আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্যারদের কাছে মনের কিছু অভিব্যক্তি

পরিশ্রমে সার্থকতা খুজেঁই চলছি। স্বাধীনতার ৪০ বছর পর আজও আমরা মূল্যায়ন করতে পারছিনা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অবদানকারী নেতাদের। যাদের অকান্ত পরিশ্রম ত্যাগ আর দুরদর্শি চিন্তা ভাবনার ফসল আজকের বাংলাদেশ। আমরা যদি আলোচনা করতে চাই তাহলে- শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা ভাষানী, হোসেন শহীদ শহরাওয়ার্দী, শেখ মজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান প্রত্যেকেই বিভিন্নভাবে এই দেশকে স্বাধীন করতে অনেক বড় মাপের ভূমিকা রেখেছেন। সারা বিশ্বব্যাপী যাদের পরিচিতি।

অনেক দেশ হয়তো বাংলাদেশ নামক ভূ-খন্ডটিকে না চিনলেও ঐ সকল মহান নেতাদের চিনতেন। তাঁরা কথা বলতেন, দেশ, মাটি, মানুষের জন্য। প্রত্যেকটি দেশে যুগে যুগে এমন সব মানুষের আর্বিভাব ঘটে যার বদৌলতে একটি ভূ-খন্ডের পরিচিতর জন্য বিশাল ভূমিকা রাখে। ঠিক এমনি একটি ঘটনা ঘটে গেছে আমাদের দেশে। জাতির মহান নেতাদের জীবনাবসানের পর হঠাৎ করে বাংলার আকাশে নতুন সূর্য্যওে উন্মচোন হয়েছে।

যিনি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছেন নতুনভাবে। বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন এক বিরল সম্মান। বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কার “নোবেল”-কে যুক্ত করেছেন বাংলার সম্মানের সাথে। আজ আমাদের দেশের যারা কর্ণধার বা সরকারে আছেন তাদের যেমন দেশ পরিচালনায় গুরুদায়িত্ব তদ্রুপ বিরোধী দলে যারা থাকবেন তাদেরও দায়িত্ব কম নয়। কিন্তু আমাদের দেশে হচ্ছে টা কি? আমি বলবো না পরস্পর ক্ষমতাসীন দুটি দলই সম্পূর্ণ ব্যর্থ- প্রত্যেক দলের কিছু না কিছু ভালো দিক আছে।

অথচ কেই কারো ভালো দিকটি নিয়ে আলোচনা করতে চায় না। কারো উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজের অবশিষ্ট অংশটি সমাপ্ত করতে চায় না। পূর্ববর্তী সরকার কোন উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করে সমাপ্ত করতে না পারলে পরবর্তী সরকার সেই কাজটি সমাপ্ত না করে পুনরায় নতুন আরেকটি কাজ বা একই কাজ শুরু করে দেশে অর্থ এবং সময়ের অপচয় করে দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে। তবে একটি জায়গায় সরকার দল এবং বিরোধীদল পরস্পরের ঘনিষ্ট বন্ধু তা হলো- যখন সাংসদদের বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয় এবং শুল্কমুক্ত গাড়ী আমদানীর প্রস্তাব করা হয়। এক্ষেত্রে কেউ কারো বিরোধীতা করেন না।

বর্তমানে দেশে যে রাজনীতির চর্চা হচ্ছে- তা একেবারে ব্যক্তি কেন্দ্রীক, একটি দল শেখ মুজিব-কে অশ্রদ্ধা করছে, আরেকটি দল জিয়াউর রহমান-কে অশ্রদ্ধা করছে। আর এখন রাজনীতির মাঠের মস্তবড় এক ফুটবল হয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। যে ব্যক্তিটি দেশের জন্য নিয়ে এলো নোবেল পুরস্কার, যিনি কিনা ব্রিটের মতো একটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তাকে নিয়ে কাদা ছুড়া-ছুড়ি করছে সরকার দল। আমরা অশিক্ষিত মানুষ অন্য মানুষ সম্পর্কে দু-চারটি মন্দ কথা বললে তেমন দোষের নয়।

কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, সরকাররে দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ এবং গণতন্ত্রের ভাষায় বিরোধী দল হচ্ছে একটি দেশের ছায়া সরকারের নেত্রীবৃন্দ যখন আবোল-তাবোল বলেন তখন মনের মধ্যে খুব কষ্ট হয়। সরকারি চাকুরীতে যেমন চুক্তিভিক্তিক বা প্রেষণে নিয়োগ প্রদান করা হয় ঠিক তেমনি মনে হয় এ দেশটার মঙ্গলের জন্য বিদেশ থেকে লোক এনে কিছুদিন দেশটা চালিয়ে নেয়া দরকার। মহামান্য রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আকুল আবেদন ব্যক্তি কেন্দ্রীক নয় আমাদের জন্য তথা দেশের জন্য কিছু করুন এবং দেশে জন্য ত্যাগী নেতাদের অসম্মান করা থেকে নিজেকে বিরত থাকুন। আর যদি অসম্মানের ধারা অব্যাহত রাখেন তাহলে অবস্থাটা হবে নিচের গল্পটার মতো অবস্থা হবে- এক বৃদ্ধ পিতার সন্তান অনেক বড় মাপের অফিসার। দুঃখজনক হলেও সত্য তিনি নিজে বিলাসবহুল ঘরে ঘুমালেও বাবা ঘুমাতেন ভাঙ্গা একটি কুঁড়ে ঘরে যার পাশে বাড়ির কুকুরটিও থাকতো।

খাবার সময় হলে বাবা একটি মাটির থালা নিয়ে রান্না ঘরের দিকে যেতেন তখন ছেলের বউ চাকর-বাকরদের জন্য তৈরী করা খাবার থেকে প্লেটে কিছু খাবার তুলে দিতেন। যেটা ঐ বৃদ্ধের নাতিকে খুব কষ্ট দিত কিন্তু ছোট মানুষ কাউকে কিছু বলতে পারে না। একদিন বৃষ্টিতে উঠান পিচ্ছিল হয়ে গেছে বৃদ্ধ খাবার নিতে যাওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে মাটির প্লেটটি ভেঙ্গে ফেলে- এমন সময় নাতি দৌড়ে গিয়ে বলে ঐ বুড়ো মাটির সানক্ িটা ভেঙ্গে ফেললি “আমি আমার বাবাকে খেতে দিব কিসে”। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.