আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৮০ কিলোমিটারের দুঃসহ যানজটের নগর সাও পাওলো

ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় শহর সাও পাওলো। শহরটিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় চলাফেরা মানেই ভয়াবহ বিড়ম্বনা। তখন শহরের ভেতরে-বাইরে অন্তত ১৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। এই দৈর্ঘ্য কোনো কোনো দিন ২৯৫ কিলোমিটারও হয়। গাড়ি থামানোর নির্দেশক লালবাতি বহু দূর থেকেও নজরে পড়ে।

থেমে থেমে চলার বিড়ম্বনা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে সইতে হয় গাড়িচালকদের। যানজটের সমস্যা বিশ্বে প্রায় সর্বত্রই কম-বেশি রয়েছে। তবে সাও পাওলোয় বিড়ম্বনার মাত্রাটা অনেক বেশি। শহরের বাসিন্দা এক কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষের জীবনেরই একটি অংশে পরিণত হয়েছে এই যানজট। গাড়ির সমুদ্রের মধ্য দিয়ে নিজের গাড়ি চালিয়ে শহরের এক দক্ষিণ প্রান্ত থেকে উত্তরে যাতায়াত করেন ফ্যাবিয়ানা ক্রেসপো।

সঙ্গে থাকে তাঁর ১০ মাস বয়সী ছেলে রদ্রিগো। বাড়ি থেকে প্রতিদিন এই যানজট পেরিয়ে কর্মস্থলে যাতায়াত তাঁর জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। কিন্তু উপায় কী? এই পথটুকু পাড়ি দিতে তাঁর দুই ঘণ্টারও বেশি সময় অপচয় হয়। ঘরে ফিরে সন্ধ্যায় দেখা হয় অপেক্ষমাণ স্বামী মরিসিও এবং তাঁদের বড় ছেলে তিন বছর বয়সী পেদ্রোর সঙ্গে। ফ্যাবিয়ানা বলেন, ‘যানজটের কাছে আমরা অসহায়।

’ যানজটে নাকাল গাড়িচালকদের হতাশা দূর করতে তৎপর রয়েছে স্থানীয় বেতারকেন্দ্রগুলো। ব্যস্ততম মুহূর্তে ওই বেতারের একদল সাংবাদিক হেলিকপ্টারে চড়ে যানজটের খবর সংগ্রহ করেন। ব্রাজিলের মোটরগাড়িশিল্প গত দশকে ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে যানজট। দেশটির অর্থনীতিতে মোটরগাড়িশিল্পের অবদান অনেক।

তবে সাও পাওলোর রাস্তায় ‘গাড়িসমুদ্র’ তৈরির জন্যও এ শিল্পই দায়ী। সড়কপথে দুর্ভোগ ও অপরাধপ্রবণতা এড়াতে ধনী ও ব্যবসায় নির্বাহীরা বাহন হিসেবে বেছে নিচ্ছেন হেলিকপ্টার। আইনবিশেষজ্ঞ সার্গিও বলেন, কয়েক ঘণ্টার জন্য একটি হেলিকপ্টার ভাড়া করে তিনি দিনে তিন-চারটি সভায় যোগ দিতে পারেন। তবে অর্থনীতিতে যানজটের নেতিবাচক প্রভাবই বেশি। সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্লদিও বারবিয়েরি বলেন, যানজট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পথ খুঁজতে হবে।

শহরের গণপরিবহনব্যবস্থায় বিনিয়োগ জরুরি ভিত্তিতে বাড়াতে হবে। সূত্র ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।