আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বীর প্রসূতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবের ৫০ বছর

বাংলায় কথা বলি,বাংলায় লিখন লিখি, বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় স্বপ্ন দেখি। আমার অস্তিত্ব জুড়ে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ। তলোয়ারের জোরে বীর সাজার দিন শেষ। এখন যুদ্ধ প্র্রযুক্তির; জ্ঞান, দতা ও বুদ্ধির। প্রকৃত বীর সেই, যে রিপু, জিদ, ােভ, লোভ, মতার মোহ, ঈর্ষা , পর নিন্দা ও পরশ্রীকাতরতা বর্জণ করে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তিনি তো মহাপুরুষ, আতœাথিক জগতের গুরু।

তারচেয়েও বড় ও আসল, বাস্তব জগতের বীর হলো ুধা, মন্দা ও অপুষ্টির বিরোদ্ধে সংগ্রামরত কৃষিবিদ, কৃষি বিজ্ঞানী, কৃষি কর্মী ও কৃষকগণ। চিকিৎসা বিজ্ঞানে আমাদের অনেক অর্জন। চিকিৎসক সবাক প্রাণীর সেবা করেন, যে নিজের কথা বলতে পারে। কিন্তু কৃষিবিদদের কর্মকান্ড নির্বাক প্রাণীদের নিয়ে, যারা নিজেদের চাওয়া, সুখ-দুঃখের কথা বলতে পারে না। বোবার মুখে হাসি, আর নির্জীবে ফুল ফুটানো অত্যন্ত নিরিবিচ্ছিন্ন ও কষ্টসাধ্য সাধণার বিষয়।

জ্ঞানে-গরিমায় বলিয়ান, কৌশলে চৌকশ কৃষিবিদগণ এসব বোবা জীবের ’রসায়ন বুঝে’ মিতালী গড়ে, আপণ বলয়ে সন্তানের মতো লালন-পালন করে, মানুষের চাহিদানুযায়ী, বৈরী-প্রতিকূল পরিবেশে বেড়ে উঠতে সম নতুন জাত, প্রজাতি, প্রযুক্তি তৈরী করেন। তাঁরা ফসলের, সব্জির, গাছের, বন , মাছের, হাঁস-মুরগী, গবাদী সম্পদের নতুন, উন্নত জাত ও চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবণ করে অজেয়কে জয় করছেন। রক্ত ঝড়ানো যত সহজ, ঘাম ঝড়ানো তত কঠিন। হূল ফুটানোর চেয়ে ফুল ফুটানোর কঠিন ও কষ্টকর কাজটি কৃষিবিদগণ অত্যন্ত নিষ্টার সাথে করে যাচ্ছেন। অর্থনৈতিক মুক্তি না হলে রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন।

এ মুক্তির জন্য তাঁরা যুদ্ধ করছেন। জাতীয় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেবার সুযোগ জাতির জীবনে একবারই আসে। তাঁরা সৌভাগ্যবান, জাতীর পূঁজনীয়। ুধা ও দারিদ্রতা মুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে, পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য যোগান দিয়ে একটি সবল, সুস্থ, আতœনির্ভরশীল জাতি বিনির্মাণে নিরলসভাবে অবিচল থেকে অবিরাম যুদ্ধ করছেন আমাদের কৃষিবিদগণ। ’জীবে দয়া করে যে জন, সে জন সেবিছে ঈশ্বর’ মন্ত্রে দীতি হয়ে ভুখা, ন্যাংটা, হা-ভাতে জাতির ললাটের তিলক লিখন মুছে মর্যাদাশীল জাতি হিসাবে বিশ্বের মানচিত্রে উচুঁ হয়ে দাঁড়াতে স্বমতা অর্জনে সহায়তা করছে।

ভবিষ্যতেও ক্রমহ্রাসমান জমি হতে বর্ধিত জনগোষ্টির খাদ্য চাহিদা মিটাতে, সাফল্যের গৌরবোজ্ঝ্ল ধারা অব্যাহত রাখতে তাঁরা খাদ্য প্রাপ্তির যুদ্ধের রণ-কৌশল সেভাবে সাজিয়েছে। কারণ আমাদের কালচার এগ্রিকালচার, কৃষ্টি কৃষি, অস্তিত্বের শিকড়। স্বাধীনতা অর্জন যত সহজ, মর্যাদাশীল জাতি হিসাবে টিকে থাকা তত কঠিন, তারাঁ এ লড়াই এ ব্রত। কৃষিবিদগণ তলোয়ার হাতে মারণাস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেন না। তাঁদের যুদ্ধ অদৃশ্য শত্র“র বিরোদ্ধে, অহিংসা, ভালবাসায়, খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বিশ্ব জয়ের নীতিতে।

