আততায়ীর আত্মঘাতী মিনতি
হান্নান কল্লোল
বিবেকদংশনে কতোদিন ধরে আমি এক আহত আতয়ায়ী।
অবশেষে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষিত হলো মানবিকতার আদালতে।
সোহানা শোন, যতো শীঘ্র পারো দণ্ডটি কার্যকর করো।
আলুপটল কাটার চাকুটা আমুল বিদ্ধ করতে পারো বুকে।
শাড়িতে গলাটা পেঁচিয়ে ফ্যানে ঝুলিয়ে দিতে পারো।
হাতপা বেঁধে নিক্ষেপ করতে পারো অথৈ জলে।
রেখে আসতে পারো ক্ষুধার্ত হায়েনার খাঁচায়।
ছাদ থেকে ফেলে দিতে পারো এক ধাক্কায়।
শ্বাসনালী চেপে ধরতে পারো শক্তহাতে।
অথবা হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত করতে পারো আপন কোনো শৈলীতে।
যেমন ধরো, কফির পেয়ালায় মিশিয়ে নিলে এক চামচ নির্ভেজাল বিষ;
কিংবা শিরায় শিরায় পুশ করে দিলে সিরিঞ্জভর্তি চেতনানাশক তরল।
ভয় নেই প্রিয়তমা, লিখে যাবো- আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী নয় সোহানা।
আমাকে হত্যা করতে যদি নাও পারো আত্মহননের মন্ত্রণা দিয়ো না।
আততায়ী নিহত হতেই পারে, তবে সে আত্মহত্যা করতে পারে না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।