আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি আওড়ান আওয়ামী লীগ @হাসান কালবৈশাখি ও আরজুপন

এও জীবন!!!! সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি আওড়ান আওয়ামী লীগ যখন হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ধর্মের মানুষকে মাইনরটি ট্যাগ দেয় তখন আমাদের সুশীল সমাজ ও ধর্মনিরপেক্ষতার অনুসারীরা বলে না এই মাইনরটি ট্যাগটা কতটা অপমানজনক। বলে না যেখানে আমরা সাবাই বাংলাদেশী সেখানে আবার "মাইনরটি" কি? বলে না বাংলাদেশীদের মধ্য "মাইনরটি" ট্যাগ দিয়া বিভাজন টানার মানে কি? একদিকে ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি আওড়াবেন আরেক দিকে ধর্মে নামে বিভাজন টেনে ভোট ব্যাংক তৈরী করবেন এমন ভন্ডামী আর কত? অনেকের ধারণা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে "মাইনরটি"রা নির্যাতিত হয় না। আওয়ামী লীগই সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি আওড়িয়ে মানুষের মনে এমন একটা ধারণা ডুকিয়ে দিয়েছে। আসলেই কি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে "মাইনরটি"রা নির্যাতিত হয় না? আসেন "মাইনরটি"দের ভূমি দখল ও নির্যাতনের তথ্য দেখি *১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদারদের হাতে নিহত পাবনার এক স্কুল শিক্ষক জয়ন্ত রায়ের সম্পত্তি দখল করে সরকার দলীয় নেতা দোতলা বাড়ী তৈরী করছেন। *জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন : জৈন্তাপুরে পুলিশ দিয়ে সংখ্যালঘুর দোকান দখল মে ২৮, ২০১২ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েরে ৩৩ বছরের বন্দোবস্তীয দোকান দখল করে নিয়েছে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা।

থানা পুলিশ ব্যবহার করে দখল সমঝে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়েছে। *সরকারদলীয় ক্যাডারদের নেতৃত্বে কলাপাড়ায় রাখাইন সম্প্রদায়ের শ্মশান দখল Click This Link *সরকারদলীয়দের দখল ও নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘুরা গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) : শ্যামল চন্দ্র নামে লঘু পরিবারের এক যুবক অপহরণের শিকার হয়েছে। সুদের টাকা দিতে না পারায় সুদখোররা মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি হিন্দু পাড়ার কল্যাণ মাস্টারের বাড়ির গাছ কেটে নিচ্ছে স্থানীয় যুবলীগ ক্যাডাররা।

এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানায় অভিযোগ করলেও গাছ কাটা বন্ধ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী কল্যাণ কান্তি দে। এরই মধ্যে তাদের বাগান থেকে ২ লাখ টাকার গাছ কেটে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের চর ধুলাসার মৌজায় ভুয়া ওয়ারিশ সাজিয়ে আদিবাসী রাখাইন সম্প্রদায়ের কয়েক কোটি টাকা দামের ১২ একর জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, উল্লেখিত মৌজায় জমির রেকর্ডীয় মালিক পুলাসে মাদবর, বালিচায় মগ, চৈয়মগ, মুঙ্গে, লোচামুই। তাদের মৃত্যুতে পুলাসে মাদবর ও মুঙ্গে এবং তাদের মৃত্যুর পর চোমং ও শিশু মগ ওয়ারিশ সূত্রে ওই জমির মালিক হন।

চোমঙের মৃত্যুতে তার ছেলে রেথয় মগ এবং শিশু মগ নিঃসন্তান অবস্থায় মারা গেলে তার ভাইয়ের ছেলে রেথয় মগ ওয়ারিশ সূত্রে ওই জমির মালিক হন। ধুলাসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে এম খালেকুজ্জামান গত ২৫ মার্চ ওই মর্মে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দেন। বরিশাল : বানারীপাড়ায় জালিয়াতির মাধ্যমে এক সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের পাঁয়তারা করছে স্থানীয় ভূমিদস্যুরা। ভুয়া দাতা ও ওয়ারিশ সাজিয়ে উপজেলার মাছরং এলাকার বাসিন্দা প্রফুল্ল কুমার হালদারের ৮৮ শতাংশ জমি দলিল করে নিয়েছে চক্রটি। এ বিষয়ে ভূমি অফিস ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

এদিকে জালিয়াতির মাধ্যমে জমি দলিল করে তা দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করছে উল্লেখিতরা। বাগেরহাট : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিত্তহীন এক সংখ্যালঘু সম্প্র্রদায়ের বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। অস্ত্রের মুখে ডাকাতরা নগদ টাকা ও মোবাইল সেটসহ কমপক্ষে ১০-১৫ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়েছে। এ বিষয় থানা পুলিশ চরম উদাসিনতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। Click This Link *মোরেলগঞ্জে সংখ্যালঘু পরিবারকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি সংখ্যালঘু পরিবারকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করেছে একটি প্রভাবশালি মহল।

