আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ আমার জন্মদিন । ২৪/০৯/১৯৮৬

আজ আমার ২৫তম জন্মদিন । আজ আমি আমার ২৫ বছরের শাসনকাল নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করব মানে আমি ২৫ বছরে কি কি করেছি । ১ থেকে ৬ বছর কি করেছি বলতে পারিনা তবে ৬ থেকে ১১ বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয় উত্তীর্ণ হয়েছি । তখনকার আমলের স্মৃতি ঝাপসা মনে পড়ে, এইতো স্কুলে যেতে চাইতাম না এবং পড়াশোনায় তেমন আগ্রহ ছিল না , এই নিয়ে মা বাবা বকাঝকা করতেন । কখনো তীর আর ধনুক নিয়ে গ্রামের বনে জঙ্গলে পাখি শিকারী হতাম , আবার কখনো বা পাড়ার ছেলেমেয়েদের নিয়ে মার্বেল নিয়ে অথবা মেসের খোল অথবা ভাঙ্গা হাড়ির শিখ দিয়ে ঠান্ডা গরম খেলে সারাদিন কাটিয়েদিতাম ।

১১ থেকে ১৯ বছর মাধ্যমিক বিদ্যালয় উত্তীর্ণ হয়েছি । তখনকার আমলের স্মৃতি ভালই মনে আছে এতকিছু বলে শেষ করা যাবে না । পড়ালেখায় তেমন একটা ভাল ছিলাম না । তবে উল্লেখযোগ্য হল সে সময়ে খুব বেশি ক্রিকেট খেলতাম । আজ এমুক দলের সাথে খেলা আছে রেডি থাকিস, কাল ওমুক দলের সাথে , আজ খেলাটায় জয়লাভ করতে হবে এই নিয়ে খুব বেশি মাতামাতি করতাম ।

এভাবে দিনগুলো কেটে গেল । ১৯ থেকে ২২ উচ্ছমাধ্যমিক বিদ্যালয় উত্তীর্ণ হয়েছি এবং তখনকার আমল ভর্তি পরীক্ষা এমুকখানে ওমুকখানে যাওয়াআসার মধ্যেই দিনগুলো অতিবাহিত হল । ২২ থেকে ২৩ বছরের শাসনকাল আমার জীবনের সবচেয়ে স্বরণীয় । কেননা ওই সময়টাতে আমি বাংলা বিষয়ে অনার্স সরকারিবিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই । এবং সেই সুবাদে প্রথম বাড়ির বাহিরে মেসে থাকার প্রয়োজন পড়ে এবং অচেনা অজানা জায়গা এবং অচেনা অজানা মানুষের সাথে পরিচয় ঘটে ।

তবে সেটা আমি ভালভাবেই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছিলাম এবং জীবনটা খুব উপভোগ করতে পেরেছিলাম । আমি এটা শিখেছিলাম যে মানুষের সাথে কিভাবে সম্পর্ক ভাল করা যায় এবং ভাল ব্যবহার করা যায় । আমি সে সময় অনেকগুলো উপন্যাস পড়েছিলাম । আমার পড়া কতগুলো উপন্যাস এবং উপন্যাসের লেখক এবং নায়ক ও নায়িকা ও অন্যান্য চরিত্র । ১/ পল্লীসমাজ – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – রমেশ+রমা ।

২/ বিপ্রদাস – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – বিপ্রদাস, দ্বিজদাস+বন্দনা । ৩/ গৃহদাহ – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – সুরেস+অচলা+মহিম । ৪/ পথের প্যাচালী – বিভূতিভূষণ চট্টোপাধ্যায় – অপু, দুর্গা, সর্বজয়া । ৫/ শেষের কবিতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – অমিত+কেতকী,অমিত+লাবণ্য+শোভনলাল । ৬/ কপালকুন্ডলা – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – নবকুমার+কপালকুন্ডলা ।

৭/ অনন্ত প্রেম – আনোয়ার কবির পাশা । ৮/ বনে যদি ফুটল কুসুম –বিধানচন্দ্র মিত্র – সাগর+ঋতু । ৯/ বিষাদসিন্ধু – মীর মোশারফ হোসেন । ১০/ ঘরে-বাহিরে – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – নিখিল+বিমলা+স্বদ্বীপ । ১১/ রোল নাম্বার ওয়ান – হাফিজ আল ফারূকী ।

