আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এর জন্য দায়ী কে ?--মামুনুর রশীদ

বাউন্ডেলের সপ্ত কথা/তত্ত কথা এই/প্রেমের মত সত্য জীনিস/এই ভুবনে নেই। সম্প্রতি ছায়াছবি,কার্টুন ও পোষ্টারের মাধ্যমে ইসলাম ও ইসলামের নবী (সঃ)হেয় প্রতিপন্ন করা নিয়ে বিশ্ব ব্যাপি যা ঘটে চলেছে তা নিয়ে ভাবার জন্য বিবেকবান মানুষের যথেষ্ট কারন রয়েছে। কারন নানাবিধ কারনে বিশ্ব এখন এমনিতেই উত্তেজনাপুর্ণ তার মধ্যে আবার একটি বিশেষ ধর্মীয় গোষ্টিকে কটাক্ষ করে একের পর এক যা শুরু হয়েছে তা কোন ভাবেই কোন শান্তি প্রিয় মানুষ মেনে নিতে পারেনা। আমেরিকার বাসিল নামক উম্মাদ ছায়াছবি তৈরী করে ইসলামের মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.) যে ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে বিশ্ব ব্যপি অগ্নি স্পুলিঙ্গের সৃষ্টি করেছে উম্মাদটি হয়ত ছবি তৈরীর আগে নিজেও ভাবতে পারেনি যে সে কি করতে যাচ্ছে। যার ফলে এরি মধ্যে অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছে,হয়ত আরও হবে।

যার মধ্যে আমেরিকার একজন রাষ্ট্রদূতও রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে কেন এমনটি করা হচ্ছে? পৃথিবীর প্রত্যেক ধর্মের অনুসারিরা তাদের ধর্মের প্রবর্তককে সর্বোচ্ছ শ্রদ্ধা,ভক্তি ও সম্মান করে চলে,এটা সবারই জানা,বাসিলেরও তা না জানার কথা নয়। তাহলে বাসিল জেনে শুনে এমনটি করলো কেন। অবস্থা দৃষ্টে যা বুঝা যাচ্ছে তা হল বাসিল জেনে শুনেই তা করছে। আর তা করেছে অন্যের ইন্ধনে।

যার পরিনাম বিশ্ব এখন অগ্নি গোলকের ন্যয় ফুটছে। খবরে প্রকাশ বাসিল কোন ভালো লোক নয়,সে একজন জুচ্ছোর এবং যারা বাসিলকে এ ছবি নির্মানের জন্য টাকা সরবরাহ করে ছবি তৈরী করিয়েছে তারা তা উদ্দেশ্য মুলক ভাবেই করেছে। যে উদ্দেশ্য ধর্মে ধর্মে জাতিতে জাতিতে বিবেধ সৃষ্টি করে পায়দা হাসিলের চেষ্টা করা। মুসলমানদের সন্ত্রাসি বলে আখ্যা দেয়া। চল চাতুরির মাধ্যমে মুসলমানের দেশের পর দেশ ধ্বংস করে দেয়া।

কিন্তু এমনটি আর কতদিন চলবে। প্রত্যেক জিনিসেরই একটি সীমা আছে,সীমা অতিক্রম করলে,পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে অখন সবাই বাচাঁর জন্য শেষ চেষ্টা করে। এখন মুসলমানেরা তাই করছে। কিন্তু বাচাঁর এ চেষ্টাও যেন দোষ। কি নির্মম পরিহাস।

কিন্তু যারা এসব জগন্য ঘটনার জন্য দায়ী তারা বহাল তবিয়তেই থেকে যাচ্ছে। আমেরিকা বাক স্বাধীনতার রক্ষক দাবী করে এসব ক্রিমিনালদের পুলিশ পাহারা দিয়ে রক্ষা করে। মুলত তারা এসব ক্রিমিনালদের রক্ষা করে বিশ্ব ব্যাপি সন্ত্রাসকে উসকে দেয়। প্রকৃত সন্ত্রসি কিন্তু আমেরিকাই। আমাদের প্রশ্ন প্রকৃত ঘটনা গুলোর জন্য দায়ী কারা?আর দায়ী এসব মানবতার শ্ত্রুদের আপনারা আমেরিকা,ফ্রান্স জামাই আদরে পুলিশ পাহারা দিয়ে রেখেছেন কেন?এদের বিচার কেন করছেন না।

আর বাক স্বাধীনতাই বা কি ? অন্যের ধর্ম ও ধর্মের নবীকে হেয় করার নামক বাক স্বাধীনতা কোন ধরনের রাষ্ট্রবিঙ্গান সমর্থন করে বলবেন কি?দুভার্গ্যের প্রহেলিকা আজ মুসলমানদের গ্রাস করে আছে না হয় তাদের ধর্ম ও তাদের নবী নিয়ে আপনারা ছিনিমিনি করার দুঃসাহস দেখাতেন না। মুসলমানরা সব ধর্ম ও ধর্মের প্রবর্তককে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে,তারাও তাদের ব্যপারে তাই চায়। পৃথিবী ব্যাপি আজ এত গুলো মৃত্যুর জন্য আপনারা দায়ী। আমরা চাই আপনাদের আমেরিকা ও ফ্রান্স আপনাদের উম্মাদ গুলোকে অভিলম্ভে ফাঁসিতে ঝুলীয়ে ও ক্ষমা প্রার্থনা করে মুসলমানদের শান্ত করুন। আর আপনাদের পাগলামি বাক স্বাধীনতার পরিবর্তন করে সভ্য,ন্যয়,ভদ্র ও সুন্দর বাক স্বাধীনতা বিনির্মান করুন,না হয় একদিন হাজারো পাপের কাফপারা দিতে দিতে আপনাদের ধংশ ও পতন শুরু হবে,যে পতন কেউ রুখাতে পারবেনা।

মামুনুর রশীদ (কবি ও ছড়াকার) Email: 23/09/2012 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।