ফলে ওই পরিবারের সদস্যরা দিনের বেলায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে রাতযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন অন্যের বাড়িতে। অভিযোগে জানা গেছে, দেবেন চন্দ্রদাস ও তার পরিবার পরিজন নিয়ে ২ একর ৪৭ শতক পৈত্রিক সম্পত্তিতে দীর্ঘ দিন বসবাস করে আসছেন। কিন্তু ওই সম্পত্তির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে একই গ্রামের প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা সামসুর রহমান মল্লিকের। তিনি অন্য এক ওয়ারিশের কাছ থেকে ৪৭ শতক জমি ক্রয় করে পরবর্তীতে বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরী করে অতিরিক্ত জমি দখলের পায়তারা চালায়। Click This Link *সিলেটে মামলা তুলে নিতে মানবাধিকার কর্মীকে আ.লীগ নেতার হুমকি হাসপাতালের বেডে শুয়েও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীর সহকারী মনিন্দ্র রঞ্জন দে।

প্রকাশ্যে তাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। কিছু লোক সরকার দলের নেতা পরিচয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য তার স্ত্রী বাবলী রাণীকে অব্যাহত হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ রাতে লামাবাজার মহাপ্রভুর আখড়া থেকে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের শোকসভা শেষে নগরীর যতরপুর নিজ বাসায় ফিরছিলেন মনিন্দ্র। বন্দরবাজার মাশরাফিয়া হোটেলের সামনে আসামাত্র ১০-১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত তাকে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে মারধর করে বাম পায়ের গোড়ালির উপরের রগ কেটে ফেলে। Click This Link *ধুনটে আ’লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুর জমি দখল করার অভিযোগ বগুড়ার ধুনট উপজেলার সাঘাটিয়া বাজার এলাকায় এক সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মান করছে আওয়ামীলীগ নেতারা।

জমির মালিক হিসেবে দখলকারীদের বিরুদ্ধে বগুড়া জেলা সাবজজ আদালত (এক) এ অভিযোগ করেছে সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হিজুলী গ্রামের অখিল চন্দ্র সাহা পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে ৫৫ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছিল। সম্প্রতি স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ফজলুল হক ও হারুন সহ ১২ জন ওই জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মান কাজ শুরু করেন। এরমধ্যে অনেকেই ঘর নির্মান কাজ সম্পন্ন করেছেন। আবার কেউ কেউ ঘর নির্মানের জন্য জমির এক অংশ থেকে মাটি কেটে অন্য অংশ ভরাট করছেন।

এঘটনায় সংখ্যালঘু পরিবারের পে অখিল চন্দ্র সাহা গত ২০০৭সালে বগুড়া জেলা সাবজজ আদালত (এক) এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। বিচারাধিন এ জমি দখলের পক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে দখলকারীরা। অন্যদিকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য সংখ্যালঘূ এ পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করছে। Click This Link *গত ১৯ সেপ্টেম্বর পিরোজপুরের নাজিরপুরে রুহিতলাবুনিয়া গ্রামে মন্দিরের জমি দখল করার জন্য আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন মাঝি ও অপর আওয়ামী লীগ নেতা মনোরঞ্জন গোলদার গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।

এতে আহত হয় ২৫ জন। মনোরঞ্জনের দাবি, ৪০ বছর ধরে শ্রী শ্রী গোবিন্দ মন্দিরের কমিটির নিয়ন্ত্রিত জমিটি দখলের জন্য আলাউদ্দিন মাঝির লোকজন হামলা করে প্রতিমাসহ মন্দিরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। *১১ আগস্ট রাজধানীর সূত্রাপুর ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা হাজী ইসলাম ও সূত্রাপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেনের নেতৃত্বে শতাধিক দলীয় লোক দক্ষিণ মৈশুণ্ডির ২২২, লালমোহন সাহা স্ট্রিটে শ্রী শ্রী রাধাকান্ত ঠাকুরানী লক্ষ্মী জনার্ধনচক্র বিওবিগ্রহ মন্দিরে হামলা করে। তাদের হামলায় ৩৫টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ওই হামলার পর এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ৩৫টি হিন্দু পরিবার।

