আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

!!!! মহাজোটে অস্বস্তি,, আর সরকার বেসামাল !!!!

গত কয়েকদিনের মহাজোট সরকারের কাজকর্ম পর্যালোচনা করলে একটা বিষয় পরিস্কার বুঝা যায় . এই মহা শক্তিধর সরকার কেমন যেন বেসামাল হয়ে পড়ছে . আজকের কয়েকটি পত্রিকার হেড নিউজ দেখলে বিষয়টা আরো পরিস্কার বুঝা যাবে . এই মহা জোট সরকারের অত্যন্ত বিশস্ত প্রথম আলোর আজকে এ সংক্রান্ত নিউজ গুলো এরকম নিউজ নাম্বার@১. মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে সংকট আরও গভীর হলো সরকার ও জোটে অস্বস্তি :::তোফায়েল আহমেদ ও রাশেদ খান মেনন মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মহাজোট সরকারের দুর্বলতা ও সংকট আরও গভীর হলো। এ ঘটনায় সরকার, আওয়ামী লীগ ও এর শরিক দলগুলোয় হতাশা ও অস্বস্তি বেড়েছে। এমনকি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগেই জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করে সংকট মোচন করতে গিয়ে নতুন সংকটের জন্ম হবে, এমনটা সরকারের উচ্চপর্যায়ের ভাবনায় ছিল না। মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হতে পারে, তা ছিল তাদের চিন্তার বাইরে।

গত ৪০ বছরে এভাবে কেউ জানান দিয়ে মন্ত্রিত্ব প্রত্যাখ্যান করেননি নিউজ নাম্বার@২. একের পর এক কেলেঙ্কারি নিয়ে এমনিতে বেকায়দায় আছে বর্তমান মহাজোট সরকার। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ ও জোটের শরিক রাশেদ খান মেননের মন্ত্রিত্ব প্রত্যাখ্যান। বিষয়টি এখন সরকার ও দলকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব নেতা বলেন, সরকারের পৌনে চার বছরের সব কর্মকাণ্ড ছাপিয়ে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে শেয়ারবাজারে কারসাজি, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি, সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএসের (সহকারী একান্ত সচিব) অর্থ কেলেঙ্কারি, হলমার্ক কেলেঙ্কারি ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাস। কিন্তু কোনো ঘটনায়ই সরকার সময়মতো ব্যবস্থা নেয়নি।

সর্বশেষ এর সঙ্গে যুক্ত হলো মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের উদ্যোগ দুই প্রবীণ নেতার প্রত্যাখ্যান। নিউজ নাম্বার@৩. সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে আরও একজনকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি মহাজোট সরকারের অন্যতম শরিক এই দল। এ কারণে গত বৃহস্পতিবার নতুন সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে জাপাকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন দলের নেতারা। জাপার দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, বর্তমান মন্ত্রিসভায় জাপার একমাত্র সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদেরকেও সরিয়ে আনার চিন্তাভাবনা চলছে দলটিতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, ‘নভেম্বরের মধ্যেই এটি হতে পারে। ’ এ ছাড়া আগামী ডিসেম্বর নাগাদ মহাজোট থেকে জাপার বেরিয়ে আসারও সম্ভাবনা রয়েছে। নিউজ নাম্বার ৪. প্রথম আলোর সম্পাদিকতে কালের পুরানে শেখ হাসিনার সম্প্রসারিত ‘নবরত্নসভা’ নামক লেখায় সোহরাব হাসান লেখেন ,,, শেখ হাসিনার সরকারের ব্যর্থতার পাল্লা যত ভারী হচ্ছে, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সংখ্যাও তত বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার নতুন সাতজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। তাঁরা কি কোনো কাজে সাফল্য দেখাতে পারবেন? এঁদের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই অনভিজ্ঞ, প্রায় অপরিচিত।