১২/ বউঠাকুরাণীর হাট – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – উদয়াদিত্য+সুরমা, প্রভা । ১৩/ গোরা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – গোরা+সুচরিতা, বিনয়+ললিতা । ১৪/ শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – শ্রীকান্ত+রাজলক্ষী, ইন্দ্র । ১৫/ পরিণীতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – শেখর । ১৬/ চরিত্রহীন - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – সতীশ+সরোজিণী, সাবেত্রী, উপেন্দ্র+সুরবালা, কিরণময়ী, দিবাকর ।

১৭/ পথের দাবী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – অপূর্ব+ভারতী, ডাক্তার-সব্যসাচী, সুমিত্রা । ১৮/ বড়দিদি - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – সুরেন্দ্রনাথ, শান্তি, মাধবী, বড়দিদি, প্রমীলা । ১৯/ অনুরাধা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – বিজয়, অনুরাধা, গগন, কুমার । ২০/ মেজদিদি - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – কেষ্ঠ, হেমাঙ্গিনী, কাদম্বিনী, নবীন, বিপিন । ২১/ বোঝা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – সত্যেন্দ্রকুমার মিত্র+সরলা+নলিনী, হেমাঙ্গিনী+বিধু ।

২২/ পন্ডিত মশাই - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – কুসুম+বৃন্দাবন দাস, চরণ, কুঞ্জনাথ+ব্রজেশ্বরী, কেশব । ২৩/ দেবদাস - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – চন্দ্রমুখী+দেবদাস, দেবদাস+পার্ব্বতী+ভুবন চৌধুরী, মহেন্দ্র, মনোরমা । ২৪/ রাজর্ষি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – হাসি+তাতা, ধ্রুব, গোবিন্দ্র মাণিক্য, নক্ষত্ররায়, রঘুপতি, বিল্বন, জয়সিংহ । ২৫/ চোখের বালি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – মহেন্দ্র+আশালতা+বিনোদিনী, বিহারী, রাজলক্ষী, অন্নপূর্ণা । ২৬/ নৌকাডুবি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – রমেশ+হেমনলিনী, নলিনাক্ষ+কমলা, ক্ষেমংকরী, চক্রবর্তী, শৈলজা, উমেশ, অক্ষয়, যোগেন ।

২৭/ চতুরঙ্গ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – শচীশ, শ্রীবিলাস+দামিনী, হরিমোহন, জগমোহন, পুরন্দর, ননিবালা, নিলানন্দস্বামী । ২৮/ দুইবোন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – শশাঙ্ক+শর্মিলা+উর্মি, নীরদ, রাজারাম, হেমন্ত । ২৯/ বিরাজ বৌ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – নিলাম্বর+বিরাজ, পীতাম্বর+মোহিনী, হরিমতি, সুন্দরী, রাজেন্দ্র । ৩০/ মালঞ্চ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – আদিত্য+নীরজা, সরলা, রমেন । ৩১/ চার অধ্যায় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – এলা, অন্তু, অতীন, অখিল, বটু, ইন্দ্রনাথ ।

৩২/ যোগাযোগ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – মধূসূধন+কুমুদিনী, বিপ্রদাস, সুবোধ, কালু, নবীন+মোতির মা, হাবলু, শ্যামা-সুন্দরী । এগুলো আমাকে পুর্ণাঙ্গতা দান করেছিল । আমি এই শাসনকালটার জন্য যতদিন বেচে থাকব ততদিন ঋণী হয়ে থাকব । সর্বশেষ ২৩ থেকে ২৫ বছরের শাসনকাল । এই আমলে আমি আমার বড় ভাইয়ের বদৌলতে এনড্রয়েড ডেবলপার এবং ড্রয়েডবিডিতে চাকরিতে আছি ।

আজকে আমার মনে হইতেছে দিনগুলো কত তাড়াতারি অতিবাহিত হয়ে গেছে । এভাবে বাকি জীবন অতিবাহিত হবে বা কোনদিন শেষবিদায়বেলা উপস্থিত হবে । তখন সবকিছুই অতীত হয়ে যাবে । আজকেরদিন কাল হবে অতীত । সময় চলে যায়, মানুষও শেষ বিদায় নেয় পৃথিবী থেকে, শুধু থেকে যায় তার স্মৃতি এবং কর্ম ।

মানুষ অতীতকে ভেবে মনে মনে সুখ অনুভব করে । তাইতো মানুষ মনের সুখে গান ধরে, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম । তাই এমন কোন অতীত চাই না যে অতীত মানুষকে ব্যথা দেয় । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।