আরও নাড়ু চাই মেঘনার পাড়ে ছোট্ট একটি মফস্বল, যার ক্ষেত্রের বাইরে প্রায় তিন দিকেই নদী বেষ্টিত। ইলিশ মাছের জন্য এই শহরটি সুপরিচিত দেশের মধ্যে। আয়তনে অথবা সামগ্রিক উন্নয়নের দিক থেকে দেশের অন্যান্য কিছু জেলা থেকে একটু পিছিয়ে থাকলেও অর্থনীতিতে ও রাজনীতিতে এর অবস্থান খুব সক্রিয়।
বাংলাদেশের মাছ রপ্তানির একটা বড় উৎস আসে আমাদের এই চাঁদপুর থেকে। এছাড়াও নদীবন্দর হিসেবেও এ অঞ্চলটি দেশের অর্থনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে।
দেশের অর্থনীতিতে এর গুরুত্বের কারনেই এখানেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশের একমাত্র “ইলিশ ও নদীর মাছ গবেষণা কেন্দ্র”।
অর্থনীতির ন্যায় রাজনীতিতেও এর সক্রিয় অংশগ্রহণ আমরা লক্ষ্য করেছি। অতীতে ও বর্তমানে এ অঞ্চলের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদরা রেখে গেছেন ও যাচ্ছেন দেশের উন্নতিতে তাদের অনবদ্য ভূমিকা। ১৯৮৬-১৯৮৮ পর্যন্ত এ অঞ্চলের মিজানুর রহমান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। এর পরবর্তীতে প্রায় সবসময়ই এ অঞ্চল থেকে অন্তত একজন মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন প্রতিটি সরকার গঠনের সময়ই।
বর্তমান সরকারের আমলের শুরুতেই আমরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্টিত একজন মন্ত্রী পাই। কিছুদিন আগে আরেকজন মন্ত্রী পদে যোগদান যেন মনে করিয়ে দিল এ অঞ্চলের শক্তিশালী রাজনৈতিক পটভূমির কথা। এ অঞ্চলের রাজনীতিবিদদের নিবেদিত কাজের ফসলই হচ্ছে এটি। অবশ্যই যোগ্য কৃতিত্বের কারনেই তারা এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন, অতীতেও যারা বিভিন্ন সরকারের আমলে এ সব গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বে ছিলেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
সুতরাং ছোট শহর বলে আমদেরকে পিছিয়ে রাখার কোন কারন নেই।
এ পোস্টটি কোন রাজনৈতিকমূলক না, এটি একটি অঞ্চলের কিছু গর্বিতগাঁথা কথামাত্র। আশাকরি কেউ অহেতুক কোন দিকে নিবেন না,সহজ ভাবে লেখাটি নিবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।