আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঐ দুই গোষ্ঠীকে ঠেকাতে হবে যে কোন মূল্যে।

বাক স্বাধীনতা মানে সত্য বলার অধিকার। দেশের শত্রুরা জেগে উঠছে। সতর্ক হবার এখনই সময়। কোনভাবেই তারা যেন এ দেশের শাসন ক্ষমতা দখলের সুযোগ না পায় সেটা বাংলাদেশের সকল শান্তিকামী মানুষকে নিশ্চিত করতে হবে। আর এর জন্য এগিয়ে আসতে হবে সকল সচেতন মানুষকে।

ছাগু আর হনুদের প্রতিহত করতে হবে যে কোন মূল্যে। বৌদ্ধবিহার পুড়িয়ে দেবার ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে, যারা এই ঘটনার পিছনে আছে তারা যদি সুযোগ পায় তাহলে এ দেশের সংখ্যালঘুদের টিকতে দেবে না। সংখ্যালঘুদেরকে এরা শত্রুজ্ঞান করে। তাই আমাদের সকলের সাবধান হওয়া প্রয়োজন। কাদের কথা বলছি, ব্লগারদের সেটা বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়।

এই ঘটনার পিছনে জামাত শিবিরের হাত রয়েছে এ কথা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। কারণ, ধর্মীয় উস্কানীমূলক কার্যকলাপ করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ ছাগু এদের খোঁয়াড়ে মজুদ আছে। অন্য কোন ধর্মীয় গোষ্ঠির এমন লোকবল নেই। আর থাকলেও তারা উগ্র নয়। জামাত শিবিরের উগ্রতা ইদানিং সাংঘাতিক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁচেছে।

বাংলাদেশ একটা ঐতিহ্যপূর্ণ সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির দেশ। বাংলাদেশের এই ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করতে তৎপর হয়েছে সেই পুরনো শকুন। ঘটনার সূত্রপাত একটা ফেসবুক পোস্ট নিয়ে। বাংলাদেশে ফেসবুকের বিভিন্ন হনু পেজ আছে যেখানে হনুরা নিয়মিত তাদের মল বিসর্জন দেয়। যে গ্রুপ থেকে এই পোস্টটা ট্যাগ করা হয়েছে জনৈক বৌদ্ধকে সেটার নাম ‘ইনসাল্ট ইসলাম’।

এই জনৈক বৌদ্ধকে এই গ্রুপ থেকে ট্যাগ করা সম্ভব হয়েছে কারণ সে এই গ্রুপের মেম্বার। আর মেম্বার না হলে তাকে ট্যাগ করা সম্ভব হতো না। সেই হিসেবে বলা যায়, এই বৌদ্ধও সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে এমনটি নয়। তবে ইনসাল্ট ইসলাম নামে যে ক্লোজড গ্রুপটা আছে সেটি দেশী হনুদের নয়। আমরা বাংলাদেশের জনগণ যে কোন ধরনের উগ্রতার বিপক্ষে।

ইসলাম আমাদেরকে উগ্রতার শিক্ষা দেয়নি। আর যদি এই উগ্র ব্যক্তিদের হাতে দেশের ক্ষমতা কোনভাবে চলে যায় বা যদি তারা যথেষ্ট পরিমাণ সংগঠিত হয়ে উঠতে পারে তবে তারা দেশে সাম্প্রদায়ীক বিপর্যয় ডেকে আনবে। আমাদের এই ব্যাপারে সচেতন হতে হবে যেন, দেশের শাসনভার কোনভাবেই জাশির উপর নির্ভরশীল না হয়ে পড়ে এবং আমাদের সর্বঙ্গীনভাবে চেষ্টা করতে হবে সকল ধরনের অপচেষ্টাকে প্রতিহত করার। দ্বিতীয়ত, নাস্তিক গোষ্ঠী যদিও এখনও এতোটা সংগঠিত হতে পারেনি। কিন্তু তাদের কার্যকলাপ কিন্তু থেমে নেই।

তারা মানুষ হবার যোগ্যও নয়। এরা ব্লগে, এসবুকে বিভিন্ন জায়গায় মানুষের ধর্মকে নিয়ে আজেবাজে কথা বলে থাকে। এরা যদি কখনও সংগঠিত হতে পারে বা ক্ষমতার কিছু অংশ হাতে পায় তাহলে দেশের কত বড় সর্বনাশ হয়ে যাবে চিন্তা করুন। তাই আমাদের সবার সচেতন হতে হবে। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান নির্বিশেষে আমাদের জাশি ও নাস্তিকদের হাত থেকে এই দেশকে রক্ষা করতে হবে।

ফেসবুক আজ থেকে চার বছর আগেও নেহায়েত একটা ওয়েবসাইট ছিল। কিন্তু এখন এটা পৃথিবীর মানুষের কাছে মোবাইলের ফোনবুকের মতই গুরুত্ববহ হয়ে উঠেছে। তাই এখান থেকে যেন সাম্প্রদায়ীক বিষবাষ্প ছড়াতে না পারে তার জন্য আমাদের প্রচারণা বাড়াতে হবে। ফেসবুকের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতে নেই, তাই হনু এবং ছাগুদের প্রচারের বীপরিতে আমাদের প্রচারণা চালাতে হবে। বাংলাদেশে অনলাইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রচার মাধ্যম হচ্ছে ব্লগ।

এই ব্লগের ব্যাপারে আমাদের সচেতন হওয়া আবশ্যক। কারণ, এখানেও এই দুই গ্রুম সমানভাবে সক্রিয়। হনু এবং ছাগু- সাম্প্রদায়ীক বীষবাস্প ছড়াতে এই দুই দলের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিতে হলে এগিয়ে আসতে হবে সমাজের সাধারণ মানুষকে এবং আমাদের মত ব্লগারদেরকে। আর যারা ব্লগের মালিক তাদেরও নিজেদের নীতির ব্যাপারে সচেতন থাকা জরুরী। কারণ, আপনারা দেশের বিভিন্ন স্তরের ও স্থানের মানুষের মাঝে এক ধরনের সেতু বন্ধন রচনা করেছেন।

কিন্তু আপনাদের এই ব্লগগুলো যেন অপশক্তির সংগঠিত হবার মাধ্যম না হয় সে দিকটা নিশ্চিত করবার দায়িত্ব আপনাদের উপরেও বর্তায়। সুতরাং আসুন আমরা সবাই সচেতন হই। ছাগু আর হনুদের হাত থেকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে রক্ষার দায়িত্ব আপনার, আমার, সকলের। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।