আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার বউ আমার ল্যাপটপ ভাইঙ্গা কটকটি খাইতে চায়

বিয়ার যে কি মজা সেটা ঠের পাইলাম বাসর রাইতেই। আপনারা ভাবতাছেন বাসর রাতের মধুর মধুর সব আলাপের কথা, তাই না? পুরা উল্টা। ভাইরে বাসর রাইতেই আমি বউ চিইন্না ফেলছি। বউর ঘোমটা উলটাইয়া যেইনা দেখছি, দেখি বউর চুক মিট মিট করতাছে। ভাবলাম সরমে চুক বুঝি মিটমিটায়।

বউ আমারে হরিনি কোমল চোখ লাল টমেটোর মতন কইরা আদর কইরা কয়, চুপ কইরা ঘুমাইয়া পড়ো, কাল রাইতে ঘুমাইতে পারিনাই। তহন তেকাই বউয়ের উপর মেলা রাগ পুইষ্যা রাখছি মনে ওই পুইষ্যা রাখনের মধ্যেই রইছে, বাইর করতে পারিনাই কুনদিন ওভাবেই দিন যাইতাছিল। কয়দিন পুরবে হইছেকি অফিসে যাওনের সময় আমার মোবাইলে তার নাম্বারটাতে "ও টুনির মা তোমার টুনি কথা শুনেনা" গানটা সেট কইরা রাখলাম। ওই গান তার দুই চক্বের বিষ। শুনলেই নাকি মিজাজ বিলা হয়া যায়গা আমি জানি সে আইজগা কমে হইলে তেত্রিশবার ফুন দিবো।

তার ছোট বইনের জামাইরে দাওয়াত খাওয়াতাছে। ওইটা আনবা, সেইটা আনবা, ওইটা ভুলবানা, এই সেই কতো জাতের অর্ডার যে আইবো আল্লাহ মালুম। আইজগাই সুযুগ। অফিসে মাত্র গিয়া ঢুকসি, ফুন দিলো । আমিতো তুলিনা পাক্কা তিন মিনিট পর ফুন তুললাম।

ফুন দিয়া মনে অইলো আগুন বারইলো, য়ই অক্ষুনি পাল্টাইবা পালটাইবা ওই গান। কিয়ের কি পাল্টানো। পুরা দিনে মনে অয় ১৯বার ফুন করছে। ১৯ বারই পুরা গান শুনাইয়া পরে ফুন রিসিভ করছি। পরে চিককুর দিয়া কয়, আইজ আইসো বাসায় তোমার ল্যাপটপ ভাইঙ্গা কটকটি খামু।

কি আজব, কটকটি খাইবা তো টাকা চাইলেই হয়, কষ্ট কইরা ল্যাপটপ ভাইঙ্গা কটকটি খাওনের কি কাম? কপাল আমার, সেইদিন কেমনে জানি আমার লুঙ্গিটা ছিড়া গেলগা। বউরে কইলাম জান একটু সেলাই মাইরা দেওনা। ইজ্জততো বারইয়া যাইতাছে। বউ ফুস ফুস কইরা কয়, কার লগে বলি ধরছিলা যে লুঙ্গি ছিড়া যায় তোমার? কইলাম বলি কি আমি একলাই ধরি?? এমন লুক দিল, মনে অইলো, বলি কি জিনিস সে জানেইনা। অফ গেলাম।

কি আর করা, ফাটা লুঙ্গি নিজেই সেলাম মারলাম। সে খানেও মহা ঝামেলা। বউরে কইলাম তোমার চাক্কিখান (কাপড়ে ফুল তুলার জন্য মেয়েরা এক প্রকার গোল চাক্কি ব্যবহার করে) বাইর করোতো বউ। বউ য়ে মিন মিন কইরা আরেক লুক দিল, ২য় বার আর আস্ক দিলামনা। পরে লুঙ্গির এক পাশে কাগজ ট্যাপ লাগাইয়া পরে উল্টা দিকে সেলাই মাইরা ট্যাপ উডাইয়া লইলাম।

কোনা চুখে বউয়ে লুক মারে, আর মিট মিট হাসে। আমি না দেখনের ভান মাইরা মুড মারি। লুঙ্গি সেলাই মাইরা ছোট বউরে (একমাত্র শেলিকা) ফুন দিলাম। বউ তুমি কই? বড় বউতো আমার জান নিয়া গুটি খেলতাছে, আমারে বাঁচাও । ও পাস থেকে কয়, জামাই বাবা শীলাতো (শেলিকার নাম) বাসায় নাই।

মনে হইলো যেন আমারে কেউ ৪০০ ভোল্টের কারেন্টের শর্ট দিলো । মুবাইল দিলাম ছুইড়া পালঙ্খে। তাড়াতাড়ি তিন গিলাস পানি খাইলাম। বউ আচমকা আমাকে শুন্যে শর্ট খাইতে দেইখা মুবাইল হাতে নিয়া কানে দিয়া তার মায়ের লগে কথা শেষ কইরা দেখি ফ্লোরে গড়াগড়ি দিতাছে, কান্দনের না, হাসির। হাসতে হাসতে মনে য়য় কাইন্দা দিব।

যার হাসি দেইকা পাগল হইছিলাম, আইজ তার হাসি দেইকা মিজাজ বিলা উৎসর্গ বিবাহিত ভাইদেরকে  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।