আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
কথায় আছে ''রাজা যা বলে সভা বলে শতগুণ''। শুধু বাড়িয়ে নয় বরং তোষামোদ ও প্রচুর প্রশংসা করে। কয়েকদিন আগে যখন সোনালী ব্যাংক হতে হলমার্কের ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ ও ২ হাজার কোটি টাকা আত্নসাতের উপক্রম তখন অর্থমন্ত্রী মুহিত বলে এই টাকা খুব বড় কিছু নয়। তথা পুরো ঘাপলার সাথে জড়িত চক্রের অপকর্ম জায়েজ না হলেও তাদেরকে আড়াল করার ব্যার্থ চেষ্টা! এটাই যখন সব মিডিয়া এটাকে হুবহু তুলে ধরে এবং সর্ব শ্রেণীর মানুষ এটাকে ধিক্কার দেয় তখন সেই তথাকথিত স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির দাবীদার টরোন্টোবাসী ক্যানেইডিয়ান বলদ তার ফেসবুক ষ্ট্যাটাসে বলে যে প্রআলো নাকি এই মুহিতের কথাকে বিকৃত করেছে। তথা অর্থমন্ত্রী কোন দোষ করেননি।
প্রকারন্তরে হলমার্ক, সোনালী ব্যাংকের সুভাষ সিংহ পরিষদ গং এবং হাসিনার উপদেষ্টার অপকর্মকে হাল্কা করার চেষ্টা। একেতো চুরি হয়েছে তার উপর উল্টা মন্ত্রীকেও ডিফেন্ড করল নির্লজ্জ দালালের মত। অথচ পরের দিন সংসদে দলীয় সদস্যদের তোপে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইল মুহিত। কিন্তু বলদটাকে নিজের ভুল স্বীকার করে কোন ষ্ট্যাটাস দিতে দেখলাম না। এদের চরিত্র হল আওয়ামী-বাকশালী মানসিকতার।
তাই এর ধারাবাহিকতা স্বরুপ এখন যখন পদ্মা সেতুর ঋণ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের শর্তে হাসিনার উপদেষ্টা ও ভারতপন্থী মসিউর রহমানকে বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়ে দিল এবং তাকে নিয়ে প্রআলোর আনিসুর রহমান কৌতুক করল তখন বলদাটা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠল। বলদটা তার ফেসবুকে লিখেছে;
শেষ পর্যণ্ত সাহিত্যিক আনিসুল হকও যোগ দিলেন বলি উৎসবের প্রনোদনা মিছিলে। কিভাবে একজন সাহিত্যিক তার সাহিত্য প্রতিভা কাজে লাগিয়ে তথ্য উপাত্ত ছাড়াই একজন মানুষকে নিয়ে তামাশা করতে পারে - তার একটা নমুনা হতে পারে এই লেখাটি।
এই লেখার নীচে একটা কমেন
্ট করেছিলাম - মডারেটর প্রায় তিন ঘন্টা সময় নিয়েছে কমেন্টটা পোস্ট করতে - অন্যদিকে নেতিবাচক আর লেখার প্রশংসা করে করা কমেন্টগুলো পোস্ট হয়ে যাচ্ছে দ্রুততার সাথে। একজন বেতনভুক সাহিত্যিককে কতটা নীচে নামতে হয় এই ধরনের ফরমাইসী লেখার জন্যে - সেইটা ভেবে প্রমাদ গুনলাম - এরা সুগারকোটিং করে মানুষকে বদলানোর বড়ি খাওয়াচ্ছে - যা আসলে বিশ্ববেনিয়ার কাছে দাসত্বের শিকলটাকেই আরো শক্ত করে বাঁধার প্রচেষ্টার অংশ বটে।
বলদাটা প্রআলোতে কমেন্ট করেছে;
আবু সাঈদ জিয়াউদ্দিন
২০১২.০৯.১৯ ০৫:৩৩ বিশ্বব্যাংক বলেছে বলেই ড. মসিউর রহমানকে পদত্যাগ করতে হবে, এটা কোন যুক্তি হলো? গত কয়েকদিন আপনাদের পত্রিকাসহ অনেকগুলো পত্রিকা এই উন্মাদনা ছড়াচ্ছে - ধারনা দেওয়া হচ্ছে যে ড, মসিউর পদত্যাগ করলেই বিশ্বব্যাংক টাকা দিয়ে দেবে। মনে হচ্ছে মধ্যযুগের উন্মাদনায় জাতিকে টেনে নিয়ে যেতে প্রথম আলোসহ মিডিয়ার একটা অংশ সংঘবদ্ধ হয়ে নেমেছে। অনেকটা যেন বলি দানের মতো - বিশ্বব্যাংক একটা দেবতা আর তাকে তুষ্ট করার জন্যে যুক্তিবুদ্ধিকে অবজ্ঞা করে একটা বলি দিতেই হবে? কেন?
এইটাই যে শেষ বলি - তা কি আপনারা নিশ্চিত?
