আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রামীন ব্যংক, ড ইউনুছ ও কিছু বাস্তবতা

!!!!!! বেশ কিছুদিন ধরে দেশ ও বিদেশে বাংলাদেশ বিষয়ে সর্বোচ্চ আলোচিত বিষয়গুলোর একটি হচ্ছে গ্রামীন ব্যংক ও ড ইউনুছ। এই বিষয়ে আমার কিছু অভিজ্ঞতা ব্লগার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে চাই। আমার গ্রমের বাড়ি লালমোনিরহাটের হারাটী ইউনিয়ন। সেখানে আমি ছিলাম ক্লাস ৫ পর্যন্ত। তা আজ থেকে ২০-২২ বছর আগের কথা।

আমাদের বাড়ির পাশেই আমাদের পরিচিত কিছু গরীব ভাইদের বাড়ি ছিল। ওরা খুবই সরল প্রকৃতির। আমি দেখেছি ওরা আমাকে ছোট ভাইয়ের মতি স্নেহ করে। হটাত একদিন দেখলাম ওদের বাড়ীতে টিনের ঘর উঠছে। ভালোই মনে হল।

খোজ নিয়ে জানা গেল গ্রমীন ব্যাংক নামের একটি প্রতিট্ঠান গরীব দের লোন দিচ্ছে। লোন নিয়ে তারা বাড়ী কারছে। কেউ কেউ আবার দৈনন্দিন মজদুরি বাদ দিয়ে লোনের টাকায় জীবন যাপন করছে। ইতিমধ্যে আমি শহরে গেছি পড়াশুনা করতে। বন্ধ থাকলেই গ্রমের বাড়ীতে যেতাম মায়ের সাথে থাকার জন্য।

১ বা ২ বছর পর দেখলাম সেই টিনের বাড়ী গুলো সব নাই হয়ে গেছে তার ষ্থলে আবার সেই খরের চালা। জিঞেস করলাম কি কারন। বলল গ্রমীন ব্যংকের কিস্তি দিতে হয় প্রতি সপ্তাহে। যা আয় হয় তা দিয়ে কিস্তি শোধ হয় না। তাই বাধ্য হয়ে টিনের চাল ও সিরি গুলো বিকরি করতে হয়েছে।

এর পর দী্র্ঘদিন তাদের ঋনের বোঝা বইতে হয়েছে। ইতিমধ্যে বাজারে নতুন এনজিও এসেছে। অনেকে যেটা করেছে 'আশা' থেকে লোন নিয়ে 'গ্রমীন' শোধ করেছে। 'গ্রমীন' থেকে নিয়ে 'প্রশিকা' শোধের চিন্তা করছে। ঐ সময় ঘটনা গুলো আমার মধ্যে সেরকম প্রতিক্রিয়া ফেলানি বয়সে কারনে ও জ্ঞানের অভাবে।

এখন প্রস্ন জাগে ঐ গরীব মানুষ গুলো কি পেল? তাদের শখের বাড়ী যা তো তাই থাকলো। শুধু শুধু ঋনের বোঝা বইতে হলো। গ্রমীন ব্যাংক সহ সব এনজিও গরীব মানুষকে টাকা ধার দেয় ব্যবসার জন্য। সেই টাকা কে কিভাবে ব্যায় করছে সেটা অবশ্যই ব্যংক বা এনজিও গুলোর একতিয়ারে পরে না। কিন্ত সুবিধা দেয়ার আগে সেই সুবিধা কিভাবে গুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তাও প্রতিট্ঠান গুলোর নৈতিক দায়িত্ব ছিল, যা তারে পালন করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলে আমার বিশ্বষ।

মাঝে আমি আমার পড়াশুনা, চাকরি বাকরি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেছি। গ্রজুয়েশন শেষ করে সিলেটে একটা জবে ডুকেছি। এটা বছর তিনেক আগের কথা। আমার দুলাভাই ও বোন এসেছে সিলেট ঘুরতে। আমার দুলাভাই একজন তৃনমুল পর্যয়ে খবই উদী্যমান নেতা।

পারিবারিক ভাবেও তারা যতেট্ঠ প্রভাবশালী। তো একদিন ওনার সাথে আলোচনা হচ্ছিল বাংলাদেশের রাজনীতি, ওনার আদর্শ, এলাকা নিয়ে ভাবনা ইত্যাদি। এক সময় আসলো উনি বললেন এনজিও গরীব কে আর গরীব করছে। আমি বললাম রিয়েলি? কারন আমি আমার ছোট বেলার অভিঞতা বেমালুম ভুলে গেছি। শুধু তর্কের খাতিরে তর্ক করে যাচ্ছি।