বলতে গেলে অভিজ্ঞতাও নেই। দলের কর্মীরাও তাঁদের চেনেন না, প্রধানমন্ত্রী চেনেন, এটাই একমাত্র যোগ্যতা। সরকারের অদক্ষতা, অব্যবস্থা ও দুর্নীতির বিষয়টি যখন সর্বমহলে আলোচিত ও সমালোচিত, তখন ধারণা করা হয়েছিল, পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শক্ত পদক্ষেপ নেবেন। অন্তত অদক্ষ, বিতর্কিত ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত মন্ত্রীদের মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় করবেন। বিতর্কিত উপদেষ্টাদের উপদেশ নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, তিনি মোটেই কঠোর হতে পারলেন না; কেলেঙ্কারির হোতা ও সহযোগীদের স্বপদেই রাখলেন। এই হলো প্রথম আলোর আজকের মুল্যায়ন !!!! এবার দেখাযাক সরকার বিরুধী নয়াদিগন্তের আজকের শিরোনাম ::: "সরকারে অস্থিরতা" মন্ত্রিসভার পরিবর্তনে সরকারের সঙ্কট প্রকাশ পেয়েছে; দুর্নীতির অভিযোগ হচ্ছে সর্বব্যাপী; মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের বিদায়ে সিদ্ধান্তহীনতায় সঙ্কট বাড়ছে সমকালের সম্পাদকের নিউজটা এরকম @ শেষের খেয়ায় উঠলেন না ওরা..... গোলাম সারওয়ার কী বলব, 'ঘটনার ঘনঘটা' না 'অঘটনের অন্তহীন মিছিল'? কেলেঙ্কারির তকমা লাগানো নানা ঘটনার মধ্যে রয়েছে ইলিয়াস আলী 'অন্তর্ধান', পদ্মা সেতু, ডেসটিনি, হলমার্ক, সরকারি দলের 'ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনে'র নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দেশের বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অচল হয়ে যাওয়া। গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. ইউনূসকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, তা তো আমাদের ভৌগোলিক সীমানার বাইরে উন্নয়ন সহযোগীদেরও উদ্বিগ্ন করেছে। এ প্রসঙ্গ আলাদাভাবেই লেখা যেতে পারে। সব ঘটনাকে ছাপিয়ে যা দেশকে তোলপাড় করল তা হলো প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় যোগদানের আমন্ত্রণ 'সবিনয়ে' প্রত্যাখ্যান।

তারা দু'জনেই 'শেষের খেয়া'র সাত যাত্রীর দু'জন হতে চাননি। এ ঘটনাটি সরকারকে, আমি বলব প্রধানমন্ত্রীকে যথেষ্ট বিব্রত করেছে। বৃহস্পতিবার নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি যে প্রধানমন্ত্রীকে আমরা টেলিভিশনের পর্দায় প্রত্যক্ষ করেছি তার মুখমণ্ডলে অস্বস্তির স্পষ্ট ছায়াই ফুটে উঠেছিল। সরকারের জন্য এ ঘটনা কি শুধু অস্বস্তির? না, তারও অধিক। সাম্প্রতিক ঘটনাবলির সঙ্গে এই অনভিপ্রেত ঘটনা যুক্ত হয়ে সরকারের রক্তচাপও কিঞ্চিৎ বাড়িয়ে দিয়েছে।

বিরোধী দলের মুখর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তো সুযোগ পেয়ে তোফায়েল আহমেদ ও রাশেদ খান মেননের এই সাহসী ভূমিকার প্রশংসায় শুধু উদারই হননি, পঞ্চমুখ হয়েছেন। রফিকুল ইসলাম মিয়া আর এক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, সরকার মুমূর্ষু বলেই মন্ত্রিত্ব প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা। বুঝে না বুঝে এভাবেই বিরোধী দলের হাতে সযত্নে একের পর এক ইস্যু তুলে দিয়ে তাদের সবল করা হচ্ছে এখন দেখা যাক সরকার এই বেসামাল অবস্থাকে কিভাবে সামাল দেয়??  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।