আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেসবুক ও বন্ধুত্ব ‘রিনিউ’

সাধারণ একজন ফেসবুক ও বন্ধুত্ব ‘রিনিউ’ তারিক আল আজিজ আমি স্বীকার করতে বাধ্য- পুরনো সম্পর্ক জুড়তে ফেসবুকের জুড়ি নেই। মুখবই’কে কাজে লাগিয়ে আমরা ঠিক খুঁজে পাচ্ছি আট, দশ বা এক যুগের পুরনো বন্ধুকে। গত রাতের কথা বলি। কয়েকটা ওয়েবসাইট ঘাটতে ঘাটতে রাত প্রায় পার। ফেসবুকটা খোলাই।

মাঝে মাঝে ঢু মারছি। ডান পাশের ‘পিপল ইউ মে নো’ তে চোখ যেতেই একটু মুখ চেনা চেনা লাগলো। ক্লিক করে আরেকটা ট্যাবে গেলাম। শিওর হওয়ার জন্য ‘মিউচুয়াল ফ্রেন্ড’ কারা দেখলাম। হাঁ, সাথি।

আমার সহপাঠী ছিল, বন্ধু। সাথি’র সাথে আমার একটা স্মৃতি এখনো টাটকা লাগে। ক্লাস ফাইভ-সিক্সে পরীক্ষার হলে ও আর আমি খুব দেখাদেখি করে লিখতাম। দুজনই হোষ্টেলে থাকতাম। মাঝে মাঝে দুজন পড়া ভাগ করে নিতাম।

পরীক্ষার হলে কোনদিন হয়তো ওর কমন, আমার নেই। উল্টোটাও ঘটতো। বেশ দেখাদেখি করে পাক্কা ১০০ মার্কসের উত্তর দিয়ে বের হতাম। ওকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালাম। সাথে একটা ম্যাসেজ।

‘তোর নাম ছিল সাজ্জাদ হোসাইন সাথি (স্পেলিং মে বি মিসটেকেন)। খুব চঞ্চল ছিলি। ফাইভ-সিক্সে এক্সামের সময় তোর লগে অনেক দেখাদেখি করতাম। এম আই রাইট? ইফ আই বি দেন একসেপ্ট মাই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। ’ ওর ছবিগুলোতে চোখ বুলালাম।

বা! চেহারা খুব একটা পাল্টায়নি। তবে ও যে দেশে নেই বোঝা যায়। ফ্রেমজুড়ে বরফের উপস্থিতি তাই জানান দেয়। এরপর ‘ঘুমাবো-ঘুমাবো’ করতে করতে রাতটাই শেষ হয়ে গেলো। ইউটিউবে কিছু ভিডিও দেখে আবারো ফেসবুকে ঢু মারতেই দেখি সাথি ইতোমধ্যে আমার রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করেছে।

সাথে ফিরতি ম্যাসেজ। ‘দোস্ত, তুই জীবিত আছস এতেই আমি খুশি। তোর খোঁজ পাব ভাবতে পারিনি। তোর কথা মনে হলে যাকে যেমনে পারি আস্ক করি। যা হোক, কেমন আছস? আমি বাট ভালো টাইপ জানি না।

০০৩৯.. এটা মাই নাম্বার। টাইম পেলে মিস দিস, কথা হবে। টেক কেয়ার দোস্ত। ’ কী বলব বলুন? ভালো লাগায় মন ভরে যায়। এ তো একটা ঘটনা।

ফেসবুকে অনেক পুরনো বন্ধুকে খুঁজে পেয়েছি। এই যে আমরা এখন এসএসসি’র ব্যাচ ‘গেট টুগেদার ইফতার পার্টি’ দিলাম, ফেসবুক ছাড়া কি সম্ভব হতো? পরপর দু বছর আমরা জম্পেশ ইফতার পার্টি করলাম। অনেকের সাথে সাত আট বছর পরে দেখা। ইফতার পার্টিতে শাহরিয়োর ফয়সাল আমাকে বললো, ‘তোর কথা আমার খুব মনে আছে। কেন জানিস? ওই যে তুই আমারে এসে (রচনা) দেখাইছিলি’।

লিখতে গিয়ে নষ্টালজিক হয়ে যাচ্ছি। অনেক সময় ম্যাসেজ বক্সে বা ওয়ালে দেখি, ‘দোস্ত, আমারে চিনছস?’। আমার মন আনন্দে উদ্ভাসিত হয়। যদিও আমি ভুলো মনের তবুও অনেককেই মনে করতে পারি। ফিরতি ম্যাসেজ দেই চট করে।

‘না চেনার তো কোন কারণ নাই। তোরে কি সহজে ভোলা যায়?’ কখনো গ্রুপ আড্ডায় মেতে উঠছি। যে যাই বলুক ফেসবুক থেকে আমার প্রাপ্তি কম নয়। এখনো অনেক কিছুই পাচ্ছি। নিভৃতচারী আমি মাঝেমাঝেই ফেসবুক চ্যাটিংয়ে চরম আড্ডাবাজ হয়ে উঠি।

আমার মতো মানুষের জম্পেশ আড্ডা দিতে প্রিয়জন লাগে। যার তার সাথে আড্ডা জমাতে পারি না। ফেসবুক অনেক প্রিয়জনকে কাছে এনে দিয়েছে। ধন্যবাদ জুকারবার্গকে। ফেসবুকের কারিগর জুকারবার্গ ও তার টিমকে।

একটা গান লিখছি। গানের মুখ’টা তুলে ধরে শেষ করছি। ‘ফ্রেমে বাঁধা শৈশব সেই ছবি মনে ভাসে তোর মুখ, তোকে ভাবি ফেসবুকে তোর সাথে ফের দেখা ফিরে এলো স্মৃতিগুলো জমে থাকা বন্ধু চলে আয় আড্ডা দেবো’ ভালো থাকবেন সবাই। উপভোগ করুন ফেসবুক নামের ‘সোশাল নেটওয়ার্কিং সাভিস। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.