তো এক সময় উনি বিরক্ত হয়ে বললেন চল তোকে এক যায়গায় নিয়ে যাই। বুঝতে পারবি কি অবস্থা। আমি ভাবলাম আমি থকি এখানে আর উনার এলাকা হচ্ছে রংপুর। উনি এখনে আমাকে কি দেখাতে পারে? তারপরও আমি গেলাম। সিলেট শহরে রিকশায় পৌছে উনি এক জন কে ফোন দিলেন।

কিছুখন পর এক ভদ্র চেহারার মানুষ রিকশা নিয়ে আমাদের কাছে আসলো। প্রথমিক কথা সেরে আমরা রওনা দিলাম ওনার রিকশতেই কিছুদুর দুরে একটা জায়গায়। সেখানে গিয়ে তো আমি অবাক!! ওনেক লোক যারা জীবনে রিকশা চালায়নি বা চালানোর কথা ভাবেও নি তারা রিকশা চালাছ্চে বাধ্য হয়ে। নিজের এলাকা রংপুর ছেরে এসেছে সিলেটে চক্ষুলজ্জার ভয়ে। কিসের এই বাধ্যবাধকতা যা তাদের এলাকা ছাড়া করেছে? উত্তর সবার একটাই- এনজিও'র কিস্তি দিতে দিতে সব শেষ করে অতঃপর এই বেহাল দশা।

তো এনজিও'র দেয়া টাকা কি করলেন? উত্তর - টাকাতো শেষ প্রথম বছরেই। এভাবেই গ্রমীন ব্যংক ও নজিও রা মানূষ কে নিঃষ করেছে, বাড়ী ছাড়া করেছে, মানুষকে আত্বমরযাদাহীন করেছে। অনেকেই করছে, গ্রমীন ব্যংকও করছে। সমাস্যটা হছ্চে যখন শান্তির জন্য গ্রমীন ব্যংক নোবেল পেল। প্রথম কিছুদিন গর্ববোধ করলাম বাংলাদশের প্রথম সম্মান পওয়ায়।

হোক না তা শান্তির জন্য। কিন্তু মনের মধ্যে প্রশ্ন ছিল উপরোক্ত দুটি ঘটনার কোনটায় শান্তি নিয়ে আসলো গ্রমীন ব্যংক? একটিতেও না। তবে কেন এই পুরষ্কার? পরে কিছুটা আন্দজ কারা গেল যে এটা আসলে 'ওয়ান ম্যন শো'। শোনা যায় গ্রমীন ব্যংকের মালিক গরীব মহিলারা। কই ড।

ইউনূছ ছাড়া কাউকে দেখি না তে মিডিয়ায়? কোথায় সেই গরীব মহিলারা? আসলে তারা সকলেই যথেট্থ অনভিঞ আমারা কছে মনে হয়েছে। তারা জনেনা নোবেল কি জিনিষ বা গ্রামীন ব্যংক আধ্যাদেশের ২৮ ধারা কি। সতিকার অর্থে তাদের জীবন আটকে গেছে নজিও গুলোর ফাদে সারাজীবনের জন্য। আমি মুসলমান! আমি জানি ড ইউনুছ ও মুসলমান। তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি- আমরা যদি প্রকৃত মুসলমান হই তবে আল্লার নিয়মের বাইরে যাওয়া যাবে না।

আমরা জানি ইসলামে "সুদ"কে হারাম করা হয়েছে। তারপর ও কিভাবে আমরা সুদের ব্যবসা করি?তাহলে তো আমরা ভালো পরিবারের সদস্য বটে, কিন্তু পরিবারের নিয়ম মানিনা। গরীব ও আশিক্ষিত মানুষ যাদের ধর্ম শিক্ষা অভাবের কাছে অসহায়, তাদেকে কিভাবে আমরা শিক্ষিত মানুষ পাপের পথে ঠেলে দিতে পারি? এবং নিজের পাপের বোঝাও ভারি করছি? সবশেষে বলতে চাই, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। এখানে কোন ব্যক্তি বা প্রতিট্ঠান দেশের থেকে বড় হতে পারে না। অন্য কোন দেশর ও অভিমত ব্যক্ত করার আগে প্রথমে দেশ তার পর দেশের ব্যক্তি বা প্রতিট্ঠান কে প্রধান্য দেয়ার কথা।

কিন্তু আমরা দেখছি তার উল্টা। এটাকি আমরা দুর্বল তার জন্য?নকি এদের মাধ্যমে তাদের স্বার্থসিস্ধি র কোন মতলব ভন্ডুল করায় আতে ঘা লেগেছে? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.