আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইহা আমি কি দেখিলাম। ইনোসেন্স অফ মুসলিম নাকি আগলি অ্যাটাক অন ইসলাম।

ইউটিউব থেকে এখনো ইনোসেন্স অফ মুসলিমের ভিডিওগুলো রিমুভ করা হয়নি। আমি এই ছবি দেখে চরমভাবে মর্মাহত হয়েছি। এই ছবিটি দেখার পর মনে হয়েছে ইহা আমি কি দেখিলাম। ইনোসেন্স অফ মুসলিম নাকি আগলি অ্যাটাক অন ইসলাম/মুসলিম। ধিক এই ছবির নির্মাতাদের।

সব মানুষেরই মত প্রকাশের অধিকার আছে। তাই বলে মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে গণতন্ত্রের সূতিকাগার খ্যাত আমেরিকাতে নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠির জনগণকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নির্মিত চলচ্চিত্রকে সমর্থন করা যায় না। আমি কোনো নির্দিষ্ট জাতি ধর্ম বা গোষ্ঠির পক্ষে কথা বলছি না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মিডিয়াতে দেখেছি বিভিন্ন ধর্মের প্রচারক,ঈশ্বর ও দেব দেবীদের নিয়ে কমেডী করা হয় বা মজা করা হয়। আমেরিকাতে দেখা যায় ওরা যিশুখ্রিষ্ট বা ওদের ঈশ্বরকে নিয়ে সিনেমাতে মজা করছে বা কমেডি করছে।

যেমনঃ জিম কেরী অভিনিত একটি সিনেমা ব্রুস অলমাইটি। আমাদের পাশের দেশ ভারতেও বিভিন্ন টিভি শোতে,সিনেমাতে দেব দেবীদের নিয়ে মজা করতে দেখেছি। ইনোসেন্স অফ মুসলিম দেখার আগে আমি একজন বলেছিলাম দেখো আমরা মুসলমানরা আসলেই বাড়াবাড়ি করি। অন্য ধর্মের দেব দেবী, ধর্ম প্রচারক বা ঈশ্বরকে নিয়ে মজা করলে তাদের কোনো সমস্যা না থাকলেও আমাদেরই যত সমস্যা। আমরা কোন কিছু সহজভাবে নিতে পারিনা।

আমি ভেবেছিলাম ইনোসেন্স অফ মুসলিম সিনেমাতে হয়ত মুসলমানদের নিয়ে মজা করা হয়েছে দেখে মুসলিম বিশ্ব প্রতিবাদ করছে। কিন্তু ইনোসেন্স অফ মুসলিম দেখে আমি কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছি না এ ধরনের মানসিকতা নিয়ে কিভাবে একজন পরিচালক ছবি বানাতে পারে। এই ছবিটি বানানোই হয়েছে মুসলমানদের আঘাত করার জন্য। আর কিভাবেই বা আমেরিকার মত একটি দেশে এই ছবি মুক্তি দেয়ার অনুমতি পেল। এটাকে কোনভাবেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলা যায় না।

এই ছবিটির ভিত্তি হল ইসলাম ধর্মকে অবমাননা এবং মুসলমানদের হেয় করা। এই ছবিতে ভয়ঙ্কর ও কুৎসিতভাবে আক্রমনের স্বীকার হয়েছেন মুলত ইসলামের নবী হজরত মুহম্মদ (স)। তার সাহাবী ও অনুসারীরাও এই কুৎসিত আক্রমন থেকে রেহাই পায় নি। আজকে এই রকম একটি ছবি যদি খ্রীষ্টান,হিন্দু,বৌদ্ধ বা অন্য কোন ধর্মকে নিয়ে করা হত তখন কি পরিস্থিতি হত সেটা একটু কল্পনা করুন। যাই হোক আমেরিকার উচিত এই ছবিটির প্রচার বন্ধ করা এবং এই ছবিটির পরিচালক প্রযোজককে জিজ্ঞাসাবাদ করে বের করা উচিত এই ছবিটি তারা স্বপ্রোনিদিত হয়ে করেছে নাকি অন্য কোন চক্র এর পিছনে ছিল।

নাকি আবার সর্ষেতেই ভুত। এর পিছনে আমেরিকান বা বৈশ্বিক রাজনীতি থাকলেও থাকতে পারে। এ ধরনের একটি ছবি কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। শত শত কোটি মানুষকে আঘাত করে এমন মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেউই চায় না এটা মেনে নেওয়া যায় না। আবার এর জন্য আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে মেরে ফেলতে হবে বা সহিংস্র আন্দোলন করাও উচিৎ না।

তবে অবশ্যই এ ধরনের সাম্প্রদায়িক আক্রমনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে এবং সেটা হতে হবে শান্তিপূর্নভাবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।