somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বিদায় হজ্বের বানী (১ম পর্ব)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দীর্ঘ ২৩ বছরে কঠিন সাধনা আর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে মহানবী (সাঃ) মহান স্রষ্টার ইচ্ছার স্বরূপে আরব জাহানকে গড়ে তুলেছিলেন। দশম হিজরি জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখে আয়োজিত হয় বিশ্বমানবতায় এক মহাসমাবেশ। মহানবী (সাঃ)ইসলামের অন্যতম রুকুন হজ্ব আদায়ের জন্য বিপুলসংখ্যক ভক্তকে সঙ্গে নিয়ে অনবরত আট দিন পথ চলে মক্কাধামে উপনীত হন। হজ্বের আনুষ্ঠানিকতা সম্পুর্ন করে মহানবী (সাঃ)আরাফাত ময়দানে,মহাসমাবেশে দাঁড়িয়ে মহাগুরুত্বপুর্ণ এক ভাষণ দান করেন। মহানবী (সাঃ) এর ভাষণ ছিল মূলত আল্লাহর দ্বীনের বিজয়ের চূড়ান্ত ঘোষণা। আর তাই তো সেদিন নাজিল হয়েছিল “আজ আমি তোমাদের ধর্ম হিসেবে মনোনীত করলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহকারীকে সুসম্পন্ন করলাম, আর ইসলামকে তোমাদের ধর্ম হিসেবে মনোনীত করলাম(সুরা মায়েদা, আয়াত-৩)
আরাফাত ময়দানে বিদায় হজ্বের ভাষণে মহানবী (সাঃ) এর কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল ইসলামের মর্মবানী। মহানবী (সাঃ) বিশাল জনসমুদ্রে মাঝে দাঁড়িয়ে মহান প্রভুর গুনকীর্তন করেন, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সমবেত জনমণ্ডলীকে সম্বোধন করে বললেন, "হে লোকেরা। আমার কথাগুলো মনোযোগ সহ শ্রবণ করো। আমার মনে হয়, এরপর আমার পক্ষে হজের মহান আনুষ্ঠানিকতায় যোগদান করা সম্বব হবে না। শুনে রেখো, অন্ধকার যুগের সব কুসংস্কার, সব অন্ধবিশ্বাস এবং সব ধরনের অনাচার আজ আমার পায়ের নিচে দাফন করা হল। বর্বর যুগের শোণিত-প্রতিশোধ প্রথা আজ থেকে রহিত করা হলো, মুখতা যুগের সব সুদ আজ থেকে বাতিল করা হলো। আমি সর্বপ্রথম আমার স্বগোত্রের প্রাপ্য সুদ ও সব ধরনের রক্তের দাবি রহিত ঘোষণা করছি। মনে রেখো, একজনের অপরাধে অন্যকে দণ্ড দেওয়া যাবে না। পিতার অপরাধে পুত্রকে এবং পুত্রের অপরাধে পিতাকে অভিযুক্ত করা চলবে না। যদি কোন নাক কাটা হাবশি ক্রিতদাশকেও তোমাদের আমির নিযুক্ত করা হয় এবং সে আল্লাহর কিতাব অনুসারে তোমাদের পরিচালনা করে, তাহলে তোমরা
সর্বতোভাবে তাঁর অনুগত করবে। তাঁর আদেশ মান্য করবে। সাবধান! ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে না। এতদ্বিষয়ে সীমা লঙ্ঘনে কারণে তোমাদের পুর্ববতী বহু জাতি ধ্বংশ হয়ে গেছে। মনে রেখো! তোমাদের সবাইকে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হতে হবে। তাঁর কাছে এসব কথার জবাবদিহি করতে হবে। সাবধান, তোমরা পথভ্রষ্ট হয়ে যেওনা, খোদাদ্রোহী হয়ে পরস্পরে রক্তপাতে লিপ্ত হয়ো না।

২য় পর্ব এখানে
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
১০টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×