*গত ১২ জুলাই নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার নাকইলে ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর এক পল্লীতে আওয়ামী লীগ কর্মী শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল ভূমিদস্যু জমি দখলের জন্য হামলা চালায়। এ সময় ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর অর্ধশতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। হামলাকারীরা সংখ্যালঘু নারী-পুরুষদের মারধর করে। *গত ২৫ মে রাজশাহীর চারঘাটে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী আজহার উদ্দিন তার দলবল নিয়ে অনিলচন্দ্র মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা অনিলচন্দ্র, তার স্ত্রী বাসন্তী রানী, ছেলে শ্যামলচন্দ্র মণ্ডল, তার ভাই অভিচরণ মণ্ডল, অভিচরণ মণ্ডলের স্ত্রী শান্তা রানীকে কুপিয়ে জখম করে।

*১৭ মে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজারের সিঙ্গরপুর পানপুঞ্জিতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সমাধি দখল করে ক্রুস গুঁড়িয়ে দেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিন ও তার সহযোগীরা। হামলাকারীরা প্রয়াত এক মন্ত্রীর সমাধি গুঁড়িয়ে দেয় এবং আরও ১০টি সমাধির ক্রুস গুঁড়িয়ে দিয়ে সমাধি দখল করে নেয়। *গত ১৪ মে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের উজয়মারিতে ২২টি সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখল করে নেন আওয়ামী লীগের এক কর্মী। ওই জমিতে ইটভাটা তৈরির কাজ শুরু করেন তিনি। দখলে বাধা দেয়ায় রমেশ মণ্ডলসহ তিনজন আহত হন।

*গত ২০ এপ্রিল ঢাকার কেরানীগঞ্জের আতাশুর গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে সালাউদ্দিন, সালাম, মোস্তফা, সাজু, সাজ্জাদ, পিন্টুর নেতৃত্বে একটি দল জমি দখল করতে গেলে বাধা দেয়ায় অজিত করাতি ওরফে খিরমহনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় আহত হয়েছিল ১০ জন হিন্দু। *৫ মার্চ নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামে হিন্দু তিন পরিবারের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা। কয়েক বছর আগে আওয়ামী লীগ কর্মী আবদুর রাজ্জাকের ছেলে রেজাউলসহ কয়েকজন স্থানীয় হিন্দু নবকুমারের ছেলে প্রদীপ কুমারকে রামদা দিয়ে কোপায়। এতে রেজাউলসহ তিনজনের নামে মামলা হয়।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ওরা মামলাটি তুলে নিতে চাপ দেয়। মামলা না তোলায় সন্ত্রাসীরা নবকুমারের জমি থেকে পাট কেটে নেয়। নবকুমার আরেকটি মামলা করলে তার ভাই শৈলেন্দ্রনাথকে কয়েক দফা মারধর ও বাড়ি লুট করা হয়। ফের ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করা হয়। সন্ত্রাসীরা বাড়িতে গিয়ে নবকুমারকে মামলা ওঠানোর জন্য সাদা স্ট্যাম্পে সই দিতে বলে।

রাজি না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা তার পরিবারের সদস্যদের সামনে বাবা-ছেলে ও মা সুধারানীকে বেদম মারধর করে। বাবা ও ছেলেকে টেনেহিঁচড়ে আবদুর রাজ্জাকের বাড়িসংলগ্ন একটি শিমুল গাছে বেঁধে মারধর করা হয়। পরে গলায় রামদা ধরে তাদের কাছ থেকে মামলা তুলে নিতে কাগজে সইও নেয়া হয়। পরে তাদের বাড়িঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। * সংখ্যালঘু নির্যাতনের ন্যক্কারজনক কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে।

স্থানীয় এমপির ছেলে বন বিভাগের গাছ কেটে জায়গা দখলের পর ওই জমিসংলগ্ন জেলেপাড়ার ৭০/৮০টি হিন্দু পরিবারের চলার পথ বন্ধ করে দেন। পরিবারগুলোর অভিযোগ, তাদের উচ্ছেদের জন্য এসব করা হয়েছে। প্রতিকারের দাবিতে তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক অবরোধ করেন। প্রশাসন দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মামলা নেয়ার অঙ্গীকার করলে অবরোধ তুলে নেয়া হয়। ওই মামলার তদন্ত এখনও শেষ করতে পারেনি পুলিশ।

ফলে পরিবারগুলো এখনও এ নিয়ে চরম উত্কণ্ঠায় রয়েছে। *গত ৫ এপ্রিল সীতাকুণ্ডে সংখ্যালঘুদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ, নির্যাতন ও হামলা-মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করায় সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রতিরোধ ও কল্যাণ কমিটির সভাপতি আমিরাবাদ মায়াকুঞ্জের বাসিন্দা অমরেন্দ্র মল্লিককে পিটিয়ে এলাকাছাড়া করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা। অমরেন্দ্রের বাড়িতে হামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে ও তাকে উলঙ্গ করে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে তাদের প্রকাশ্যে পেটাতে পেটাতে পৌর ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। ভবনের একটি কক্ষে আটকে রেখে পৌর মেয়র শফির নেতৃত্বে বাবা ও ছেলেকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন অমরেন্দ্র।