তাঁরা যুদ্ধ করেন উন্নত জাত ও প্রযুক্তির খড়গ হাতে দেশ থেকে দুর্ভিরে মূল উৎপাটনে; ’যা-কে বলে বাকের খাঁ’র মতো দেশ গঠনে। খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হলে পৃথিবীর অনেক সমস্যার উৎসোরণ রোধ ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। বিশ্বে তাঁরা অশান্তি, ঝগড়া, ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে না। প্রকারান্তে এ নিরস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে তাঁরা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করছেন। এ যুগের প্রকৃত বীর, মানব প্রেমিক ও দেশ গড়ার কারিগর তো তাঁরাই ? কারণ, পেটে খেলে পিঠে সয়।

জাতির আশা আখাঙ্খার প্রতীক, জাতীয় বীর-কৃষিবিদদের সূতিকা ঘর, মৌলিক গবেষণা, নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, মেধা লালন ও চর্চা কেন্দ্র- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬১ সালের ১৮ আগস্ট, ময়মনসিংহে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে কৃষি বিজ্ঞানের সব শাখায় উচ্চশিা নিশ্চিত করা হয়েছে। কৃষির প্রায় সকল শাখায়, শিরা, উপশিরা ও রক্ত নালীতে কৃষি শিার্থীদের বিচরণ, সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টায় রত। বহুমাত্রিক ও বৈচিত্রময় বিষয়ে গবেষণার সুযোগ, একত্রে, একসাথে শুধু এখানেই রয়েছে। কৃষি, পশু চিকিৎসা, পশু পালন, মাৎস্য বিজ্ঞান, কৃষি প্রকেীশল ও কারিগরী, কৃষি অর্থনিতি ও গ্রামীণ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ৪৪ টি বিভাগ হতে বিগত ৫০ বছরে গ্রাজুয়েট ৩৬,৮৩৩ জন কৃতি কৃষিবিদ, কৃতিত্বের সাথে কৃষি সেক্টরসহ প্রায় সকল েেত্র সুনাম ও দতার সাথে দেশে বিদেশে সফলতার নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

টেকসই উন্নয়ন ও বিনিযোগ বৃদ্ধির জন্যও প্রযোজন প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি। বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, কর্মকান্ড, বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর মানুষের চাহিদা, সমস্যা সমাধানে তাঁরা তৎপর। দেশে গবেষণা, উন্নয়ন ও পজিটিভ পরিবর্তন যদি কোন েেত্র হয়ে থাকে সেটা হয়েছে কৃষি সেক্টরে এবং কৃষির জন্য। সরকারের সফলতা ও গেীরবের প্রতীক হচ্ছে কৃষি সেক্টর। এ মহান অর্জনের মূলে রয়েছে বীর প্রসুতি, মেধার লালন, চর্চার চারণ ভূমি, রতœগর্ভা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর গ্রাজুয়েট-কৃষিবিদগণ।

বিভিন্ন কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সেক্টরে কর্মরত থেকে জাতীয় এ বীরগণ মৌলিক গবেষণা, জ্ঞান সৃষ্টি ও সর্বত্র প্রযুক্তির প্লাবন সৃষ্টি করে জাতীয় ও আর্šÍজার্তিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় প্রত্যাশিত গতিবেগ সৃষ্টি করেছে। নার্স ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের প্রায় সহস্রাধিক উফশী জাত রয়েছে। বাকৃবি’র রয়েছে শতাধিক প্রযুক্তি। নন-কমোডিটি প্রযুক্তির সংখ্যা হবে হাজারেরও অধিক। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এেেত্র ব্যপক সফলতা দেখিয়েছেন।

আর প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন, স¤প্রসারণ ও জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের ফলেই উৎপাদন/ফলন বেড়েছে, মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়ে জীবন যাত্রা উন্নত হয়েছে। ’বঙ্গবন্ধুর অবদান, কৃষিবিদ কাশ ওয়ান’ ঘোষণার মাধ্যমে কৃষিকে একটা সম্মানজনক পেশায় পরিণত করা হয়েছে। কৃষি শিা, গবেষণা ও স¤প্রসারণের যে উদ্দেশ্য নিয়ে বাকৃবি’র যাত্রা শুরু হয়েছিল, তার অধিকাংশই সফল হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড়, মনোরম, মুগ্ধকর পরিবেশ, ব্রম্মপুত্র নদের পাড়ে, নয়নাভিরাম সবুজ চত্বরে ১,২০০ একর আয়তনের সুবিশাল ক্যাম্পাস- বাকৃবি’তে বর্তমানে মোট শিার্থীর সংখ্যা- ৫, ৪৬৩ জন; স্নাতক- ৩,৮০৭ জন, স্নাতকোত্তর- ১,৩৩৪ জন ও পিএইচডি- ৩৩২ জন। তিনটি ছাত্রী হলসহ মোট ১২ আবাসিক হল রয়েছে।

