাড়াকিয়া রয়টার্সকে বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত হীরেগুলোর অনেকগুলোই বেরিয়েছে ভারতের কিংবদন্তি প্রতিম গোলকোণ্ডা খনি থেকে। যেমন ড্রেসডেন গ্রিন, ব্লু হোপ, কোহিনূর। কোহিনূর এখন রয়েছে টাওয়ার অব লন্ডনের রাজকীয় সংগ্রহে।
নভেম্বরে ক্রিস্টিজ যেসব মহামূল্য রত্নের নিলাম করবে, তাদের মধ্যমণি হবে এই আর্চডিউক জোসেফ হীরে। আর্চডিউক জোসেফ এককালে এই হীরেটির মালিক ছিলেন।
আজ যিনি মালিক, তিনি হীরেটা বিক্রি করছেন বটে, তবে নিজের নাম প্রকাশ করতে চান না। এর আগে ক্রিস্টিজ ঠিক এই হীরেটিই নিলাম করেছিল ১৯৯৩ সালে। তখন এর দাম উঠেছিল ৬৫ লাখ ডলার। কাজেই এবার সেটা বেড়ে দেড় কোটি ডলার হলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
হীরে মানেই কাহিনী, কিংবদন্তি।
যেমন এই হীরেটির যে আর্চডিউক জোসেফের নামে নামকরণ, তার বাবা ছিলেন অস্ট্রিয়ার আর্চডিউক কার্ল, মা ছিলেন জার্মানির এক রাজকন্যা। অন্যদিকে ভারতের গোলকোণ্ডা হীরের খনির নাম পাওয়া যায় খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ সাল থেকে। ১৭২৫ সাল অবধি শুধু ভারতের গোলকোণ্ডায় আর বোর্নিও দ্বীপের একটি খনিতে হীরে পাওয়া যেত। ১৭২৫-এ ব্রাজিলে হীরে আবিষ্কৃত হয়।
হীরের জন্য মানুষ চিরকালই যে কোনো দাম দিতে প্রস্তুত, তবে হালে সেই দাম যেন আকাশ ছুঁয়েছে।
২০০৮ সালে ক্রিস্টিজের নিলামে ভিটেল্সবাখ ডায়মন্ড নামের হীরেটি বিক্রি হয় প্রায় আড়াই কোটি ডলারে। এটি ছিল সপ্তদশ শতাব্দীর একটি হীরে। দু’বছর আগে সথবিজের নিলামে একটি ২৫ ক্যারেট গোলাপি হীরের দাম ওঠে সাড়ে চার লাখ ডলার!
হীরে মানেই প্রেমকাহিনী। তাই হলিউড চিত্রাভিনেত্রী এলিজাবেথ টেলরকে তার স্বামী, প্রেমিক, সহ-অভিনেতা রিচার্ড বার্টন যে ৩৩ ক্যারেটের হীরের আংটিটি দিয়েছিলেন, পরে নিলামে তারও দাম উঠেছিল ৮৮ লাখ ডলার, অর্থাত্ ক্যারেট প্রতি আড়াই লাখ ডলার। কে বলে প্রেম অমূল্য! সূত্র : ডিডব্লিউ।
তথ্যসূত্র-
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।