আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ কি শুনিলাম, চক্ষু-কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন হইয়া গেল....!!!

যেদিন জানব...! এই মাত্র ব্রেকিং নিউজে দেখলাম, এসসি ও এইচএসসি-তে যাদের সর্বমোট জিপিএ আট থাকবে, তারা সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে কোন প্রকারের ভর্তি পরীক্ষা এবারে অনুষ্ঠিত হবে না। এটা কোন কথা !!! যে দেশে আকাশে-বাতাশে এলোপাতাড়ী A+ এর ছড়াছড়ি , সেখানে কিভাবে শিক্ষা মন্ত্রনালয় এই রকম নির্বোধের মত একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই গত কয়েক মাসে দেশজুড়ে যা হচ্ছে, তাতে বুঝাই যাচ্ছে, সবাই মিলে দেশটার মেরুদন্ড একে বারে ভেঙ্গে দিতে চাইছে। দেশের প্রত্যেকটা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে কোনো না কোনো গোলযোগ বাঁধিয়ে রেখেছে। এখন নতুন নাটক হল, মেডিক্যাল ভর্তি নিয়ে রসিকতা ! যারা সারাটা বছর ধরে এসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাগুলো এত কষ্ট করে মনপ্রাণ উজাড় করে দিয়ে পড়াশুনা করে, শুধুমাত্র এই জনবহুল দেশে নিজের জন্য ভবিষ্যতে একটা সম্মানজনক স্থান করে নিয়ে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার স্বপ্ন দেখে, আজকে তাদের কাছ থেকে লড়াই করার শেষ সম্বলটুকুও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশে এসসি-এইচএসসি পরীক্ষাগুলোতে যে কেঊ সিলেক্টেড কিছু সাজেশন ফলো করে খুব সহজেই জিপিএ ৫ পেতে পারে। কিন্তু যারা পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞানের বইগুলোর কোনকিছুই পড়া থেকে বাদ রাখে না, এদের যদি কোনকারণে A+ মিস হয়ে যায়, এবং প্রকৃত যোগ্য মেধাবীরা যখন ভর্তি প্রক্রিয়ায় বাদ পরে যাবে, তখন এর দায়ভার কে নেবে??? অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আমার মতন ছাগলদের সুযোগ দেওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । তাই ভাবছি, সুযোগ যখন আছেই, এবং দুইটাতেই যখন জিপিএ ৫ আছে, আমিও কোনো ভর্তির জন্য আবেদন করে ফেলব কিনা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।