প্রায় সাড়ে পাঁচ শত শিকের অধিকাংশই উচ্চ ডিগ্রী ও প্রশিণ প্রাপ্ত। রয়েছে পর্যাপ্ত ভৌত অবকাঠামো ও আধুনিক সুযোগ সুবিধা। আশার কথা, পৃথিবীতে প্রথম কৃষি আবাদের সূচণাকারি নারী শিার্থীর সংখ্যা মোট শিার্থীর অর্ধেক। জাতিকে দেশপ্রেম, কর্মনিষ্টা, বিশ্বস্থতা ও সততার সাথে ’শিকড় থেকে শিখরে’ পেীছাঁখ্যাঙ্খীর মূর্ত প্রতীক আমাদের নারী সমাজ। কৃষি শিা ও কৃষি সেক্টরে তাঁদের অধিক হারে প্রবেশ শুভ সূচনারই ইঙ্গিত বহণ করে; জাতির জন্য এটা মঙ্গল বয়ে আনবে।

আমাকে কেউ প্রশ্ন করলে-তোমার ’দেশের বাড়ি’ কোথায় ? আমার উত্তর ছিল ’ ময়মনসিংহে- কৃষি নগর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি)। শৈশবের ১৫ বছর আমার গ্রাম-কিশোর গঞ্জের লাইম পাশাতে কাটলেও জীবন-যৌবনের স্বর্ণালী সিকি শতাব্দিরও বেশী সময় কেটেছে বাকৃবি’র সবুজ চত্বরে। সাংবাদিকতার সুবাধে ঐ সময়ের প্রতিটি ঘটণার আমি জীবন্ত স্বাী। এখানকার ইট, পাথর, রাস্তাঘাট, গাছ পালার ছাঁয়ায় আমার বেড়ে উঠা, মিতালি। এমন কোন জায়গা খুব কমই আছে, যেখানে আমার পদচিহ্ন পড়ে নাই, পদভারে জর্জরিত দুর্বাঘাসের প্রাণ রসে আমি রঙিণ ও উজ্জিবিত হয়ে উঠি নাই ? কৃষি নগরের- ছাত্র, শিক, কর্মকর্তা, কর্মচারি ও গ্রামবাসির ভালবাসায় আমি সিক্ত, অভিভুত, কৃতজ্ঞ ও আলোকিত হয়েছি।

প্রকৃতির নিয়মে প্রতি বছর নতুন শির্থী ভর্তি হয়, শিার জন্য এসে, সেবার জন্য বের হয়ে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের প্রায় সবার সাথে আমার আতœীক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এখনো আমি সোদা মাটির গন্ধ পাই, স্বপ্নে দেখি, কল্পনায় ভাসি, আমার প্রিয় ক্যাম্পাস । সবার েেত্রই তা প্রযোয্য, এটাই কৃষি নগরের নাগরিকদের রীতি। কৃষি ক্যাম্পাসের পরিবেশটাই এমন যে, এটা একটা পরিবারের মতো, সবাই সবাইকে চিনে, বিপদে আপদে পাশে এসে দাড়াঁয়, আনন্দ বেদনা এক সাথে শেয়ার করে, ল্য ও জীবনের গোল তাঁদের এক।

এ সম্পর্ক আজীবন অটুট থাকে। ’আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেউ অবনী পরে; সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে’ । এটাতো কৃষিবিদদের মনের কথা । মা, মাটি ও মানুষ নিয়ে তাঁদের কারবার। কণ্যা উপযুক্ত হলে যোগ্য পাত্রে পাত্রস্থ করার মতো কৃষিবিদগণ দেশের সর্বত্র বৃহৎ পরিবেশে সেবার জন্য ছড়িয়ে পরে।

এক যুগ পরে দেখা হলেও আপণ জনের মতো বুকে টেনে নেয়। এ কৃষি নগর, ক্যাম্পাসের সাথে প্রতিটি কৃষিবিদের নাড়ীর সম্পর্ক, মায়ের সাথে সন্তানের, কন্যার যেমন। জ্ঞান, দতা ও চরিত্র, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল মন্ত্র। ক্যাম্পাসের কাদা-মাটির সাথে গড়াগড়ি, শিার্থীদের মাখামাখি, ধূলা-বালি গায়ে জড়ানো এবং ফসল আর বোবা জীবের সাথে মিতালীর ঘটনা অন্যত্র খুবই বিরল। হাতে-কলমে বাস্তবে, খামারে শিখতে গিয়ে তাঁদের মাঠে-ময়দানে কাজ করতে হয়।

