আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আউলিয়া বুর্জুগের নামে ভন্ডামী।

এমন ভাবে আমাকে ব্লক করা হোক যেন ভিসিটর হয়েও ব্লগে আসতে না পারি। আমাদের বাংলাদেশে আউলিয়া বুজুর্গের অভাব নেই, যেখানে যান শহর কিংবা গ্রামে দেখা মিলবে ভিবিন্ন নামের আওলিয়ার মাজার শরীফ, খাট ও চৌকির মত কিছু একটি বসিয়ে তার উপরে আরবীতে লিখা বিভিন্ন কালেমা ও পবিত্র কোরআনের আয়াত সম্বলিত কালো বা কখনো লাল কাপড়ে ঢাকা আকর্ষনীয় মসজিদের আদলে নির্মিত ঘর বানিয়ে রাখা হয়েছে ঐ সব মাজারকে, কখনো ওমুক ও কখনো তমুক ফকিরের পবিত্র শরীফ, বড় বড় সাইন বোর্ডে লিখা রাখা হয়, আবার কখনো লিখারাখা হয পবিত্র মাজার শরীফ মুক্ত হস্তে দান করুন, দান বাক্স, ইথ্যাদি, আবার দেখাযায় বছরের এক বার মহা ধুমদাম করে ও মহাউৎসবের সহিত পালন করা হয় ঐ সমস্ত আউলিয়া বুজুর্গের মৃত্যু বার্ষিক অথবা জন্ম বার্ষিক, এ সব মৃত্যু বা জন্ম বার্ষিককে বলা হয় পবিত্র ওরশ শরীফ , আবার কখনো পবিত্র খোজরোজ শরীফ, এসব বুর্জুগের পবিত্র ওরশে দেখা য়ায় মহা অনন্দের মিলন মেলা, প্রচুর লোকের সমাগম হয় ওরশ শরীফে, বাচ্চা, যুবক, যুবতী, বৃদ্ধ , মহীলা সবাই গুরা ফেরা করে মেলায় ও শফিং করে, মেলায় আসা ভিবিন্ন অস্থায়ী দোকান হতে। চলতে থাকে বাজনা, ঢাক ঢোল ও নৃত্য, আরো চলে গরু, মহিশ ও ছাগল জবেহ করার উৎসব, সারা রাত এসব উৎসব চলারপর সকালে চলে খাবার, আবার দেখা যায় বিভিন্ন লোক ঐ সমস্ত আউলিয়া বুর্জুগের ওরশ শরীফে গুরু মহিশ ও ছাগল দান করে, কেউ টাকা পয়সা, আমাদের দেশের এসব আওলীয়ার মাজার ও তাদের ওরশ দেখে মনে মনে হাজারো প্রশ্ন জাগে, আমার মতে এসব আউলিয়ার ওরশ শরীফ স্পষ্ট হারাম ও ১০০% ভাওতা বাজী, এগুলোর পেচনে রয়েছে র্ধমকে পুজি করে আর্থিক ফায়দা আদায়ের অসৎ মতলব। যেখানে যান প্রায় দেখা যায় আউলিয়ার মাজার গুলোকে দারুন করুকাজে সজ্জিত করে রাখা হয়েছে, বানানো হয়েছে আর্কষণীয় বিলডিং ও মাজারের গেট, এসব মাজারের নির্মাণের পেচনে খরচ করা হয় প্রচুর টাকা পয়সা, একটি মাজার শরীফকে আর্কষণীয় কারুকজ সম্বিলিত বিডিং তৈরী করার মানে ও এর উপকারিতা বা ইসলাম কতটুকু এর সমর্তন করে টিক বুঝিনা। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট বুঝা যায , মাজার শরীফে কেউ নামাজ পড়তে যায়না সুতরাং মাজার শরীফটা এত পয়সা খরচা করে উন্নত ও আর্কষণীয় ভবন তৈরী করার কোন মানে হয়না, তার চেযে বরং ভালো হয় পার্শ্বে কোন মসজিদ বা স্কুল বা অন্যকোন সামাজিক প্রতিষ্টানের পেচনে অর্থগুলো ব্যায় করা যা সাধারণ মানুষের কাজে লাগবে।

