আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ যদি ছাত্রলীগের দুই চারটা কুত্তাকে খুন করতে পারতাম!!!!!

মেনে নিব না, আসে যদি ইসলামের উপর কোন আঘাত। মাঠে নেমেছি, হয় সফলতা নয়ত চাই শাহাদাত। https://www.facebook.com/altamash.bd সরকারি কলেজে ভালো ভালো টিচাররা পড়ান, এই কারণে ভর্তি হয়েছিলাম এক সরকারি কলেজে। আমার তো রাজনীতি করার ইচ্ছা নাই, তাহলে আমার সমস্যা কী? এই ছিল তখনকার চিন্তা। ক্লাশে নিয়মিত যেতাম।

এই সুখ বেশি দিন আমার সয়নি। ক্লাশ থেকে উঠিয়ে যখন বাধ্য করা শুরু হল লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া, আস্তে আমিও বাদ দিয়ে দিলাম কলেজে যাওয়া। অনেক দিন পর গতকাল গিয়েছিলাম কলেজে। শুনলাম আজকে এসআইএফ ফরম পূরণ করার শেষ দিন। তাই আজ সকাল সকাল চলে গিয়েছিলাম কলেজে।

নাস্তাটাও খাইনি। আরো অনেক ছাত্র-ছাত্র্রী দাড়িয়ে আছে। লাইনে দাঁড়ালাম। কিন্তু লাইন যেন শেষ-ই হচ্ছে না। ৫০ টাকা কলেজ ফি এর জায়গায় ছাত্রলীগের পাতি নেতাদের একশ টাকা দিলেই এরা ফরম এনে দিচ্ছে।

এসব কারণে আমার এত রাগ হত না। দুই ঘন্টা লাইনে দাড়ানের পর আমার সামনে যখন সাত-আট জন সামনে, তখন ই কুত্তালীগের পোলাপাইনরা আইয়া কয়, আর ফরম বেচা কিনা হইব না। লাইনটা ভেংগে দিল এই কুত্তাগুলা। আমার সামনে একটা মেয়ে কেঁদে দিয়েছিল তখন। কি আর করা চলে এলাম ক্লাশ রুমে।

পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকলাম, যাতে সহজেই বের হয়ে আবার অফিসে যেতে পারি। একটু পর আমাদের ক্লাশেও এসে ঢুকল এই কুত্তারা। বুঝলাম আজকেও যেতে হবে তাদের কোন সমাবেশে। পালালাম ক্লাশ থেকে। বাথরুমে লুকিয়ে রক্ষা পেলাম না।

জোড় করে ধরে নিয়ে গিয়ে বাসে উঠিয়ে দিলো। তখনও জানি না গন্তব্য কোথায়? আর সামলাতে পারলাম না আমি। আজকে ফরম জমা না দিলে ইন্টার পরীক্ষা দেওয়া হবে না। আমিও কেঁদে ফেললাম সবার সামনে। মনে চাচ্ছিল খুন করে ফেলি কুত্তা লীগের সব শালাদের।

বাসে সিট পাইনি। তাই দাড়িয়েই যেতে হল। একদিকে টেনশন আর একদিকে ক্ষুধার জ্বালা, দুনিয়াটা অন্ধকার মনে হচ্ছিল আমার কাছে। চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে নেমে গেলো কয়েকজন ছাত্র। বাস থেকে আমাদের নামিয়ে নেওয়া হল ডাকসুর সামনে।

তারপর মিছিল করতে করতে অপরাজয়ে বাংলায়। আহ কি সুন্দর শ্লোগান- শেখ হাসিনার জন্ম, বাংলাদেশের জন্য খালেদার দুই গালে, জুতা মার তালে তালে একটু পর, মোটকা, কাইল্যা, বুইড়া এক ব্যাটার উপস্থাপনার পর ভাষণ দিতে উঠল ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ ভাই। দেখে মনে হয় চশমাপরা এই মানুষটা বোধহয় কত মেধাবী আর ভদ্র। কিন্তু আমাকে যদি দশ বারও খুন করা হয়, তবুও কেউ আমাকে বিশ্বাষ করাতে পারবেনা যে যারা ছাত্র রাজনীতি করে তারা কেউ সৎ চরিত্রের হয়। তো ভাষণ চলছে আর তুমুল করতালি।

একটু পর পিছন থেকে এক পাতি নেতা ডাক দিয়ে বলল এই হাততালি দাওনা কেন? তোমগরে কি ফাও ফাও লইয়া আইছি? তাকে তখন বলতে ইচ্ছা করছিল, ভাই সকাল থেকে এক গ্লাস পানিও খাইনাই, কেমনে দাড়াইয়া রইছি এটাই আশ্চর্যের বিষয়, হাততালি দেওয়ার শক্তি পামু কই ভাই? আরো অনেক কিছু হয়েছে। পোস্ট বড় হয়ে যাবে তাই লিখলাম না। আজকে আর ফরমের কাজ শেষ করতে পারিনি। শুনেছিলাম, মজলুমের দোয়া আল্লাহর কাছে সরাসরি কবুল হয়। আমি আজ সারাদিন দোয়া করেছি-- আল্লাহ যারা ছাত্র রাজনীতীর মাধ্যমে আমাদের জীবন নষ্ট করছে, তাদের তুমি ধংস কর আর যারা তাদের মদত দেয় এবং সমর্থন দেয় তাদেরও।

কুত্তারা মিছিলের মধ্যে শ্লোগান দিয়াছিলো-- শিক্ষার আলো, ঘরে ঘরে জ্বালো শিক্ষার উন্নতি কি এভাবেই হ্য়? সবার নিকট আমার এই প্রশ্ন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।