আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পপির উপলব্ধি।

‘দর্শক প্রেক্ষাগৃহে বসে ছবি দেখবেন কীভাবে, সেখানে ছবি দেখার মতো তো কোনো পরিবেশই নাই। প্রেক্ষাগৃহের পরিবেশ যত দিন ভালো হবে না, তত দিন ছবির ব্যবসাও ভালোর দিকে যাবে না। যত ভালো মানের ছবিই দেওয়া হোক না কেন, তাতে কোনো লাভ হবে না। ’ প্রথম আলো ডটকমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলছিলেন তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া অভিনয়শিল্পী সাদিকা পারভীন পপি। অনেক প্রেক্ষাগৃহের মালিককে বলতে শোনা যায়, ছবির কারণেই নাকি দর্শক হলমুখী হচ্ছেন না।

এ কথার সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন পপি। তিনি বলেন, ‘ভালো-মন্দ মিলিয়ে কিন্তু ছবি হচ্ছে। ভালো মানের ছবিও কিন্তু এক থেকে দুই সপ্তাহের বেশি দেখতে আগ্রহী হচ্ছেন না দর্শক। প্রেক্ষাগৃহের অবকাঠামোগত যে অবস্থা, তাতে একজন দর্শক একবারের বেশি ছবি দেখতে যান না। সারা দেশের বেশির ভাগ প্রেক্ষাগৃহেরই এ অবস্থা।

ভালো মানের ছবি হলেও বেশির ভাগ প্রেক্ষাগৃহ দর্শক টানতে পারছে না। কিন্তু এর বিপরীত চিত্র কিন্তু স্টার সিনেপ্লেক্সের। এখানে একেকটা ছবি একজন দর্শক দুই থেকে তিনবারও দেখছেন। আমি নিজেও প্রেক্ষাগৃহে নিয়মিতভাবে ছবি দেখি। পপি বলেন, ‘স্টার সিনেপ্লক্সে আমি যত দিনই গেছি, তত দিনই দেখেছি দর্শক বেশ আনন্দ নিয়েই ছবি উপভোগ করছেন।

সেখানে কিন্তু আনুপাতিক হারে বাংলাদেশের অন্যসব প্রেক্ষাগৃহের চেয়ে টিকিটের মূল্যও বেশি। তার পরও ছবিপ্রেমী দর্শকেরা সেখানে ভিড় করছেন। ’ পপি আরও বলেন, ‘আমার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটির নাম “গার্মেন্টস কন্যা”। ছবিটি মুক্তির পর আমি বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে গিয়েছিলাম। কিন্তু সবকটিতে আমার অভিজ্ঞতা নেতিবাচক।

কোনো প্রেক্ষাগৃহ থেকে সন্তুষ্টচিত্তে বের হয়ে আসতে পারিনি। ’ প্রেক্ষাগৃহগুলোর এ রকম অবস্থায় একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে আপনারা কি কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে পপি বলেন, ‘এটায় পুরো ভূমিকা প্রেক্ষাগৃহের মালিকদেরই। আমরা হয়তো বড় জোর কিছু উপদেশমূলক কথাই বলতে পারি। কিন্তু সেটা যদি প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরা সেভাবে গুরুত্ব না দেন, তাহলে কিছুই করার নেই। পপি আরও বলেন, একেবারে সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে যদি দেখা হয় তাহলে কিন্তু ব্যবসা করার ক্ষেত্রে একজন ব্যবসায়ীর প্রধান কাজই হচ্ছে ভালোভাবে বিনিয়োগ করা।

কিন্তু বিনিয়োগ ছাড়াই যদি কেউ তাঁদের ব্যবসায় লাভ করতে চান, সেটা তো কোনোভাবেই সম্ভব না। চলচ্চিত্রের ব্যবসায় ভালোভাবে বিনিয়োগের পাশাপাশি কিন্তু ছবির প্রতি মমত্ববোধও থাকতে হবে। আর যখন ছবির প্রতি মমত্ববোধ থাকবে, তখন মালিকেরা অবশ্যই প্রেক্ষাগৃহ ছবির দেখার উপযোগী করে তুলবেন, এটায় কোনো সন্দেহ নেই। এ ক্ষেত্রে আমাদের সামনে উদাহরণ স্টার সিনেপ্লেক্স। তা ছাড়া যত ভালো মানের ছবি দেওয়া হোক না কেন, দর্শক প্রেক্ষাগৃহে কিন্তু যাবেন না।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।