ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের সালেম জেলার দলিত সম্প্রদায়ের একদল নারী বলেছেন, ওই জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরের খাবার তৈরির জন্য তাঁদের নিয়োগ দিয়েছে সরকার। কিন্তু স্থানীয় লোকজন তাঁদের রান্না করা খাবার ‘অচ্ছুত’ বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাঁরা তাঁদের শিশুদের এসব খাবার খেতে দিচ্ছেন না।
উচ্চবর্ণের হিন্দুরা বলে বেড়াচ্ছেন, দলিত নারীদের রান্না খাবার খেলে জাত যাবে। এতে শিশুদের ‘অন্নপাপ’ হবে।
অথচ এমজিআর নিউট্রিশিন নুন মিল স্কিম নামের একটি প্রকল্পের আওতায় সরকার ওই দলিত নারীদের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পাচিকা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু সামাজিক বয়কটের কারণে এই পাচিকারা চাকরি করতে পারছেন না।
এস সুন্দরাবণিতা নামের এক দলিত পাচিকা গত শুক্রবার দ্য হিন্দু পত্রিকাকে বলেন, গত আগস্টে তাঁকে কদমপট্টি ইউনিয়নের পঞ্চায়েত ইউনিয়ন এলিমেন্টারি স্কুলে পাচিকা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু নিয়োগের দিন থেকেই সামাজিক বয়কটের মুখে পড়েন তিনি। তাই স্কুলশিশুদের জন্য তাঁর পক্ষে রান্না করা হয়ে ওঠেনি।
এই সামাজিক নিগ্রহ তাঁর কাছে মৃত্যুর শামিল।
সুন্দরাবণিতা বলেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা গ্রাম পঞ্চায়েতপ্রধানের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে তাঁদের সহায়তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
সুন্দরাবণিতা বলেন, শেষমেশ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় তাঁকে অন্য একটি বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানেও তাঁকে শুনতে হয়, তিনি ‘অচ্ছুত’।
তাঁর হাতের খাবারও ‘অচ্ছুত’। দ্য হিন্দু অনলাইন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।