প্রায় সব মাজার শরীফে দেখা যায় দান বাক্স , লিখা থাকে মুক্ত হস্তে দান করুন, মাজারে কেন দান বাক্স রাখা হবে? তাছাড়া মাজার শরীফে অর্থ টাকা পয়সা দান করার কোন প্রয়োজনীতা আছে কি? যদি আওলীয়া জীবিত হয় তাহলে অর্থ দান করা যেতে পাওে, আউলিয়ার খরচা, খাওয়া দাওয়া জন্য, কিন্তু মৃত আউলিয়ার জন্য কেন মুক্ত হস্তে দান করার আবেদন করা হয তা আমার কাছে বেশ মজার ও ফানী মনে হয়। বুর্জুগ বা আউলিয় মৃত হয় তার জন্য কোন খাবার, চিকিৎসা বা কোন রকম ব্যায় করার প্রযোজন নেই সুতরাং মাজার শরীফে কোন টাকা পয়সা দান করার প্রযোজন নেই বলে আমি মনে করি, মৃত বুর্জুগের মাজারের টাকা দান করা চেয়ে কোন স্কুল, এতিম খানা, কোন গরীব মানুষকে ঐ টাকা গুলো দিলে হাজার গুণ বেশী ছওয়াব পাওয়া যাবে, আউলিযা বুজুর্গের পবিত্র ওরশে দেখা যায়, মহা ধুমদাম, প্রচুর অস্থায়ী বাহারী রকমের দোকান পরসা সাজিয়ে বসে, চলে বাজানা ও ঢাক ঢোল, চলে নৃত্য, কখনো হিন্দী ও বাংলা জনপ্রিয় গানের সুরে চলে ভান্ডারী ও কাওয়ালী গানের আসর, কিন্তু আউলিয়া বুর্জুগ হলো ইসলামের আর্দশ ও ইসলামের মহাপুরুষ, তাদের মৃত্যু বার্ষিকীতে হবে কোরআন তেলেওয়াত, দোয়া মাহফিল ও হাদীস বয়ান ইথ্যদি, আউলিয়া বুর্জেগের বার্ষিক ওরশ শরীফে যে সব গরু মহিষ জবেহ করে বিরিয়ানী খাবারের আয়োজন করা হয় এটা এক ধরণের বনভোজন, কারণ সাধারণত আউলিয়া বুর্জুগের মাজারে ওরশে যে সব গরু, মহিষ জবেহ করা হয় তার হক এক মাত্র গরীব মিসকিন দের, কিন্তু সমাজের ধনীরা আগে ভাগে এসে পেট ভরে খেয়ে যান এসব তবরুক খাবার, আবার দেখা যায় এসব তবরুক খেতে প্রায় সময় মারাত্বক ধাক্কা ধাক্কি কার আগে কে খাবে, এটা কোন অবস্থায় তবরুক খাবার সিষ্টেম হতে পারেনা। যারা বুর্জুগ আউলিয়ার ওরশে তবরুক খাবারের আয়োজন করেন তাদের উচিত হবে এটা সরাসরি সমাজের গরীবদের লিষ্ট বানিয়ে তাদের বিতরণ করা, তা না হলে এটা ওরশের তবরুক খাবার পরিণত হবে বনভোজনের টিপিন খাবারে। অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন মানুষের আউলিয়ার মাজারে দান করা সব গরু মহিশ জবেহ করা হয়না, এ সব উদৃত অতিরিক্ত গরু, মহিশ পরবর্তীতে বিক্রি করে ঐ অর্থগুলো ভোগ করেন আউলিয়ার মাজার ও ওরশ পরিচালনা নামে কমিটির সদস্যরা আবার কখনো ঐ আউলিয়ার পরিবারের বেঁচে থাকা বংশধর ও সদস্যরা, শুনতে অবাক লাগে বিভিন্ন আউলিয়ার বৈচিত্র নাম শুনে ও আউলিয়া বুর্জুগ হবার পূর্ব ইতিহাস শুনে। কিছু আউলিয়া বুর্জুগের নাম দিলাম যা আমার জানা, যেমন- ”বুড্ডুম ফকির” ” টিলা মাজার” ” বড়ই অদ্ভুদ নাম।

কিছু মানুষ আছে আউলিয়া বুর্জুগকে বিখ্যাত করার জন্য নানা রকম মিথ্যা ঘটনা চারিদিকে রটিয়ে দেন, যেমন আমার বাড়ীর কাছে একটি মাজার আছে ( নাম দিচ্ছিনা নিরাপত্তার কারণে) ঐ আউলিয়ার মাজারের ওরশের সময় নাকি, যখন মহিশ জবেহ করা হয়, তখন মাজারের আশে পাশে অবস্থিত গাছের উপর দিয়ে ধোঁয়া নির্গত হয়, এক বার নিজ চোখে গিয়ে দেখলাম, ব্যপারটা ১০০% মিথ্যা, যখন মহিশ জবেহ করা হচ্ছিল তখন ছিল প্রায় সন্ধা ও শীত কাল, ঐ মাজাটি ছিল পাহারের পাদদেশে, শীত কালে সাধারণত পাহারের পাদদেশের গাছ পালার উপরের ধোঁয়ার মত কুয়াশা দেখা যায়, বাস্তবে দেখলাম আসলে ঐ গুলো ধোয়া ছিলনা ছিল কুয়াশা। আরো একটি মজার ঘটনা এবার আমার বাড়ীর কাছে একটি মাজার ছিল, স্থানীয় সবার দাবী ঐ খানে এক মস্তবড় আউলিয়া ছিল, তায় আউলিয়ার আস্তানায় তৈরী করা হয় ছ্ট্টো একটি ঘর, টিক ঐ ঘরের উপর ছিল একটি পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার বোল্ট সম্মন্ন একটি বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন, টিক এ মাজারের পার্শ্বে একটি বড় উচু গাছ ভেঙ্গে বিদ্যুত লাইনের উপর পড়ে, বিদ্যুতের লাইন ও গাছ সহ নিচে মাজারের উপর পড়ে যায়, ফলে ঐ গাছে আগুন লেগে যায়, গাছটি প্রায় এক সাপ্তাহ পর্যন্ত হাল্কা হাল্কা জ্বলতে থাকে, টিক ঐ সময় প্রচুর মানুষ সমাগম হতে থাকে মাজারের পার্শ্বে ঐ জ্বলন্ত গাছটি দেখতে। সারাদিক খবর ছড়িয়েপড়ে এটি মহান আউলিয়ার কেরামতি। গিয়ে দেখলাম আসলে ঐটি ছিল বিদ্যুতের কেরামতি। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.