আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রতিশোধস্পৃহা থামান: যুক্তরাষ্ট্রকে অ্যাসাঞ্জ

উইকিলিকসের প্রতি প্রতিশোধপরায়ণ মনোভাব ত্যাগ করতে মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওয়েবসাইটটির প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। রোববার লন্ডনের ইকুয়েডরের দূতাবাসের বারান্দায় দাড়িয়ে এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান অ্যাসাঞ্জ। জুনে লন্ডনের ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়ার পর এই প্রথম তিনি সবার সামনে এলেন। যুক্তরাষ্ট্র উইকিলিকসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট ওবামাকে বলব উইকিলিকসের বিরুদ্ধে উইচ-হান্ট বন্ধ করতে। ” উইকিলিকস ওয়েবসাইটে গোপন নথি ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে বিচারের মুখোমুখি ব্র্যাডলি মেনিংকে মুক্তি দিতেও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

অ্যাসাঞ্জ বলেন, “উইকিলিকস হুমকির মুখে পড়ার মানে হচ্ছে আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সমাজের সার্বিক পরিস্থিতি হুমকির মুখে পড়েছে। ” দূতাবাসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় অ্যাসাঞ্জ তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা করায় ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান। অ্যাসাঞ্জ যখন কথা বলছিলেন তথন নীচের ফুটপাতে তার সমর্থক ও গণমাধ্যম কর্মী ছাড়াও উপস্থিত ছিল কয়েক ডজন ব্রিটিশ পুলিশ। উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, “এখন যুক্তরাষ্ট্রকে দু’টি পথের যে কোনো একটি বেছে নিতে বলার সময় এসেছে। যে বৈপ্লবিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা মার্কিন সরকার পোক্ত করবে, না কি তারা নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত হয়ে আমাদের বিপজ্জনক ও নির্যাতিত বিশ্বের দিকে টেনে নিয়ে যাবে যেখানে সাংবাদিকদেরকে বিচারের ভয়ে ভীত এবং নাগরিদের অন্ধকারে থাকতে হয়।

” ব্রিটিশ সরকার অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনে ফেরত পাঠাতে চায়। যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অ্যাসাঞ্জকে সেখানে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় হতে হবে। সুইডেনে হস্তান্তর এড়াতে জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডরিয়ান দূতাবাসে রয়েছেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা। তবে তিনি ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত এই কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ দাবি, সুইডেন তাকে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, এ ব্যাপারে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার কূটনৈতিক ও সামরিক বার্তা ফাঁস করে দিয়ে ওয়াশিংটন ও এর মিত্রদের চক্ষুশূল হন অ্যাসাঞ্জ। ফাঁস হয়ে যাওয়া বার্তাগুলোর জন্য বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় যুক্তরাষ্ট্র ও আরও কয়েকটি দেশের সরকারকে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।