ওই সময় অমরেন্দ্রের বিবাহিত মেয়ে বাবা ও ভাইয়ের খোঁজে কাঁদতে কাঁদতে পৌর ভবনে এলে তাকে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। *গত বছর ২২ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়ার তাজপুর গ্রামে দেবোত্তর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে বাড়িতে ও খড়ের পালায় দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করে। এতে রাজবিহারী ঘোষ নামের এক বৃদ্ধ দগ্ধ হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। ঐক্য পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট রানা দাসগুপ্ত বলেন, সরেজমিন অনুসন্ধানে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আসে। * ২০ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার দেবহাটার ঢেবুখালিতে ৩০০ বিঘার একটি ঘের দখল করে নেয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সহযোগিতায় একটি বাহিনী।

* ২৫ জুলাই নরসিংদীর পলাশের চরসিন্দুর গ্রামে শ্মশানের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের চারটি বাড়িঘর ও মূর্তি ভাংচুর এবং তাদের বাড়িতে লুটপাট করা হয়। *গ ২৫ জুলাই নরসিংদীর পলাশের চরসিন্দুর গ্রামে শ্মশানের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের চারটি বাড়িঘর ও মূর্তি ভাংচুর এবং তাদের বাড়িতে লুটপাট করা হয়। * ২২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয় দেয়া একদল সন্ত্রাসী বন্দুক উঁচিয়ে কাফরুল থানার পুলিশের সামনেই ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী রীতা গমেজের বাড়ির একাংশ দখল করে নেয়। রীতার পরিবার থানায় অভিযোগ করতে গেলে তা নেয়া হয়নি। * ২৮ সেপ্টেম্বর মাদারীপুরের রাজৈরের খালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সাতপাড় গ্রামে রামমোহন মণ্ডলের পূজামণ্ডপে পুলিশ এক তরুণীকে উত্ত্যক্ত করে।

পূজারিরা এর প্রতিবাদ করায় মধ্যরাতে এসআই কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের সদস্যরা প্রতিমা ভাংচুর করে। * ২২ আগস্ট রাজধানীর সূত্রাপুরের ৯৫, ঋষিকেশ দাস লেনে আওয়ামী লীগ আশ্রিত সন্ত্রাসীরা এক হিন্দু পরিবারের বাড়ি দখল করতে গিয়ে ওই পরিবারের ৯ জনকে মারধর, লুটপাট ও পরে তাদের অপহরণ করে। এর আগে তাদের বাড়িটি বিক্রি করার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়া হয়েছিল। * ১৪ জুন খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ের বরাইতলি গ্রামে ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর ৩০০ একর জমি স্থানীয় দুর্বৃত্তরা দখল করার চেষ্টার সময় ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর সদস্যরা বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। এতে ১৪ ব্যক্তি আহত হন।

*২০০৯ সালের মে মাসে সাতক্ষীরার আবাদের হাটের ঘোষাল পরিবারের ৩৮ বিঘা জমি দখল করে নেয় স্থানীয় যুবলীগের এক ক্যাডার ও তার সহযোগীরা। *১৯ এপ্রিল দিনাজপুর সদর উপজেলার পাড়বড়ইল গ্রামের ১১৩টি ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদ করে জোতদারকে জমি দখল করে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ওইসব পরিবারের ঘরবাড়ি। *২০০৯ সালের ৩১ মার্চ সাতক্ষীরা দেবহাটার কালাবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ ঘোষের মালিকানাধীন ৩০০ বিঘার ঘের দখল করে নেয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা। ১৯৭৯ সালে সুভাষ ঘোষের বাবা ওই জমি সরকারের কাছ থেকে নিলামে কেনেন।

দখলে বাধা দিলে তার স্বজনদের পিটিয়ে আহত করা হয়। *৫ মার্চ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার যুগিপোতা গ্রামের রবিন মণ্ডলের ১২ বিঘা জমির চিংড়িঘের দখল করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ আশ্রিত তিন সন্ত্রাসী। এতে বাধা দেয়ায় রবিন মণ্ডলকে তারা মারধর করে। পরে জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার সহযোগিতায় এ ঘটনায় উল্টো রবিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা করা হয়। আরো জানতেঃ- Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link http://newsvisionbd.com/?p=3009 Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link http://www.banglapost24.com/archives/129158 Click This Link Click This Link ♦♦সবচেয়ে দুঃখজনক সত্যটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ দ্বারা "মাইনরটি" নির্যাতিনের এই খবর গুলো আওয়ামী পা চাটা শীর্ষস্থানিয় মিডিয়ায় আলোচিত হয় না।

নিরন্তন শূন্যতা নিরন্তন শূন্যতা  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।