আমার সকল প্রাপ্তি ও অর্জনের তীর্থ ভূমি বাকৃবি, আমার অহংকার, আমি তোমায় ভালবাসি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হাটি হাটি পা ফেলে, জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোকচ্ছ্বটায় চারিদিক আলোকিত করে ইতিমধ্যে অর্ধ শতাব্দির পথ পাড়ি দিয়েছে । এটি আমাদের পরম আনন্দ ও গেীরবের। এ দীর্ঘ পথ চলায় দেশের প্রাচীণ, প্রথম ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান-বাকৃবি তৈরী করেছে অনেক বিচণ কৃষিবিদ, সফলতা ও অর্জন যাঁদের অনেক। যেখানেই পা ফেলেছে, সফলতা তাঁদের করায়ত্ত হয়েছে; মায়াময় দ হাতের ছোঁয়ায় সর্বত্র সোনা ফলেছে।

যাঁদের দূরদৃষ্টি ও যোাগ্য নেতৃত্বে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দ্বার প্রান্তে । সফলতার এ স্বর্ণালী অর্জনকে স্মরণীয়-বরণীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির রূপদানের জন্য বাকৃবি আয়োজন করেছে ’৫০ বছর পূর্তি ও প্রাক্তণ ছাত্র ছাত্রী পূর্ণ মিলনী উৎসব’ ২০১২। আসছে ডিসেম্বর মাসের চতুর্থ সপ্তাহে উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি থাকবেন। দেশ-বিদেশ হতে প্রায় ১০ হাজারেরও অধিক কৃষিবিদ, তাঁদের পরিবারবর্গ উপস্থিত থেকে উৎসবে অংশ নিবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

নতুন পুরোনো শিার্থীর এ মিলন মেলার মহাযজ্ঞের মহা আয়োজন চলছে । কয়েকটি কমিটি, উপ কমিটি কাজ করছে। এ উৎসবকে সার্থক ও সুন্দর করতে সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে http://alumni.bau.edu.bd , e-mail: বা 01711-606 457; 01711-372 859; 01711-679 167; 01752-929 024; 01716-001 719; 01713-113 559 মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা যেতে পারে। বাকৃবি’র স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য ও জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে।

ক্যাম্পাসকে আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হবে। এ হবে যেন রতœগর্ভা মা তাঁর সুপাত্রস্থ সন্তানাদি ও তাঁদের সকল আতœীয়কে জন্মভূমিতে ’নাইয়র’ আনাসম; বাকৃবি’র বৃহৎ পারিবারিক মিলন মেলা। উৎসবে থাকবে গ্র্যান্ড আনন্দ র‌্যালী, বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে সেমিনার, মেলা, কৃষিবিদদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি প্রদর্শণী, স্মৃতি চারণ, আলোচনা, কৃতি কৃষিবিদদের স্বীকৃতি ও সম্মাননা (আমার প্রস্তাব এটা তিন স্তরে, বিভিন্ন েেত্র-তরুণ, মধ্য বয়সী ও সিনিয়র পর্যায়ে হলে ভাল হয়) প্রদাণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একটি ’অ্যালামনাই কল্যাণ তহবিল’ গঠন করা হবে। তাছাড়া সবুজ চত্বরে স্বপরিবারে জমকালো আড্ডা, হলের প্রাঙ্গণে, নিজ রুমে, লেডিস হলের সামনে, বোটানিক্যাল গার্ডেন, আম বাগানে অতিতে ফিরে ¯মৃতি হাতড়ানো, ব্রম্মপুত্রে নৌ-বিহার, গাঙ্গিনার পাড়, প্রেস কাবের বিরিয়ানি, জয়নুল সংগ্রহশালা, পুরোনো বন্ধুকে জড়িয়ে ধরা, জীবন সঙ্গী, আতœজ-প্রজন্মকে প্রিয় প্রাঙ্গণ ঘুরে ঘুরে দেখানোর দূর্লভ মুহূর্ত কেউ হাতছাড়া করবে না।

এ উৎসবের মাধ্যমে কৃষিবিদদের ইস্পাত দৃঢ ঐক্য, প্রত্যয়, সম্মিলিত কর্ম উদ্যোগ ও আতœবিশ্বাস আপামর জনতার অর্থনৈথিক মুক্তির দিশারী হবে, এটা আমাদের আখ্াংকা। আসুন, মিলি প্রাণের মেলায়, বাকৃবি’তে একসাথে, দেশ গড়ার দৃপ্ত অঙ্গীকারে। ড. নিয়াজ পাশা, সার্ক কৃষি কেন্দ্র, ঢাকা; সাবেক ভিপি, ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদ, বাকৃবি, ময়মনসিংহ এবং ১. সদস্য, তথ্য ও প্রচার উপ কমিটি; ২. সদস্য, মুদ্রণ ও প্রকাশনা উপ কমিটি ৫০ বছর পূর্তি উৎসব ও অ্যালামনাই’২০১২ উদযাপন কমিটি, বাকৃবি,ময়মনসিংহ; ফোন: ০১৭২৭ ০৭৪ ৫৮৪; ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।