somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তাজুল ইসলাম মুন্না
সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ালেখা করছি। পাশাপাশি অনলাইন জার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করছি দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে। ব্লগে ফেরার ইচ্ছা বহুদিনের। একদিন হয়তো হুট করে আবারও রেগুলার হয়ে যাবো।

আজকের খেলার মাঝের বিরতিতে লেখা...

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খেলা দেখা শুরু করেছি শরীরের অমানুষিক উষ্ণতা নিয়ে! নাহ্, আমার জ্বর হয়নি। এই উষ্ণতাটা প্রিয় দলের উপরে থাকা প্রেসারের জন্যে।

শুরুটা অসাধারণ ছিলো। আশরাফুলের আউট হওয়ার সময়েও আমার কাছে একটিবারও মনে হয়নি যে বাংলাদেশের ইনিংসের গতি কমবে! সত্যি করে বলছি, আশরাফুলের পর সাকিবকে নামতে দেখে মনে হয়েছিলো যে তামিম আর সাকিবের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করতে পারি আমরা। ইতিহাস সাক্ষী, এই দুইজন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের
সবচেয়ে ভালো বন্ধু এবং খেলায় ভালো পার্টনার। মিস আন্ডারস্টান্ডিং হতেই পারে, কিন্তু সাকিব আর তামিমের বেলায় সেটা হবে তা কল্পনাও করতে পারি নি।

এটাই খেলোয়াড়দের মনোবল ভেঙ্গে দেবার জন্যে যথেষ্ট ছিলো। শুরু হলো পাকিস্তানের 'নোংরা' মাইন্ড গেইম। 'নোংরা' শব্দটা ব্যবহার করা উচিত হবে না। কারণ, ব্যাপারগুলো মোটেও নোংরা না। তবে যেই দলের বিরুদ্ধে খেলাটা হয় তাদের কাছে ব্যাপারটা নোংরা বলে মনে হলেও ক্রিকেটে জয়ের জন্যে প্রচন্ড কাজ করে এইরকম ছোটোখাটো কিছু মাইন্ড গেম। সেটা কি ছিলো? খেলা ভালো করে দেখলে ধরতে পারবেন। বল যেদিকেই যাক না কেনো, পুরো মাঠ জুড়ে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। সাথে বিকট চিৎকার! বল থ্রো করতে বলা..! (যদিও এই ব্যাপারে বিশেষভাবে এক্সপার্ট ছিলেন আমাদের সাবেক উইকেট কিপার খালেদ মাসুদ) নাহ্, তুলে নিচ্ছি কথাটা। ব্যাপারটা নোংরা না, পাকিস্তান দলের জয়ের অন্যতম প্রধান একটা অস্ত্র।

তখনই বুঝেছি, দুইশতের স্বপ্ন ভাঙ্গতে চলেছে। কিন্তু অন্তত ১৮০/১৯০ আশা করেছিলাম। ঐ যে! নিউজিল্যান্ডের সাথে চরম হার থেকে আমরা ৩৬রানকে কমিয়ে হিসাব করবো বলে।।

বেশ চলছিলো, তামিমের আউটের পরে সাকিবের চেহারায় সেই পুরোনো জেদটা চোখে পড়লো। অসহায়ত্ব আর কষ্টের মাঝেও সেখানে ছিলো অসম্ভব একটা জেদ। হ্যা, বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার; আমাদের সাকিব আল হাসান অসাধারণ জেদী। তখনই বুঝেছি। তামিমের আউটের জন্যে সে নিজেকে দায়ী করছে। তবে আমাদের সাকিবের জন্যে সেটা আউট হয়ে ০ নিয়ে ফিরে যাওয়া না, তামিমের না করতে পারা কাজটা করে দেওয়া ছিলো। ((তামিমকে আছাড় খেতে দেখেছি। ব্যথাটা আমারও লেগেছে))

সাকিব সার্থক। তবে মাহমুদুল্লার ক্রিজে আসাটা সম্পূর্ণ অবিবেচকের মতো একটা কাজ বলে মনে হয়েছিলো। ঐরকম পরিস্থিতিতে আমরা নাসিরকে আশা করতে পারি। বোলার মাশরাফিকে পর্যন্ত আশা করতে পারি! কিন্তু মাহমুদুল্লাহকে "না"।। দুটো বল এখানে নষ্ট হয়েছে। ব্যাপার না। নাসির এসে যা করেছে তাতে নাসিরকেও কৃতিত্ব দিতেই হবে। বারবার সাকিবকে স্ট্রাইকে দিয়ে সে আবারও প্রমাণ করেছে যে, "বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা দেশের জন্যে খেলে, ব্যাক্তিগত ইনিংসের জন্যে না!"

মাঠে খেলছে এগারোজন, মাঠের বাইরে তাদের জন্যে গোটা দেশ দোয়া করছি। এটা আমাদের ১৬কোটি বাঙালীর লড়াই। আশা করছি বাংলাদেশ জিতবে। ৩৬রান তো? দেখা যাক!!

তবে যদি স্বপ্নভঙ্গ হয়, হোক না! স্বপ্নের ধ্বংসাবশেষ থেকেই আমরা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখবো।

গুড লাক টাইগারস্। লাভ ইউ অল। বাংলাদেশের জয় হোক!

((লেখাটা খেলার বিরতিতে লেখা। বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত হেরেছে। কিন্তু ঐ যে বললাম, স্বপ্নতো সবে শুরু। আমাদের যে আর্ও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে..))

সবাই ভালো থাকবেন
-হ্যাপী ব্লগিং


** ব্লগে খুব একটা আসা হয়না এখন আর। ফেসবুকেই থাকি...
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪২
৮টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×