আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেডিকেল ভর্তি সিদ্ধান্তের পক্ষে কিছু কথা

খাওয়া আর ঘুম,বাংলাদেশি/বাঙালি হিসেবে এটাই আমার বড় যোগ্যতা। গত কালের ঘোষনা আসার পর অনেকের অনেক কথাই শুনলাম,দেখলাম । এবার আমার কিছু কথা বলার দরকার । কেউ যদি আমাকে সরকার সমর্থক বলে গালি দেন তাদের বলি অফ যান। কিছু কিছু লোকের কমেন্টস পড়লে মনে হয় মেডিকেন ভর্তি খুব মজার একটা পরীক্ষা ।

এখানে আমি কিছু যুক্তি দিবো কারো কাউন্টার যুক্তি থাকলে অবশ্যি দিবেন শুধু দেশ গেল,জাতি গেল টাইপের কোন কথা না বললে খুশি হব । আমি কেন এর পক্ষে – মেডিকেল ভর্তিতে মুখস্ত কে কত বেশি করতে পারে তাই দেখা হয় । যদি এই গুণ্টাই যাচাই করতে হয় তাহলে এইচ এস সির রেসাল্ট দেখলেই হয় । খামাখা এই স্টুডেন্টগুলোকে ভর্তি পরীক্ষা নামক নির্যাতনের দিকে কেন ঠেলে দিতে হবে । আমাদের যে শিক্ষা পদ্ধতি তাতে শুধুমাত্র মুখস্ত করলেই চলে ।

একজন ছাত্র গত বারো বছর ধরে সাফল্যের সাথে মুখস্ত করে চলে আস্তেছে আবার ৫ ও পাইছে । তাহলে আবার কেন তার যোগ্যতা দেখানোর জন্য ভর্তি পরীক্ষা নামক ১ ঘন্টার নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে । এবার আসি ভর্তি প্রসঙ্গে । এখানে দেখা হবে জিপিএ । যাদের মাথা মোটা তারাই খালি চিল্লাচ্ছে ৮০ পাওয়া আর কাউকে ৮০ করে দেয়া সবাই সমান কিনা ।

এখানে ৮০ ব্যাপারটাই আসবে না । যখন জিপিএ সমান হয়ে যাবে তখন দেখা হবে নম্বর । আর যারা সত্যিকার অর্থে ভাল তারা শুধু ৮০ পাই না । তারা প্রতি সাব্জেক্টে ৮৫ এর উপর গড়ে পায় । এখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে ৮৫ এর উপরে পাওয়া নম্বরের মধ্যে ।

কারো ৬৫ কে ৮০ করা যায় কিন্তু ৮৫ করা যায় না । আর যারা এই ব্যাপারটা বুঝে না তাদের বলব বোর্ড এস এস সি আর এইচ এস সির উপর বৃত্তি দেয় । যেখানে শুধুমাত্র নম্বরের উপর সব কিছু ডিপেন্ড করে । এখনে ০.৫ নম্বরো অনেক বড় ব্যাপার । অনেকে বলছে কোচিং আইন করে বন্ধ করার জন্য ।

কেন জনাব গরীবের ছেলের কোচিং এ পড়াটুকু কেড়ে নিতে চান । কোচিং আইন করে বন্ধ করলে এরপর শুরু হবে ভায়াদের দৌড়াত্ম্য । তারা নিজস্ব ব্যাচ খুলে বসবে । পার্থক্য একটাই তাদের কোন প্রাতিষ্ঠানিক নাম থাকবে না । তাদের ভর্তি ফিসও হবে কয়েকগুণ বেশি ,যেখানে শুধুমাত্র টাকাওয়ালারাই পড়তে পারে ।

সরকার এত বড় একটা ঘোষণা দিতে পারল মূলত কলেজগুলোতে ভর্তি প্রক্রিয়া ভাল্ভাবে শেষ করতে পারার সাফল্যের জন্য । কেউ তো ভর্তি নিয়ে একটা বাক্যও দুর্নীতির কথা লিখলো না । আর এক্ষেত্রে সিলেকশন যাতে কম্পিঊটারাইজড প্রসেসে হবে তা হবে আরো নিখুত । কেউ যদি ভর্তি না হয় তাহলে তার পরের বেশি নম্বর প্রাপ্তো ভর্তি হবে । আমার শুধু সরকারের কাছে একটাই চাওয়া যদি তারা সত্যি এই প্রক্রিয়াই ভর্তি করায় তাহলে যেন গোল্ডেন আর টোটাল নম্বর না দেখে ।

যদি দেখে তাহলে অনেক স্টুডেন্ট বঞ্চিত হবে । সেক্ষেত্রে বায়োলজি,কেমেস্ট্রি আর ইংরেজির নম্বর যেন খালি দেখা হয় । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.