ছেলে হোক মেয়ে হোক সুস্থ ব্লগারই যথেষ্ট সেদিন এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা আপুর "আমেরিকায় বাংলাদেশ ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত কিছু আজব প্রশ্নের মুখোমুখি" পোষ্টটি পড়ে এই পোষ্টটি দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। আমার মনে হয় বিদেশিরা (মাকে) বাংলাদেশকে নিয়ে যেসব উদ্ভট প্রশ্ন করে যেমন
ইজ বাংলাদেশ ইন ইন্ডিয়া? আর ইউ বাংলাদেশ? ডু ইউ স্পিক বাংলাদেশ?
তার জন্য আমরা নিজেরাও কিছুটা দায়ী। অনেক সময় অভিজ্ঞতা অথবা ইচ্ছার অভাবে আমরা ঠিকমতো মাকে(বাংলাদেশকে) তুলে ধরতে পারি না।
তাই কোন কোন ভুল আমরা করি অথবা কি ভাবে (মাকে) দেশকে বিদেশে তুলে ধরতে পারি তা নিচে পয়েন্টাকারে নিচে উল্লেখ করছি:
১) তুমি কোথা থেকে?
আমি বাংলাদেশ থেকে এবং আমি বাংলাদেশী এটা প্রথমেই বলে দেবেন(যাতে আর প্রশ্ন না করে আর ইউ বাংলাদেশ?)
২) বাংলাদেশ কোথায়?
আমরা বেশিরভাগ সময় বলি ইন্ডিয়ার পাশের দেশ। সেটা না বলে সাউথ এশিয়ার একটা দেশ বলতে পারি।
তাহলে বাংলাদেশ এশিয়ার একটা দেশ বলে পরিচিত হতে পারবে। প্রতিবেশি দেশের পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার দরকার আমাদের মায়ের নেই।
৩) ডু ইউ স্পিক বাংলাদেশ?
না আমি বাংলা বলি। এটা বলার পরে যদি প্রশ্নকর্তা ভালো বন্ধু হ্য় অথবা বিভিন্ন দেশ নিয়ে তার ইন্টারেস্ট থাকে তবে ১৯৫২ এর ইতিহাস ঝেড়ে দেবেন। সবসময় করতে পারবেন না তবে পরিস্থিতি অনুকূলে থকলে করবেন।
৪) ইজ বাংলাদেশ ইন ইন্ডিয়া?
এবার এটা বলবেন না যে, না এটা ইন্ডিয়ার প্রতিবেশি দেশ।
বলবেন, এটি একটি স্বাধীন দেশ, এবং স্বাধীন কথাটার ওপর জোর দেবেন।
এবারও যদি প্রশ্নকর্তা ভালো বন্ধু হ্য় অথবা বিভিন্ন দেশ নিয়ে তার ইন্টারেস্ট থাকে তবে ১৯৭১ ঝেড়ে দেবেন।
৫) তোমাদের স্কুল, কলেজ, অফিসে তো কোনো মেয়ে নাই তাইনা?
তখন আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিপরীত পক্ষের মন্ত্রী, কৃষি মন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং সংসদের অনেক সদস্য মহিলা সেটা বলে দেবেন। তবে পলিটিক্স নিয়ে বেশি কথা বলার দরকার নেই।
আমাদের সুন্দর দেশে রাজনীতিবিদদের দূ্র্নীতি যেন ঐ একটাই কলন্ক।
এগুলো সবচেয়ে কমন তাই এগুলো নিয়ে লিখলাম। কারও অন্য পয়েন্ট মনে হলে সেটাও বলতে পারেন। শুধু এইটাই না কক্সবাজার, সুন্দরবন, সাকিব আল হাসান, ড. মুহাম্মদ ইউনুস, গা্র্মেন্টস শিল্প আর যা যা জানেন সব ঝেড়ে দেবেন। আমরা লাখ লাখ বাংলাদেশী প্রবাসীরা যদি একটি বিদেশিকেও বাংলাদেশকে নিয়ে মুগ্ধ করতে পারি তাতে আমাদের মায়ের(দেশের) অনেক লাভ হবে।
বাংলাদেশ অবশ্যই পরিচিতি পাবে।
আর আমার অনেক পয়েন্ট হ্য়ত যুক্তিসংগত নাও হতে পারে। আমি বাস্তবতাবিবর্জিত আবেগী মানুষ। তাই বলে গালি দেওয়ার দরকার নাই। সমালোচনা ভদ্র ভাষায় হলে ভাল লাগে।
এবং আবারও বিদেশী পন্য বর্জনের কথাটা মনে করিয়ে দিচ্ছি।
সবাই অনেক অনেক ভাল থাকবেন এবং মাকে (দেশকে) ভাল রাখবেন।
মনে রাখবেন মানুষ বাঁচে আশায়, দেশ বাঁচে ভালবাসায়।
রিপোষ্টের কারণ: এই পোষ্টটি যখন করেছিলাম ব্লগে অনেক ক্যাচাল চলছিল। তেমন কেউ পড়েনি।
কিন্তু পোষ্টটি প্রবাসী ব্লগারদের জন্য উপকারী হতে পারে ভেবে আবার দিলাম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।