"অতি অপরিচিত " কিছুদিন আগেও ছেলেপেলেদের কাঁধে কাঁধে ঘুরত গীটার । বিশাল কালো ব্যাগের ভেতরে গীটার নিয়ে রাস্তায় হাঁটা চলা অনেক কষ্টের ব্যাপার হইলেও , যারা এইটা নিয়ে সারাদিন ঘুরত তাঁদের দেখে অবশ্য মনে হত তাঁরা স্বর্গীয় সুখ নিয়ে রাস্তা হাঁটছে । গীটার বাজাতে পারাটা বড় ব্যাপার না , সাথে থাকাটাই বড় ব্যাপার ছিল । আর বাজাতে পারলে তো কথাই নাই । কণ্ঠে মধু থাকুক বা না থাকুক , রাস্তা ঘাট বা পথে প্রান্তরে বন্ধুদের সাথে নিয়ে টুং টাং শুরু করে দেওয়ার মধ্যে একটা আলাদা ভাব ছিল ।
এতে সখিনা , জরিনারা আড় চোখে গিটারিস্ট এর দিকে তাকাত ।
এখন অবশ্য গীটার হন্টন আগের তুলনায় কমে গেছে । গীটারের জায়গা নিয়েছে ডিএসএলআর । হাতে একটা ডিএসএলআর থাকা মানে বুঝতে হবে ছেলের ফটোগ্রাফিতে বিশাল কাঁপ ঝাঁপের ব্যাপার আছে ।
আসুন দেখি কেন এই পরিবর্তন ।
গীটার ছেড়ে আজ কেন ছেলে পেলেরা ডিএসএলআর এর দিকে ঝুঁকছে ? কারণ আর কিছুই না , ফেসবুক ।
আগে মানুষের বিনোদনের জায়গা খুব বেশি একটা ছিল না । টিভি আর কনসার্ট এসব দেখেই দিন কাটত । "আরে ছেলেটা কি বাজায় দেকসস ? মাম্মা আমি এমুন বাজাতে পারলে তো জরিনা , সখিনা আমার উপ্রে ক্রাশ খায়া যাবে । " এসবই ছিল তখনকার ইয়ো ছেলেদের ভাবনা ।
কিন্তু ফেসবুক এসে তাদেরই ভাবনার জগতে বড় একটা ধাক্কা দিয়ে দিল । জরিনা , সখিনার সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে কথায় কথায় , উঠতে বসতে , ঘরে বাইরে এমনকি বাথরুমে গেলেও নিজের সুরত খানা ফেবুতে আপলোড দেওয়া । গীটারিস্ট এর টুং টাং জরিনার কানে যখন পৌঁছানর চেয়ে , ফেবুতে জরিনা সখিনার কাছা কাছি যাওয়া সহজ । তখনই সামনে এল ডিএসএলআর । এই মহান ক্যামেরা যদি সাথে থাকে , তাহলে খ্যাতরিনাও হয়ে যায় ক্যাটরিনা ।
তখন ক্যাটরিনা হবার আশায় জরিনা , সখিনা , এমনকি ফুলি আর মরজিনাও এসে বলবে , "ভাইয়া "জান" , আমার একটা প্রো পিক তুলে দেওয়ার সময় কি তোমার হয়না ? "
এ কারনেই গীটার হয়েছে বিগত , ডিএসএলআর সমাগত ।
ইহা একটি ফান পোস্ট । দয়া করে ত্যানা পেচাইবেন না । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।