কেন আপনারা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন না - সন্মানের সাথে বাঁচতে চাই - দরকার নেই ঋনের টাকায় সেতু - আমরা নিজেরাই নিজেদের সেতু তৈরী করবো। কথা হচ্ছে - বিশ্বব্যাংক যদি প্রমান দিতে পারে ওরা দূর্নীতি করেছে - তাহলে পদত্যাগ কেন, ওদের এরেস্ট করা হউক - বিচার করা হউক।
সত্যই লজ্জা হয় - এই দেশের ত্রিশ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়ে স্বাধীনতা এনেছে বিশ্বের অনেক পরাশক্তির রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে - আজ সেই দেশের অগ্রসর শ্রেনী একটা ব্রীজ তৈরীর ( যা অনায়েসে নিজেদের অর্থায়নের করা সম্ভব) ঋণের জন্যে নিজেদের কতটা নীচে নামিয়ে আনছে।
বিশেষ করে সমাজের অগ্রসর মানুষগুলো যুক্তিবুদ্ধির ধারে কাছে না গিয়ে সন্মিলিত উন্মাদনায় নেমেছে - যা মধ্যযুগের বলির উৎসবকেও হার মানাচ্ছে।
Click This Link
আবুল হোসেনকে কানাডায় পাঠিয়ে এসএনসি লাভালিনের কাছে কন্সালটেন্সি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ঘুষ চাইতে পাঠানো হয়েছিল এই ক্যানেইডিয়ান বলদাটা স্বীকারই যায় না। এমনকি কানাডার পুলিশ পর্যন্ত নিশ্চিত হয়ে যে আবুল হোসেন শুধু ঘুষ চায়নি ভয়ও দেখিয়েছে। কিন্তু কে শুনে কার কথা বলদটা বলেই চলে এই সব মিথ্যা কথা ও ষড়যন্ত্র। তার পরবর্তী ষ্ট্যাটাসটা দেখি;
কন্সিরেসী থিয়োরী এভাবেই শুরু করতে হয়।
যেহেতু মিডিয়া স্বাধীন - তাই সুবিধা হলো - যে কোন কথা বলার জন্যে সোর্স লাগে না।
"সরকারের কারও কারও ধারণা, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের ওই আলোচনা, তার পরও এক মাসের ছুটিতে যাওয়ার খবর গণমাধ্যম
ে ছড়ানোসহ মসিউরের বিষয়ে এই ধোঁয়াশা তৈরি করা হয়েছে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তেই। যাতে সরকার পরে বলতে পারে, সব উদ্যোগ নেওয়ার পরও বিশ্বব্যাংকের অসহযোগিতার কারণে জটিলতা নিরসন হয়নি। "
- সরকারের কারা কারা এই ধারনা করে যদি জানা যেতো - কিন্তু আসলে এই ধরনের সাংবাদিকতার জন্যে কোথায় যেতে হয় না। মতি ভাইএর টেবিলেই হয় এই থিয়োরীর আবিস্কার।
আসেন আমরা সবাই বদলে যাই।
(এর ভিত্তি)
Click This Link
তাইলে দেখা যাচ্ছে হাসিনা ও তার দল আলীগের প্রভাবশালীরা যতই চুরি, র্দূনীতি, অপশাসন, জুলুম এবং ভারতীয় দালালি করুক না কেন তথাকথিত স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বের কৃতিত্ব দাবী করে ১৬ কোটি মানুষকে কষ্ট দিতে এতটুকুও গায়ে বাধে না এই বাকশালী দালালটার। যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ গত বছর ২০১১ সালেই শুরু হয়ে যাওয়ার কথা তা হাসিনা গং এর কারসাজি ও র্দূনীতির প্রচেষ্টায় পিছিয়ে গেছে। এই জিনিসটাকে কিভাবে আড়াল করবে এবং তথাকথিত স্বাধীনতার সোল এজেন্ট দেখিয়ে তথাকথিত ষড়যন্ত্র আবিস্কার করে। এই সেই মসিউর যে ভারতীয় নৌ-যান হতে আমাদের আভ্যন্তরীন নদী পথের মধ্য দিয়ে চলাচলের জন্য মাশুল চাইলে বলে "ফি চাওয়া অসভ্যতা"।
দেশে লুটপাট করবে এবং ভারতের সেবাদারগিড়ি করবে। এই বলদ ও আগাচৌদের মত চরম দালাল ও বাটপারীর জন্যই দেশ পিছিয়ে পড়ছে। বলদটা কত জোর গলায় বলেছিল যে মসিউর গেলেও নাকি বিশ্বব্যাংক অর্থ দিবে না। অথচ এখন বিশ্বব্যাংক রাজী হল। এখন বলদ ও তার গুরু আগাচৌ কি বলবে? সেই ২০০৯ সাল হতে হাসিনার জন্য বহু উন্নয়ন ও ভাল কাজ সময় মত করা অসম্ভব ছিল না।
বরং অনেক কাজই সহজ ছিল। কিন্তু ভারতকে মূচলেকা ও চুরি-বাটপারি যাদের চিরাচরিত অভ্যাস তাদের কাছে বহু সহজ কাজও অসম্ভব হয়ে যায়। এই কারণই আজকে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত। চোরের দালালরা বিদেশে থেকে দেশের মানুষের কষ্টের পক্ষে কোন কিছুই তো বলেই না উল্টো চোরদের অপকর্মকে জায়েজ করে। এর জন্যই বলে "চোরের স্বাক্ষী বাটপার"।
আগাচৌ ও ক্যানেইডিয়ান বলদ মনে করে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার কোন সীমান্তের দরকার নাই! কিন্তু বেশী বাটপারী ও চালাকি করতে যেয়ে যে এরা নিজেদেরকে রাম ছাগল ও অথর্ব বলদের পর্যায়ে নামিয়ে আনে সেই বোধটুকুও তাদের থাকে না। জুতার বাড়ি দিলেও এদের বাটপারি ও বলদামি কমবে না! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।