ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় কারখানার বর্জ্য অপসারণের জন্য নর্দমার কাজ করার সময় মাটিচাপা পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুই শ্রমিক।
আজ রোববার বেলা পৌনে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় অবস্থিত নাসির গ্লাস ইন্ডাস্ট্রি, কালার মাস্টার কোম্পানি, রিদিশা টেক্সটাইল ও বাদশা স্পিনিং মিল কোম্পানির বর্জ্য অপসারণের জন্য নর্দমা তৈরির কাজ করছিল ২০-২৫ জন শ্রমিক।
মাস্টারবাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ নর্দমাটি একটি খালের সঙ্গে সংযোগের জন্য ঠিকাদারির দায়িত্ব পান স্থানীয় মোরশেদ চেয়ারম্যান ও বাচ্চু মিয়া।
নর্দমা তৈরির কাজের সময় চারজন শ্রমিক মাটির অনেক নিচে চাপা পড়েন। তাঁদের মধ্যে সুনামগঞ্জের আইয়ুব আলীর স্ত্রী খোদেজা খাতুন (৪০) ও হালুয়াঘাটের আমিরউদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৫) ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় আরও দুজন শ্রমিক আহত হন। তাঁদের মাওনায় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোতালেব মিয়া বলেন, নাসির গ্লাসসহ পাঁচটি কোম্পানির বর্জ্য অপসারণের জন্য ঠিকারদারি কাজের মাধ্যমে নর্দমা তৈরির কাজ চলছিল। এ সময় মাটিচাপা পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। স্থানীয় মোরশেদ চেয়ারম্যান ঠিকাদারি কাজ পেয়েছিলেন। দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মোরশেদ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি কোম্পানিগুলো দেখাশোনা করি।
ঠিকাদারি কাজের দায়িত্ব পেয়েছে হবিরবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মিয়া। ’ ছাত্রলীগের নেতা বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমরা কাজটি মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে করতে দিয়েছিলাম। দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনা। এখানে কারও হাত নেই। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।