আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রিপোস্ট: অনার্স পড়ুয়া ভাই বোনদের ক্যারিয়ার নিয়ে আমার জরুরি পরামর্শ

সবার ভালোবাসায় ঢাকায় আজকের এই আমি আমি নিজে মাস্টার্স শেষ করছি আজ প্রায় ৫ বছর হতে চলছে। পাশ করার ২ বছর পর এক কলিগের মাধ্যমে GRE সম্পর্কে জানতে পারি, শুরু হল আমার GRE সাধনা। এর দুই বছর পর GRE এক্সাম দিই, যদিও প্রস্তুতি নিয়েছিলাম পুরাতন নিয়মে কিন্তু এক্সাম দিলাম নতুন নিয়মে মোটামুটি ভালই স্কোর তুলেছিলাম। এখন বাহিরের ইউনিভার্সিটিতে ট্রাই করতেছি আশা করতেছি এই বছরের মধ্যে হয়তো কোন একটা ভার্সিটিতে হয়ে যাবে। এখন আফসোস হয় যদি ইউনিভার্সিটিতে থাকাকালে জানতে পারতাম GRE সম্পর্কে তাহলে হয়তো এত দিনে PhD সম্পূর্ন হয়ে যেত।

নিজের এই তিক্ত অতীত থেকে যারা এখন অনার্স করতেছেন তাদের জন্য আমার কিছু পরামর্শ দেওয়ার প্রয়োজন মনে করতেছি। কোন কোচিং সেন্টারে না গিয়ে আপনারা দ্বিতীয় বর্ষ থেকে Barron's ও Nova's Math Bible বই দুইটা কিনে ফেলুন। পাঠ্য বই এর পাশাপাশি এই বই গুলা নিয়মিত পড়ুন। অনার্স ফাইনাল এক্সাম দেওয়ার পর GRE এক্সামটাও দিয়ে দিন। GRE এক্সামটা দেওয়ার ৩ থেকে ৪ মাস পর TOEFL অথবা IELTS এক্সামটাও দিয়ে দিন।

GRE পরীক্ষার আদ্যপন্ত নিচে তুলে ধরলাম: GRE এক্সাম এ তিনটা অংশ থাকে ভার্বাল, কোয়ান্টিটেটিভ, আর রাইটিং। ভার্বাল অংশে ৬ থেকে ৭টা রিডিং প্যাসেজ থাকে, ৬/৭টা সেন্টেন্স ইকুভালেন্স থাকে সময় লাগে প্রায় ৩০ মিনিট, এই ভাবে দুইটা ভার্বাল সেগমেন্ট থাকে। কোয়ান্টিটেটিভ অংশে ৩০/৩৫ টা অংক থাকে(এই অংক গুলা সাধারনত গতি,স্সানাংক,শতকরা,সুদ,জ্যামিতি, প্রোবাবিলিটি ইত্যাদি নিয়ে) এই অংশটাও দুই সেগমেন্টে থাকে। রাইটিং এ দুইটা পার্ট থাকে প্রথম পার্টে ইস্যু টাস্ক থাকে এতে একটা টপিক থাকে এর উপর আপনাকে সুন্দর করে ভুমিকার পাশাপাশি নিজের অবস্থান তুলে ধরতে হবে, এর পরে আপনি মেইন বডি লিখবেন, মেইন বডিটা দুইটা প্যারায় লিখলে ভালো। শেষ অংশে কনক্লুশন টানবেন।

দ্বিতীয় পার্টে আপনাকে একটা আর্টিকেল দিবে,আপত দৃষ্টিতে মনে হবে আর্টিকেল টি খুবই যুক্তিক। আপনার কাজ হবে এই আর্টিকেলটির ভুল গুলো পয়েন্ট আউট করে লজিক্যালি বিরুদ্ধাচরন করা। রাইটিং এর জন্য মোট সময় ১ ঘন্টা। পরীক্ষা দেওয়ার পর ইউ এস এ তে ট্রাই করুন। আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী ৩ থেকে ৪ টা ইউনিভার্সিটি তে Apply করলে আশা করি অন্তত একটা ভার্সিটিতে আপনার হয়ে যাবে।

এক্সাম দেওয়ার পর করনীয়: পরীক্ষা দুইটা দেওয়ার পর(GRE+TOEFL অথবা GRE+IELTS) আপনি আপনার অনার্স ও মাস্টর্সের(যদি থাকে)ট্রান্সক্রিপ্ট, সার্টিফিকেট রেডি করবেন, দুইটা রিকমেন্ডেশন লেটার নিবেন আপনার অধ্যাপকের কাছ থেকে সেই সাথে একটা সুন্দর এস ও পি লিখবেন(এতে আপনি লিখবেন আপনি কেন এই সাবজেক্ট এ পড়ছেন, কেন এই ইউনিভার্সিটিতে পড়তে চান, ভবিষ্যতে কি করবেন ইত্যাদি)। এই গুলা রেডি হয়ে গেলে আপনি USA ইউনিভার্সিটির ওয়েব সাইট এ গিয়ে এডমিশন এ ক্লিক করবেন, এখানে আপনি একটা একাউন্ট খুলে ফেলবেন। এর পর আপনি আপনার সকল ডকুমেন্টস আপলোড করে ইউনিভার্সিটির এডমিশন ফি শোধ করবেন। এডমিশন নেওয়ার আগে খেয়াল করবেন যে ভার্সিটিতে ফান্ডিং আছে কিনা। যারা GRE এক্সামের জন্য পড়াশুনা করেন তাদের জন্য বাংলাদেশের কম্পিটিটিভ এক্সাম গুলা অনেক সহজ হয়ে যায়।

এই ছাড়াও আপনি GRE জন্য পড়লে IELTS ও TOEFL আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে। আশা করি যারা এখন ভার্সিটিতে পড়েন তারা এই সময় গুলা কাজে লাগাবেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।