আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈসা (আঃ) এর সাহাবীদের স্বহস্তে লেখা ইঞ্জিল সহীহ্ নয়, বোখারীদের লেখা হাদীস নাকি সহীহ্!!

যারা আল্লাহ ও রাছুলদের প্রত্যাখ্যান করে এবং তাঁদের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে-প্রকৃত পক্ষে ইহারাই কাফির এবং ইহাদের জন্য কঠিন লাঞ্চনাদায়ক শান্তি রয়েছে। [৪: ১৫০, ১৫১] কোন র্ধম গ্রন্থই স্বয়ং আল্লাহ, ফরেস্তো এমনকি অধিকাংশ নবীগণও নিজ হাতে লিখেননী; লিখেছনে সাধারণ মানুষ, আর মানুষ কোনক্রমেই ভুলের উর্দ্ধে নয় বা হতে পারে না। আমরা যারা হাদীসকে বিশ্বাস করি; বিশেষ করে বোখারী শরীফকে সহীহ বলে দাবী করি তারা কি জেনেছি হাদীস কিভাবে সংগ্রহ হয়েছে? হাদীস কেবলী অনুমানের উপর বিশ্বাস করে রচিত হয়েছে রাসুলের দোহায় দিয়ে। তার পরেও অনেকে বলেন যারা হাদীস বর্ণনা করেছেন তারা ছিলো খুব বিশ্বাসী। ধরে নিলাম তারা বিশ্বাসী, তার পরেও বলবো যে হাদীস লিপি বদ্ধ হয়েছে রাসুলের মৃত্যুর প্রায় তিনশত বছর পরে।

তার পরেও এই শোনা কথা গুলো আজ সহীহ্। শোনা কথা সহীহ্ ,কিন্তু ঈসা (আঃ) এর সাথে তাবলীগ করা সাহাবী যিনারা সব সময় তাঁর সাথে থেকেছেন তার কথা শুনেছেন যেমন লূক মথি, মার্ক, জোহন। ঈসা (আঃ) এর স্বর্গে আরোহণের পর ইনারাই ইঞ্জিল স্বহস্তে লিপিবদ্ধ করেন। কারো কাছে শুনে তিনশত বছর পর কিন্তু ইঞ্জিল লিপিবদ্ধ হয় নাই। ঈসা (আঃ) এর কাছে যে ভাবে শুনেছিলেন ঠিক সেই ভাবে তারা লিখেছেন।

তার পরেও একদল মানুষ আছে তারা বলে বেড়ান ঐ কিতাব (ইঞ্জিল) ভুল আছে ঠিক নাই! অথচ বোখারীদের কথা গুলো হাদীস হিসাবে লিখেছে রাসুলের চলে যাওয়ার অনেক অনেক বছর পরে। তাদের জন্ম হয়েছে কবে, আর রাসুলের জন্ম কবে একবার ভেবে দেখেছেন কি? এইসব শরীয়তী আলেম বোখারীরা কেবল মানুষের মুখে থেকে শুনে শুনে অনুমানের উপর ভিত্তি করে কথা গুলো হাদীস হিসাবে লেখেছেন। লিখার দরকার ছিলো কি? কারন এইগুলো না লিখার আগেও ইসলাম ধর্ম ছিলো; মানুষ মানতো সালাত কায়েক করতো, যাকাত দিতো। কিন্তু তখনতো হাদীস লিখিত আকারে ছিলো না। তাহলে কিসের ভিত্তিতে এগুলো করতো তারা, একবার ভাববেন কি? অবশ্য আল্লাহ কোরআনে বলেছেন অনুমানের উপর ভিত্তি করে কোন কথা বলা বড় অপরাধ।

অনুমান গুনাহ্ র কাজ এই অনুমান সম্বন্ধে সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে আল্লাহ্ বলেন وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ অর্থঃ বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে। কেবল রাসুল (সাঃ) মূখে থেকে শুনে সঙ্গে সঙ্গে সাহাবাদের দ্বারা বিভিন্ন পাথর,ফলক,গাছের বাকল বা চামড়ায় লিখিত আকারে যে গ্রন্থটি লিপি বদ্ধ হয়েছে সেটি হলো পবিত্র কোরআন। হাদীস রাসুলের মূখে থেকে শুনে কোন সময়'ই লিপি বদ্ধ হয় নাই। ইতিহাস তা বলে না।

বরং রাসুল (সাঃ)এর মৃত্যুর বহু বছর পর তা মানুষের মূখে থেকে শুনে সংগ্রহ করে লিখা হয়েছে। তাহলে এবার আপনারাই বলেন কিসের ভিত্তিতে আমরা হাদীসকে সহীহ বলছি? কেবল অনুমানের ভিত্তিতে এমন জোর দিয়ে কথা বলা কোরআনের সূরা ইউনুস এর ৩৬ নং আয়াতকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাচ্ছি নয় কি? হাদীস দিয়ে ধর্ম চলছে সেই ক্ষেত্রে কোরআনের সাথে হাদীস মিসলে অসুবিধা কোথায়? যেমন নামাজ কিভাবে পড়বেন, যাকাত কিভাবে দিবেন, কতভাগ দিবেন এই গুলিতো কোরআনে নাই হাদীসে আছে। তায় এগুলো কোরআনে এ্যাড হলে আপনাদের ভাষায় কোরআন পূর্ণতা পেতো। নাকি কোরআনের সাথে হাদীস মিশলে অসুবিধা আছে? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।