যালিম হয়ে বেচে থাকার চেয়ে মযলুম হয়ে মরাও উত্তম
অনেকে দেখছি ব্লগে, টুইটারে, ফেসবুকে ইসলাম অবমাননাকারী ভিডিওর প্রতিবাদ জানানোর সমালোচনা করেই যাচ্ছে । আমাদের সংযত হওয়া উচিত, শান্তিপূর্ন উপায়ে প্রতিবাদ জানানো উচিৎ , ব্লা ব্লা ব্লা ।
কিন্তু এই যে জনরোষ, এই যে বিক্ষোভ এসব হচ্ছে পশ্চিমের প্রতি মানুষের অনাস্থা জ্ঞাপন । ভিডিওটা একটা উপলক্ষ মাত্র । যেকোন মনোবিজ্ঞানীও আমার ধারনা একই কথাই বলবে - এসব বিক্ষোভ এই ভিডিওটা বের না হলেও হতো ।
কোন না কোন ইস্যুতে পশ্চিমের প্রতি মানুষ তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতোই এবং করবেই । এটা দীর্ঘদিনের সাম্রাজ্যবাদীদের শাসন , নিপীড়নের প্রতি মানুষের মিডল ফিংগার দেখানো , আর কিচ্ছুনা । বিক্ষোভতো শুধু দাড়ী টুপি ওয়ালারাই করছেনা , আরো অনেক দর্শনের মানুষও এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছে ।
শ্রেনীকক্ষ এমন একটা যায়গা যেখানে ছাত্ররা থাকবে, শিক্ষকরা লেকচার দিবে । সেই ছাত্ররাই যখন ক্লাস বর্জন করে, তখন শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সবাই বিচলিত হয় বইকি ।
অভিভাবকেরাও বিচলিত হয়, কারন ক্লাস বর্জন কোন স্বাভাবিক ঘটনা না । এর মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি ছাত্রের অনাস্থাই প্রকাশ পায় ।
মানুষ যখন রাস্তায় নেমে এসে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ করে তাতে সরকারের প্রতি মানুষের অনাস্থাই প্রকাশ পায় ।
একটা ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়াও কোন স্বাভাবিক ঘটনা । একটা ওয়েবসাইট চালু থাকবে, মানুষ একসেস করবে ।
কিন্তু একটা ওয়েবসাইট যখন মানুষ বন্ধ করে দেয় বা বন্ধ করে দেওয়ার দাবী জানায় তখন সেটা অস্বাভাবিক ঘটনা বইকি ।
এই যে গনরোষ তা আদতে সাম্রাজ্যবাদের প্রতি মানুষের ঘৃনারই বহিঃপ্রকাশ । দাড়ি, টুপিওয়ালারা এইসব বিক্ষোভে আছে বলেই একে বাঁকা চোখে দেখার কোন কারণ নেই । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।